শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

ট ছাড়া আজকের যুগ, ভাবাই যায় না। কিন্তু ইন্টারনেটের ফলে প্রতিদিন নতুন নতুন অপরাধের সঙ্গে আমাদের পরিচয় ঘটছে। ইন্টারনেটে নানাভাবে হয়রানি ও প্রতারণার শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। অপরিচিত মানুষকে বিশ্বাসের শাস্তি হিসেবে অনেক সময় মৃত্যুকে আলিঙ্গন করছেন তারা। খবর দ্য টেলিগ্রাফের। এদের মধ্যে কম বয়সীর সংখ্যাই বেশি। এমনই একজনের নাম আমান্ডা টড। ১৫ বছর বয়সী কানাডার এ কিশোরী গত ১০ অক্টোবর নিজ বাড়িতে আত্মহননের পথ বেছে নেন। ইন্টারনেটে স্পর্শকাতর চিত্র প্রকাশের সূত্র ধরে শারীরিক ও মানসিক নিযার্তনের শিকার হয় মেয়েটি। মৃত্যুর তিন দিন আগে সে ইউটিউবে আপলোড করা একটি ভিডিওতে ফ্ল্যাশ কার্ডের মাধ্যমে তার হতাশা ও ক্ষোভ সবার কাছে প্রকাশ করে। আমান্ডা টডের আত্মঘাতী হওয়ার পেছনে তার পরিবার ও গণমাধ্যম সাইবার বুলিংকে দায়ী করছে। কাউকে হেনস্থা করার জন্য অপরাধীরা ওয়েবসাইট ব্যবহার করলে তাকে বলা হয় সাইবার বুলিং। এ ক্ষেত্রে অপরাধীরা সবচেয়ে কার্যকর অস্ত্র হিসেবে ফেসবুক বা টুইটারের মতো জনপ্রিয় সোশাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইট ব্যবহার করে। শুধু সাইবার বুলিংই নয়, ইন্টারনেটের বেশ কিছু ওয়েবসাইট কম বয়সীদের অনেককে আত্মঘাতী হওয়ার ব্যাপারে উত্সাহ দিচ্ছে। ১৫ বছর বয়সী ব্রিটিশ কিশোরী তাল্লুলাহ উইলসন আনোরেক্সিয়ায় ভুগছিল। গত ১৯ অক্টোবর লন্ডনের সেন্ট প্যানক্রাস স্টেশনের রেলপথের ওপর তাকে মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়। চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেয়া এ মেয়েটির টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকেও আত্মঘাতী হওয়ার লক্ষণ প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু স্কুলের অনেকের কাছে এ মেয়ে সৃষ্টিশীল, বুদ্ধিমতী ও মিশুক বলে পরিচিত ছিল। প্রতি বছর ১১ হাজার ডলার পরিশোধ করা একটি প্রাইভেট স্কুলে পড়ুয়া এ মেয়ের জীবনে কোনো অভাব না থাকাই স্বাভাবিক।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ