রুট (Root) শব্দটা এসেছে লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে। লিনাক্স ব্যবহারকারীদের মধ্যে যাদের রুট প্রিভিলেজ বা সুপারইউজার পারমিশন আছে তাদেরকে রুট ইউজার বলা হয়। এন্ড্রয়েড তৈরি হয়েছে লিনাক্স ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম থেকে। এন্ড্রয়েড ডিভাইসে রুট পারমিশন মানে সিস্টেম ফাইল এডিট করার পারমিশন আদায় করাকে রুট করা বলে। এটাকে ফোন হ্যাক করাও বলা যেতে পারে।
আপনার সেট যখন কিনতে যান তখন প্যাকের গায়ে সেট মেমরি ৪ জিবি লেখা থাকলেও সত্যিকার অর্থে আপনি ৪ জিবি সেট মেমরি পান না। এটা হয় ২ জিবি/৩ জিবি ইত্যাদি। তাহলে বাকি মেমোরি কোথায়, মোবাইল কোম্পানি কি ভুল ইনফো দেয়? না আসলে অ্যান্ড্রয়েড পরিচালনা করতে কতগুলো সিস্টেম ফাইল থাকে। আর ঐ মিসিং মেমোরি স্টোরেজ এসব ফাইলের জন্যই বরাদ্দ। তবে সিস্টেম ফাইলে আপনি প্রবেশ করতে পারবেননা, কারন এখানে মোবাইলের সিকিউর তথ্যাদি সংরক্ষণ করা থাকে। কিন্তু ফোন রুট করলে আপনি এসব ফাইলে প্রবেশ এবং পরিবর্তন করতে পারবেন। আর রুটের মানে এটাই। রুট করা এন্ড্রয়েডে আপনি সাধারণত যা যা করতে পারবেন: ১। যেকোনো গেম হ্যাক (অনলাইন গেম ব্যাতীত) ২। Boot logo পরিবর্তন। ৩। যেকোনো অ্যাপ কে সিস্টেম অ্যাপ হিসেবে ইন্সটল (অর্থাৎ মোবাইল Erase/Restore দিলেও উক্ত অ্যাপগুলো থাকবে) এছাড়াও বিশেষ কিছু অ্যাপ যারা আপনার রুট এক্সেস ছাড়া কাজ করবেনা।