শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

Tab. Napa extra দিনে তিন বার খারার পর খাবেন এবং সাথে সর্দি থাকলে Tab. Ebatin 10mg দিনে একবার ১০ দিন খাবেন। সেরে যাবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

জ্বর এর চিত্র ফলাফল

জ্বর থেকে দ্রুত সেরে উঠার উপায়ঃ

ভাইরাস জ্বর বর্তমানে প্রচলিত একটি স্বাস্থ্য সমস্যা। এই জ্বর শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাইকেই বেশ কাহিল করে দেয়। অধিকাংশ ভাইরাস জ্বর এমনিতেই সেরে যায়। এ জন্য বেশি ওষুধের প্রয়োজন পড়ে না। তবে অবস্থা খারাপ হলে ওষুধ তো খেতেই হবে। অধিকাংশ চিকিৎসক বলেন, জ্বর হলে ওষুধের পাশাপাশি পানীয়জাতীয় খাবার খেতে এবং বিশ্রাম নিতে।

কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলো মেনে চললে এই সময় দ্রুত শরীরকে সুস্থ করে তোলা যায়। লাইফস্টাইল বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই জানিয়েছে ভাইরাস জ্বর থেকে শরীর পুনরুদ্ধারের কিছু পরামর্শ।

১। শরীরকে আর্দ্র রাখুনঃ ভাইরাল ইনফেকশনের সময় শরীরকে আর্দ্র রাখা জরুরি। তাই এ সময় পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন এবং তরলজাতীয় খাবার খান।

২। ব্যক্তিগত সুরক্ষাঃ ভাইরাস জ্বরে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে। এ সময় অন্যান্য সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই এমন কোনো কাজ করবেন না যাতে আবারও সংক্রমিত হয়ে পড়েন; ব্যক্তিগত সুরক্ষা বজায় রাখুন।

৩। বিশ্রাম নিনঃ আপনাকে আরো ক্লান্ত করে তুলতে পারে এমন কাজ এড়িয়ে চলুন। বিশ্রাম খুব জরুরি এই সময়। তাই বিশ্রাম নিন এবং শিথিল থাকার চেষ্টা করুন। এটি শরীরকে স্বাভাবিক কার্যক্রমে পুনরায় ফিরে আনতে সাহায্য করবে।

৪। স্বাস্থ্যকর খাবার খানঃ শরীরের শক্তি পুনরায় ফেরাতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া জরুরি। খাদ্যতালিকায় কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিন-জাতীয় খাবার রাখুন। এমন খাবার বেছে নিন যেটি সহজে হজম হবে। এই সময় চিকেন স্যুপও খেতে পারেন। এটি শরীরকে ঠিকঠাক করতে বেশ কাজে দেবে।

৫। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানঃ খাদ্যতালিকায় ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি-জাতীয় খাবার রাখুন। এই ভিটামিনগুলো শরীর পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে এবং রোগ নিরাময়েও বেশ উপকারী।

৬। চিকিৎসকের পরামর্শঃ যেকোনো রোগেই লক্ষণ বুঝে চিকিৎসা করা জরুরি। তাই নিজে নিজে কোনো ওষুধ খেতে যাবেন না। ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

৭। ভেষজ চা খানঃ পানীয় হিসেবে ভেষজ চা খেতে পারেন। সর্বোপরি জ্বর সারাতে নিজের শরীরের যত্ন নিন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

টানা দীর্ঘমেয়াদী জ্বর, সাথে গলা ব্যথা ও কাশি, মাথা ব্যথা, শরীরের যন্ত্রণা। খাবারে অরুচি, বমি বমি ভাব। একবার হলে ৮/১০ দিন না ভুগিয়ে যাচ্ছেন না। এরপরেও শরীর থাকছে দুর্বল। সাথে মাথা ঘোরানোর মত সমস্যাও আছে। আপনারও কি হয়েছে এমন? ঠাণ্ডা-জ্বরে একটু সুস্থ থাকার উপায় জেনে নেয়া যাক। প্রচুর তরল খাবার জ্বরের প্রধান ও প্রথম চিকিৎসা হচ্ছে প্রচুর তরল খাবার খাওয়া। পানি তো পান করবেনই, সাথে গরম স্যুপ, আদা চা, জুস ইত্যাদি পান করুন। গরম পানীয়তে আপনার কাশিটাও নিয়ন্ত্রণে আসবে। এবং আদা চায়ের মত পানীয় গলা ব্যথা ও মাথা ব্যথা দূর করতে সহায়ক হবে। শক্তিবর্ধক খাবার খান মুখে অরুচি, কিছুই ভালো লাগে না? চেষ্টা করুন শরীরের বল যোগায় এমন খাবার খেতে। তাতে অল্প খেলেও শরীরের উপকার হবে। বাচ্চা মুরগির স্যুপ বা ঝোল, ডিম, মাছের ঝোল দিয়ে ভাত, দুধ ইত্যাদি কষ্ট করে হলেও খান। দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবেন। বিশেষ করে বাচ্চা মুরগির স্যুপটা খুবই কাজে দেবে। হলুদ দুধে দূর হবে জ্বর এক গ্লাস দুধ নিন, তাতে এক ইঞ্চি সাইজের কাঁচা হলুদ টুকরো করে ফেলে দিন। এবার জ্বাল দিন। মিনিট পাঁচেক পর হলুদ ফেলে দিয়ে চিনি বা মধু মিশিয়ে এই দুধ পান করুন। দ্রুত জ্বর নিরাময় হবে, বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও। সাথে শরীরের ব্যথাটাও দূর হবে। প্রয়োজন ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেনট যে কোন অসুখে দূর করতেই অ্যান্টিঅক্সিডেনট ও ভিটামিন সি এর যোগান শরীরের থাকা চাই। যদি অসুখে ভিটামিন ফলমূল খাওয়া ছেড়ে দেন, তাহলে চলবে না মোটেও। বরং অনেকটা বেশী খেতে হবে। প্রচুর ফলমূল ও সবজি খাওয়ার চেষ্টা করুন। এগুলো মুখে ভালো না লাগলে আমলকী, লেবু, কাঁচামরিচ ইত্যাদি হলেও খান। চাই বিশ্রাম ও ঘুম অসুখ নিয়ে কাজ করছেন? একেবারে করবেন না। একটু খানি বিশ্রাম করুন। এই বিচ্ছিরি ঠাণ্ডা জ্বর বিশ্রাম না নিলে সারবে না। ঠাণ্ডা-গরম লাগানো চলবে না মোটেই গোসল করে খুব ভালো করে চুল শুকিয়ে নিন। এসি থেকে গরমে বা গরম থেকে এসিতে যাওয়া চলবে না। ঘামে ভেজা কাপড় ও চুল নিয়ে থাকা চলবে না একদম। হাঁচির সমস্যাও থাকছে এইসময়ের জ্বরে। তাই পরিষ্কার রুমাল ব্যবহার করুন, সেই রুমালে আবার চোখ মুছবেন না যেন!

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ