শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

প্রথমেই বলে নিই ভালো থাকার কোন সহজ পন্থা নেই। সহজ পন্থায় ভালোথাকা যায় না। ভালো থাকতে হলে আপনাকে তাফসীরে কুরআন পড়তে হবে, নামাজ পড়তে হবে, আল্লাহর হুকুম আহকাম জেনে সে অনুযায়ী নিজের জীবন পরিচালনা করতে হবে। অসৎকাজ, মদ, জুয়া, জেনা, ব্যাভিচার, লোক ঠকানো ওজনে কম দেওয়া ইত্যাদি এক কথায় আপনাকে ইসলামের মধ্যে পরিপূর্ণ রুপে প্রবেশ করতে হবে। আর আপনি কখন বুঝবেন যে আপনার কাজগুলো ভালো কাজের অন্তর্গত? যখন কেউ আপনার ভালো কাজের প্রতিবাদ করবে তখনই বুঝতে পারবেন। এই প্রশ্নের বেশিরভাগ উত্তরগুলোও ভালোকাজের প্রমাণ। কারন সবাই ভালো কথা লিখলো আর কিনা সব উত্তর অপছন্দ হয়ে গেলা। আজব! আল্লাহ সুরা-বাক্বারার ২০৮ নং আয়াতে বলেন "হে ঈমানদারগণ! তোমরা ইসলামের মধ্যে পরিপূর্ণরুপে প্রবেশ করো আর শয়তানের পথ অনুসরণ করো না। কেননা শয়তান তোমাদের প্রকাশ্য দুশমন।" আর এর পরের আয়াতেই আল্লাহ বলেছেন "তোমাদের নিকট এই সুস্পষ্ট বিধান আসার পরেও যদি কারো পদচ্যুত ঘটে থাকে তাহলে জেনে রেখো আল্লা মহাপরাক্রমশালী ও মহা প্রজ্ঞাময়" হযরত উমর (রাঃ) কে একবার প্রশ্ন করা হলো যে, তাকওয়া কি? উত্তরে তিনি বললেনঃ- তাকওয়া এমনি এক কন্টকময় রাস্তা সে রাস্তায় চলতে হলে জামা-কাপড় আটসাঁট বেধে চলতে হয়। তবুও উপরে যারা উত্তর দিছেন সবার উত্তরের মাঝেই ভালোথাকার উপায় আছে। এই প্রশ্নের উত্তরে পূর্বে যারা উত্তর দিয়েছেন তাদের মধ্য থেকে প্রশ্নকর্তা সেরা উত্তর নির্বাচন করেছেন। তারপরেও দেখি কে বা কারা বেশির ভাগ উত্তর অপছন্দ করেছেন। আমি ভাববো তাদের কাছে ভালো থাকার অন্যকোন উপায় নিশ্চই আছে। তাহলে আপনারা বলে দিন যেন আমরা আপনার দেখানো পথে চলতে পারি। আর যদি তা না পারেন তবে আপনাদের মত মানুষ যারা তারা মানুষ নামের মুখোশ পরে থাকার দরকার নেই।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

১) প্রতিরোধই উত্তম: একটু সময় নিয়ে নিজের মানসিকতা বোঝার চেষ্টা করুন। নিজেকে জানুন। কোন বিষয়গুলো আপনাকে বিষণ্ণতায় তলিয়ে দিচ্ছে, তা ভাবুন। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা থেকে দূরে থাকুন, সুষম ডায়েট অনুসরণ করুন, এগুলো বিষণ্ণতা প্রতিরোধের সর্বোত্তম উপায়। ২) শরীরচর্চা করুন: একটি ভালো ব্যায়াম ক্লাব বা জিমে ভর্তি হয়ে যান কিংবা বাড়িতে ও পার্কে নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। ৩) সুষম ডায়েট অনুসরণ করুন: অনেকেই আছেন যারা শরীর থেকে অতিরিক্ত মেদ ঝরিয়ে স্লিম হতে চান। আর সে লক্ষ্যে নিজের ইচ্ছামতো ডায়েট মেনে চলেন। আর, খাওয়া-দাওয়া অনেকটা কমিয়ে নানা রোগ বাধিয়ে বসে থাকেন। কিন্তু, এটা কখনও হয়তো ভাবেন না যে, কম বা বেশি নয় বরং পরিমিত মাত্রায় পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। ৪) পর্যাপ্ত ঘুমান: হতাশা, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় ঘুমের সময়ে তারতম্য হতে পারে। কেউ হয়তো বেশি ঘুমান, কেউ কম। কেউ কেউ অনিদ্রার সমস্যায় ভোগেন। প্রাপ্তবয়স্ক হলে, ৭ থেকে ৮ ঘণ্টার বেশি ঘুম নয়। আবার কমও নয়। এটা মাথায় রাখুন। ভালো ঘুম বা সুনিদ্রার বিকল্প নেই। ৫) প্রকৃতির সংস্পর্শে থাকুন: শহরে থাকলে সুনির্মল প্রকৃতির সংস্পর্শ পাওয়াটা বেশ কঠিন। তারপরও আশপাশে বড় বা ভালো কোন পার্ক থাকলে ভোরে ঘুম থেকে উঠে সেখানে চলে যান। দিনে অন্তত ৩০ মিনিট এভাবে সময় ব্যয় করুন। ৬) সৃজনশীল হয়ে উঠুন: নিজের চিন্তাধারাকে আরও বেশি সৃজনশীল করে তুলুন। প্রত্যেকেরই সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত কিছু অসাধারণ গুণাবলী রয়েছে। নিজের মধ্যে সেগুলো আবিষ্কার করুন ও কাজে লাগান। ৭) বই পড়ুন: লাইব্রেরি বা পাঠাগারে গিয়ে কিছুটা সময় কাটাতে পারেন। খবরের কাগজ বা বই এখন ইন্টারনেটেই পড়া যায়। তা সত্ত্বেও কাগজের পাতা উল্টে বই পড়ার আনন্দ পেতে কিছু বই সংগ্রহ করা মন্দ নয়। ধর্মীয় বই পড়লেও মনে প্রশান্তি আসবে। ৮) মানুষের উপকার করুন: অন্য মানুষের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন। প্রতিদিন অন্তত একজন মানুষের উপকার করুন। দুঃস্থ, অসহায় কোন মানুষের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটান ও তাকে সাহায্য করুন। তার অবস্থা মন থেকে বোঝার চেষ্টা করুন। দেখবেন প্রশান্তিতে মন ভরে উঠেছে। ৯) সমস্যার কথা শেয়ার করুন: খুব কাছের কয়েকজনের সঙ্গে নিঃসঙ্কোচে নিজের সমস্যার কথাগুলো মন খুলে বলুন। সমস্যাগুলো থেকে সমাধানের উপায় খুঁজতে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করুন। ১০) বন্ধুকে পাশে রাখুন: একাকীত্বকে আপন করে নিয়ে নিঃসঙ্গ থাকা বোকাদের কাজ। তাই দুঃসময়ে বন্ধুদের পাশে রাখুন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ