আমের দুইটা ত্বক থাকে। বহিঃত্বককে আমরা খোসা বলি। আমের আঁটি আর বহিঃত্বকের মাঝের সুস্বাদু অংশের জন্যই আম ভূবনজয়ের খ্যাতি লাভ করেছে। মানুষের চামড়ারও দুটি স্তর আছে। বাইরের আবরণকে বলা হয় বহিঃত্বক বা এপিডার্মিস এবং ভেতরের ত্বককে বলা হয় এন্ডোডার্মিস। এপিডার্মিসকে আবার কয়েকটি উপস্তরে ভাগ করা হয়েছে। এপিডার্মিসের সবথেকে ভেতরের স্তরকে বলা হয় স্ট্যাটাম ব্যাসাল। স্ট্যাটাম ব্যাসালে মেলানোসাইট নামে বিশেষ এক ধরনের কোষ আছে। স্ট্যাটাম ব্যাসালে প্রতি বর্গ মিলিমিটারে ১০০০-৩০০০ মেলানোসাইট থাকে। মেলানোসাইটে মেলানিন নামে রঞ্জক কনা বিদ্যমান যা ত্বকের কালো রঙের জন্য দায়ী। পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত মেলানোসাইট স্টিমুলেটিং হরমোন মেলানিন তৈরী করে। সব মানুষের ত্বকেই মেলানিন থাকে। তবে যাদের ত্বকে মেলানিনের পরিমান বেশী তারা কালো হয় এবং যাদের ত্বকে মেলানিনের পরিমান কম তারা ফর্সা হয়। নিগ্রোদের ত্বকে মেলানিনের আধিক্য সব থেকে বেশী। আমাদের বাংলাদেশীদের ত্বকে মেলানিনের পরিমান মিশ্র। ত্বকে মেলানিন কম থাকবে নাকি তা নির্ভর করে বংশগত বৈশিষ্ট, ভৌগলিক অবস্থান, সূর্যের আলোর প্রখরতা ইত্যাদি বিষয়ের উপর।