শীতের দিনে মোজা পরলে নারীরা দ্রুত যৌন তৃপ্তি লাভ করেন। হ্যাঁ, শুনতে অদ্ভুত শোনালেও এটা সত্য। আসল ব্যাপারটা হচ্ছে শীতের মাঝে পা উষ্ণ থাকলে যৌন মিলনে নারীরা অরগাজম পান দ্রুত। অন্যদিকে পা যদি ঠাণ্ডায় জমে হিম হয়ে থাকে, তাহলে ঘটে ভিন্ন ঘটনা। তাই ডাচ বিজ্ঞানীদের মতে শীতের দিনে যৌন মিলনের সময়ে পায়ে মোজা পরে থাকাটাই বুদ্ধিমানের কাজ! University of Groningen এর একটি ছোট্ট গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে এই তথ্য। ডাচ গবেশন Gert Holstege (M.D. Ph.D) তাঁর গবেষণায় দেখেন যে মোজা পরার পর নারীদের অরগাজম বা চূড়ান্ত যৌন তৃপ্তি লাফের হার অন্তত ৩০% ভাগ পর্যন্ত বেড়ে যায়। মূলত ঠাণ্ডার মাঝে পায়ে মোজা থাকলে তা শরীরকে রাখে উষ্ণ, যোগায় নিরাপত্তা ও আরামের অনুভূতি। আর ক্রমশ কমে যেতে থাকে দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ ও ভয়ের মত অনুভূতি। আর এই অনুভূতিগুলো যত কমে, চূড়ান্ত তৃপ্তি লাভ ততই সহজে প্রাপ্ত হয়। এই গবেষণার জন্য গবেষকরা প্রথমে নারীদের কাছ হতে তাঁদের অরগাজম সম্পর্কিত তথ্য আহরণ করেন। এতে দেখা যায় স্বাভাবিক অবস্থায় বা মোজা ছাড়া যৌন মিলনে মোটামুটি ৫০ ভাগ পর্যন্ত নারী অরগাজম লাভ করেছেন। এরপর তাঁদেরকে বলা হয় মোজা পরিধান করতে যৌন মিলনের সময়। এবং ফলাফল পাওয়া যায় বিস্ময়কর। দেখা যায় ৮০ ভাগ পর্যন্ত নারী অরগাজমের কথা জানিয়েছেন। এবং সেই অরগাজম ছিল দীর্ঘস্থায়ী ও আনন্দময়। পা ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া আক্ষরিক অর্থেই মনের ওপরে প্রভাব ফেলে, মুড নষ্ট করে দেয় নিমিষে। অন্যদিকে উষ্ণ পা রোমান্সের আবহাওয়াকে চাঙা করে তোলে নিমিষে। মোজা ছাড়াও পায়ে ম্যাসাজ করে দেয়া, উষ্ণ তেল লাগানো, কম্বলের নিচে পা গরম রাখা, গরম পানির স্নান ইত্যাদি উপায়ও কার্যকর। তবে মোজাটাই সবচাইতে সহজ। সূত্র- এলিট ডেইলি, examiner.com, elephantjournal.com
সেক্স (sex)। অর্থাৎ শারীরিক মিলন। এক কথায় শরীরের খেলাও বলতে পারেন। এক এক যুগলের এনজয় করার পদ্ধতি এক এক রকম তো হবেই। কেউ দীর্ঘ সময় ধরে এনজয় করেন। কেউ বা অল্পেতে খুশি। তবে শারীরিক মিলনের মধ্যে মেয়েদের অর্গ্যাজমের (Orgasm) বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই পর্যন্ত না পৌঁছলে আপনি আসল মজা এনজয় করতে পারবেন না। কারও দ্রুত অর্গ্যাজম হয়। কারও ক্ষেত্রে সময় লাগে অনেকটা। কিন্তু কিছু কিছু বিষয় মাথায় রাখলে মেয়েদের দ্রুত অর্গ্যাজম হতে পারে। কোন কোন বিষয়? তা নিয়ে আমরা আলোচনা করার চেষ্টা করলাম।
১) ফোর প্লেতে বেশি সময় দিন
শারীরিক মিলনের আগে ফোর প্লে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মহিলাদের অর্গ্যাজমে পৌঁছনোর জন্য ফোর প্লেতে অনেক বেশি সময় দেওয়া উচিত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এই সময় সঙ্গীর প্রতিটি স্পর্শও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। প্রেমিকাকে জড়িয়ে ধরুন। হাতে হাত রাখুন। অথবা স্পর্শকাতর অঙ্গ স্পর্শ করে তাঁর শরীরকে জাগিয়ে তুলুন। চুমু খাওয়ার সময় যখন প্রেমিকার সারা শরীরে সঙ্গীর হাত ঘোরাফেরা করে তখনও ধীরে ধীরে অর্গ্যাজমের দিকেই এগিয়ে যান তাঁরা। আঙুল বুলিয়ে দিন প্রেমিকার চুলে। স্তন অবশ্যই অত্যন্ত স্পর্শকাতর। বৃন্তে সঙ্গীর স্পর্শে পৌঁছে যেতে পারেন অর্গ্যাজমে। কিন্তু মনে রাখবেন, স্তনই একমাত্র স্পর্শকাতর অঙ্গ নয়। ঘাড়, খোলা পিঠে খেলা করুক সঙ্গীর হাত। ফোর প্লে-র সময় শরীরের বিভিন্ন জায়গায় চুমু খাওয়াটা মাস্ট। এক একদিন প্রেমিকার শরীরের এক একটা অংশ আবিষ্কারের নেশায় মেতে উঠুন। বহু মহিলা কিন্তু কথা বলতে শারীরিক মিলনের সময় পছন্দ করেন। তাঁর কতটা ভাল লাগছে, সেটা মুখে বলে প্রকাশ করতে চান অনেকেই। প্রেমিকাকে সেই সুযোগটা দিতে হবে।
২) প্রেমিকার স্পর্শকাতর অঙ্গ সম্পর্কে ধারণা থাকা জরুরি
প্রেমিকার শরীরের খুঁটিনাটি আপনার নখদর্পণে থাকতে হবে। তবেই তাঁর শরীর সঙ্গী হিসেবে আপনি জাগিয়ে তুলতে পারবেন। প্রেমিকার জি স্পট সম্পর্কে ধারণা থাকাটা জররি। কোন কোন অঙ্গ স্পর্শ করলে প্রেমিকা সবচেয়ে বেশি সুখ পান, তা বুঝতে চেষ্টা করুন। শুধু যৌনাঙ্গ নয়। কানের লতি, ঘাড়, স্তনের মতো বেশ কিছু অঙ্গ স্পর্শকাতর। এটি এক একজনের ক্ষেত্রে এক এক রকম। অর্গ্যাজম দ্রুত হওয়ানোর জন্য ওই নির্দিষ্ট অঙ্গের আদর প্রয়োজন।
৩) মেয়েদের কমর্ফটেবল সেক্স পজিশন ট্রাই করুন
বিভিন্ন রকম সেক্স পজিশন রয়েছে। তা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। কিন্তু যখনই মেয়েরা যে ধরনের পজিশনে স্বচ্ছন্দ সে সব ট্রাই করবেন, স্বাভাবিক ভাবেই অর্গ্যাজম দ্রুত হবে। অবশ্য এটিও ব্যক্তি বিশেষের পছন্দের উপর নির্ভর করে। তাই প্রেমিকার কোন সেক্স পজিশন বেশি পছন্দ জেনে নিন। তাঁকেই লিড করার সুযোগ দিন। অর্গ্যাজম দ্রুত হতে বাধ্য।