কথায় বলে, আপনি চোখের যত্ন নিন, চোখ আপনার যত্ন নিবে। কথাটি সর্বৈব সত্য। অপরূপ সৌন্দর্যে ভরা এই পৃথিবীকে যে দেখেছে সে যদি দৃষ্টি হারায়, তাহলে তার দুঃখের শেষ নেই।Better vision for better life অর্থাৎ 'সুন্দর জীবনের জন্য সুন্দর দৃষ্টি' কার না কামনা? * যথেষ্ট পরিমাণ উজ্জ্বল আলোতে পড়ালেখা করবেন। অনুজ্জ্বল আলোতে পড়ালেখা করবেন না। * পড়ালেখার সময় আলো উপর বা পিছন থেকে আসা ভালো। * বই খাতা থেকে চোখ যেন এক ফুট উপরে থাকে। চক্ষু চিকিৎসকদের মতে, বই খাতা থেকে চোখের দূরত্ব হবে ৩৫-৪০ সে.মি.। * টিভি দেখার সময়, টিভি থেকে অন্ততঃ ৯ ফুট দূরে বসে দেখবেন। * পড়ালেখা ও টিভি দেখার সময় মাঝে মধ্যে এদিক সেদিক তাকিয়ে চোখকে বিশ্রাম দিন। * টিভি দেখার সময় বারবার চোখের পলক ফেলবেন। বই পড়া ও অন্য সময়ও বারবার পলক ফেললে চোখ জলসিক্ত থাকবে। * যারা কম্পিউটারে কাজ করেন তাদেরও এই পলক ফেলা প্রয়োজন। এক মিনিটে অন্ততঃ ১২ বার পলক ফেলা প্রয়োজন। * কিছু সময়ের জন্য চোখ বন্ধ করে রাখলেও চোখ বিশ্রাম পায়। * সকালে ও রাতে চোখে ঠাণ্ডা পানির ঝাপটা দিলে চোখ পরিষ্কার হয়ে যায়। চোখে পানির ঝাপটা দেয়ার সময় আস্তে আস্তে ঝাপটা দিবেন। জোরে ঝাপটা দিলে ক্ষতিও হতে পারে। * চোখে যদি কোন রাসায়নিক দ্রব্য পড়ে, তাহলে বারবার চোখে পানির ঝাপটা দিন, পরিষ্কার হয়ে যাবে। এরপর কোন চক্ষু চিকিৎসককে দেখান। * চোখে সব সময় কন্টাক্ট লেন্স লাগিয়ে রাখলে জটিলতা দেখা দিতে পারে। * চোখে ঝাপসা দেখলে অথবা মাথা ধরলে চোখের চিকিৎসককে দেখান এবং চিকিৎসা নিন। * বেশি করে সবুজ শাকসবজি, হলুদ রং যুক্ত ফলমূল এবং কাঁটাসহ ছোট মাছ খাবেন। কখন ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন? * মাথা ব্যথা করা অথবা চোখ ব্যথা করা (সামান্য বা বেশি)। * অতিরিক্ত চোখ ঘষা। * ঘন ঘন পলক ফেলা। * চোখে সব সময় লাল থাকা বা প্রায়ই লাল হয়ে যাওয়া। * চোখের খুব কাছে এনে বই পড়া। * পিছনের বেঞ্চ থেকে ব্ল্যাকবোর্ডের লেখা দেখতে না পাওয়া অথবা দেখতে কষ্টবোধ হওয়া। * সূক্ষ্ম কাজ করতে অসুবিধা হওয়া বা অস্বস্তিবোধ করা। * খুব কাছে বসে টিভি দেখার অভ্যাস। * সামনে মাথা ঝুঁকিয়ে বা তির্যক দৃষ্টিতে কোন বস্তু বা জিনিস দেখা। * চলাফেরার সময় ছোটখাট বস্তুর সাথে হোঁচট খাওয়া। * পড়ার সময় কিংবা পড়া তৈরি করার সময় প্রায়ই মাথা ধরা। * চোখে ময়লা বা পিঁচুটি জমা। * চোখ চুলকানো। * চোখ শুকনো শুকনো মনে হওয়া। * চোখের সামনে মশা, মাছি বা চুলের মতো কিছু ভাসতে দেখা। * আকাশের চাঁদ দ্বিখণ্ডিত বা ডাবল দেখতে পাওয়া। * আলো সহ্য করতে না পারা (ফটোফোভিয়া)। * আলোর চারিপার্শ্বে রংধনুর মতো রঙের ছটা দেখা। * বয়স যদি চল্লিশের কোঠায় হয় বা তার ঊর্ধ্বে হয়। * দৃষ্টি যদি মাঝে মাঝে কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে যায়। * যদি ঘন ঘন চশমার পাওয়ার পরিবর্তন করতে হয়। এর যে কোন একটি সমস্যাও যদি আপনার থাকে তবে আপনি দ্রুত চক্ষু ডাক্তারের পরামর্শ নিতে ভুল করবেন না।