প্রসাব জ্বালাপোড়া করে কেন ?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
AbuSayedFTJ

Call

পস্রাবে র ও মূত্রনালী জ্বালা-পোড়া লক্ষণ ও উপসর্গ ও করনীয় ঃ ১. পিঠের পেছনদিকে উদরের নিচে ব্যথা| ২. পস্রাব করার সময় জ্বালাপোড়া, ব্যথা হওয়া সহ অন্যান্য অস্বস্তিকর অনুভূতি। ৩. পুন:পুন: পস্রাবের তাগিদ অনুভব কিন্তু খুবই সামান্য পস্রাবের নির্গমন। ৪. ঘোলাটে, কড়া গন্ধযুক্ত এবং রক্ত সমন্বিত পস্রাবের নির্গমন। ৫. পস্রাবের সাথে হলদেটে পদার্থের নির্গমন (মূত্রনালী দিয়ে) ৬. মহিলাদের ক্ষেত্রে যৌন মিলনের সময় পীড়াদায়ক অনুভুতি বা ব্যথা পাওয়া। কী করা উচিত ১. মদ, ক্যাফেইন, মশলাযুক্ত খাবার এবং এসিড সমৃদ্ধ খাবার বর্জন করুন কেননা এগুলো আপনার পিত্ত থলিকে আরও বেশি সমস্যায় আক্রান্ত করে। ২. দৈনিক আট থেকে দশ গ্লাশ পানি খাবেন যাতে করে আপনার পস্রাবে জমে থাকা ব্যাকটেরিয়াগুলো গলে পস্রাব দিয়ে বেরিয়ে আসে। (তবে ডাক্তারের কাছে পরীক্ষার উদ্দেশ্যে যাবার আগে বেশি পানি খাবেন না, নচেৎ আপনার পস্রাবের ব্যাকটেরিয়ার অস্তিত্ব ঠিকমতো উদঘাটন করা সম্ভব হবে না।) ৩. একটা গরম কিছু বা হট ওয়াটার ব্যাগ বা বোতল চেপে ধরে ব্যথার þহানে রাখতে পারেন। ৪. যদি পস্রাবের জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তির উদ্দেশ্যে দেয়া এন্টিবায়োটিক ওষুধগুলো আপনার শরীরে ইস্ট বা ছত্রাকের আক্রমণ ঘটায় সেক্ষেত্রে টক দই খেতে পারেন। টক দইয়ের ব্যাকটেরিয়া ছত্রাকের আক্রমণ প্রতিহত করতে সক্ষম। কখন ডাক্তার দেখাবেনঃ ১. যদি তীব্র ব্যথা জেগে ওঠে এবং এই ব্যথা আপনার পাঁজর পেছনে নিচ থেকে শুরু হয়ে আপনার যৌনাঙ্গের দিকে বয়ে যায়, সেক্ষেত্রে আপনার হয়তো কিডনিতে পাথরের সমস্যা। ২. যদি আপনার জ্বর থাকে এবং জ্বর দ্রুত বেড়ে ওঠে এবং আপনার পিঠে হঠাৎ করে তীব্র ব্যথা হয়, কিংবা আপনার কোমরের কাছে বা কোমরের উপরে ব্যথা করে, সেক্ষেত্রে আপনার কিডনিতে ক্ষতের সমস্যা রয়েছে। ৩. আপনি যদি নারী হন এবং পস্রাবের সময় যদি কষ্ট হয় এবং সেই সাথে যদি একটানা ব্যথা থাকে আপনার পিঠের নিম্নাংশে কিংবা তলপেটে বা উদরে; যদি যৌন মিলনের সময় কষ্ট হয়, এবং/কিংবা অনিয়মিত ঋতুস্রাব হয়, কিংবা হঠাৎ হঠাৎ না হয় বা হলে খুবই বেশি রক্তপাত হয়। সেক্ষেত্রে আপনার হয়তো ডোমাটরিওসিস বা পেলভিক ইনফ্ল্যামেটোরি ডিজিজ হয়েছে। ৪. যদি পস্রাবে কষ্ট হয় এবং একইসাথে উদ্ভট কোন পদার্থ পস্রাবের সাথে শিশ্ন কিংবা যোনী পথ দিয়ে নির্গত হয় সেক্ষেত্রে আপনার হয়তো যৌন সাহচার্য ঘটিত সংক্রামক কোন রোগ হয়েছে। ৫. যদি আপনি একজন পুরুষ হন এবং পস্রাবের সময় আপনার জ্বালা-পোড়া হয় কিন্তু পুন:পুন: পস্রাবের তাগিদ অনুভব করেন, পস্রাব থেমে থেমে নির্গত হয়, বীর্যপাতে কষ্ট হয়, কিংবা পেলভিস বা শ্রোণীতে কিংবা পিঠের নিম্নাংশে যদি ব্যথা থাকে সেক্ষেত্রে আপনার হয়তো প্রস্টেট- এর সমস্যা রয়েছে। ৬. যদি আপনার পস্রাব রক্তাক্ত দেখা যায় কিংবা ঘোলাটে দেখা যায় ৭. যদি আপনার পস্রাবে জ্বালা পোড়া হয় কিংবা ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন রোগের লক্ষণ ধরা পড়ে। ৮. যদি এই লক্ষণগুলো অপসারিত না হয় এবং চিকিৎসা স্বত্তেও লক্ষণগুলো আবার জেগে ওঠে। কীভাবে প্রতিরোধ করবেনঃ ১. প্রতিদিন নূন্যতম আট গ্লাস পানীয় খান সাথে পানি প্রচুর পরিমাণে পান করুন। ক্রানবেরির জুস খেতে পারেন, এটা মাঝে মধ্যে ক্ষত সৃষ্টি হওয়া থেকে শরীরকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করে। ২. পস্রাবের তাগিদ অনুভব করলে পস্রাব দমিয়ে রাখবেন না। এবং প্রতিবার পস্রাবের সময় আপনার মূত্রথলিটি পুরোপুরি খালি হচ্ছে কি না সে বিষয়ে যত্নশীল হোন। ৩. যৌন সংসর্গের আগে ও পরে যৌনাঙ্গ ধুয়ে ফেলুন, কেননা এর ফলে যৌনমিলনের দরুন আপনার যৌনাঙ্গে কোন ব্যাকটেরিয়া গিয়ে থাকলে সেটা বেরিয়ে আসবে। ৪. বুদবুদ ওঠা পানিতে স্নান এড়িয়ে চলুন এবং সুগন্ধীযুক্ত টয়লেট্রিজগুলোও বর্জন করুন। একটা মৃদু এবং গন্ধহীন সাবান নিয়ে আপনার নিম্নাঙ্গের পরিধেয়গুলো ধৌত করুন। সুগন্ধীযুক্ত এবং রুক্ষ বা ক্ষারীয় পণ্যগুলো মূত্রনালী এবং এর চারপাশের ত্বকে প্রদাহ তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা রাখে। ৫. সুতির কাপড়ের তৈরি নিম্নাঙ্গের বস্ত্রাদি পরিধান করুন এবং ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করুন। ৬. আপনার যৌনাঙ্গ প্রতিদিন একবার পরিস্কার পানি দিয়ে ধৌত করুন। মহিলাদের ক্ষেত্রে: ১. আপনি যদি ডায়াফার্ম ব্যবহার করেন, সেক্ষেত্রে এটা উষä ফেনায়িত জলে ধুয়ে সাবধানে জল নিংড়িয়ে শুকতে দিন। যদি আপনার ইনফেকশান বা ক্ষতগুলো পুন:পুন: জন্মাতে থাকে সেক্ষেত্রে ডাক্তারকে দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে নিন সেটা কি ডায়াফার্মের সঠিক আকার না হবার কারণে ঘটছে কি না। যদি আকার পরিবর্তন করার পরও আপনার সমস্যার সমাধান না হয় সেক্ষেত্রে জন্মনিয়ন্ত্রনের অন্য কোন পদ্ধতি অবলম্বন করুন। ২. মূত্রনালীকে ব্যাকটেরিয়া মুক্ত রাখতে সবসময় টয়লেট থেকে বেরোবার আগে নিজেকে ভালোভাবে পরিস্কার করে নিন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ