মূলত অস্ত্রোপচার বা অপারেশনই হল ফাইব্রয়েড টিউমারের প্রধান চিকিৎসা। ওষুধের মাধ্যমে এর কোনো স্থায়ী চিকিৎসা নেই। প্রচলিত অস্ত্রোপচার প্রধানত দুই ধরনের-
১) জরায়ু কেটে ফেলে দেওয়া ( ( Hysterectomy) এবং ২. জরায়ুর দেয়াল থেকে ফাইব্রয়েড কেটে তুলে ফেলা (Myomactomy)।

বর্তমানে দুটি পদ্ধতিতে জরায়ুর টিউমারের অপারেশন করা হয়- ছিদ্র করে এবং পেট কেটে। প্রচলিত এই দুই ধরনের অস্ত্রোপচারেই বেশ রক্তপাত হয়ে থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই  প্রচলিত অপারেশনর সময় জরায়ু কেটে ফেলা হয়। তাছাড়া এ ধরনের অস্ত্রোপচারের পর গর্ভধারণের সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যায় । তবে আশার কথা হল জরায়ু টিউমারের চিকিৎসায় যুগান্তকারী পরিবর্তন নিয়ে এসেছে লেজার সার্জারি। এই পদ্ধতিতে কাটা-ছেড়া ও রক্তপাতহীনভাবে লেজারের মাধ্যমে ল্যাপ্রোস্কোপ ও গজও গাইডেন্সে জরায়ু টিউমারের চিকিৎসা করা সম্ভব হয়েছে। অত্যাধুনিক এই চিকিৎসা পদ্ধতিটি ম্যাগনেটিক রিজোনেন্স ইমেজ (Magnetic Resonance Image-MRI) guided Percutaneous Laser Ablation বা লেজার আবলাশন নামে পরিচিত। উন্নত দেশের মতো কাটা-ছেঁড়া ছাড়া, রক্তপাতহীন ও ঝুঁকিমুক্তভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ করে তোলার এই চিকিৎসা এখন বাংলাদেশেও হচ্ছে। এ পদ্ধতিতে জরায়ু অপসারণ বা কেটে না ফেলে নারীত্ব ও মাতৃত্ব অক্ষুণ্ন রেখে স্বল্প সময়ে টিউমার থেকে সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব। ডা. মোহাম্মদ ইয়াকুব আলী: লেজার সার্জারী বিশেষজ্ঞ, পরিচালক, ইনস্টিটিউট অব লেজার সার্জারি অ্যান্ড হসপিটাল।     
আরো তথ্যের প্রয়োজনে : http://dainikamadershomoy.com/lifestyle/health/49504/
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ