এমআইটি (ম্যাসাচুয়েটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলোজি) এর অধ্যাপক দিনা কাটাবি ও অনার্সের ছাত্র ফাদেল আদিব ওয়াই-ভাই নামক এই নতুন প্রযুক্তি তৈরির ঘোষণা দিয়েছেন। এটি ওয়াই-ফাই প্রযুক্তি ব্যবহার করে। ফলে দেয়ালের পিছনে একটি লোক কী করছে তা সহজেই আপনার দৃষ্টি গোচর হবে। ওয়াই-ভাই (Wi-Vi) আসলে ওয়াই-ফাই (Wi-Fi) এবং দৃশ্য (Vision) শব্দ দুইটির একটি সমন্বিত রূপ।
আগের পরীক্ষাগুলোতে দেখা গেছে যে, মানুষের উপর পড়া তারহীন আন্তঃসংকেত এর ক্ষুদ্র প্রতিফলনের মাধ্যমে কোন ব্যাক্তির হাটাচলা চিহ্নিত করা সম্ভব হত। কিন্তু সেক্ষেত্রে রুমে অবশ্যই একটি তারহীন রাউটার থাকা দরকার ছিল বা যে অংশ পর্যন্ত ঐ রাউটারটির তরঙ্গ বিস্তৃত ছিল সে পর্যন্ত কাজটি পরিচালনা করা যেত।
নতুন এই প্রযুক্তিটি যে যন্ত্র ব্যবহার করছে সেখানে যে ধরণের এন্টেনা ব্যবহার করা হচ্ছে একই এন্টেনা আমরা মোবাইলের ডিভাইসেও দেখতে পাই। তাই আশা করা যাচ্ছে এই প্রযুক্তি মোবাইলেও চলবে সফলতার সাথে।
এই প্রযুক্তির কৌশল হল – সব ধরনের ইন্টারফারিং সিগনাল (ব্যতিচার সংকেত) বাদ দিয়ে দেয়া। ওয়াই-ফাই শুধু মানুষের মধ্যে দিয়েই অতিক্রম করে যেতে পারে না, বরং দেয়াল, মেঝে বা আসবাবপত্রের মধ্য দিয়েও অতিক্রম করে যেতে পারে। আর এই সংকেত মানব দেহের প্রতিফলনের সংকেত থেকেও প্রায় ১০,০০০ থেকে ১০০,০০০ গুণ বেশি শক্তিশালী।
কাটাবির ওয়াই-ভাই দুই ধরনের সংকেত পাঠায়। এরা একটি অপরটির বিপরীত। এই সংকেত দ্বয় পরস্পরকে নিষ্ক্রিয় করে ফেলে যতক্ষন না পর্যন্ত এরা কোন লক্ষ্যবস্তুর (যেমন-মানুষ) কাছে গিয়ে পৌছায়। আর এ কারনেই কাটাবি এদেরকে ইন্টারফারিং নালিং (ব্যাতিচার শূণ্য) বলেছেন।
তিনি আরও বলেন- “শব্দসহ অযাচিত যেকোন কিছুকে নিষ্ক্রিয় করার জন্য আমরা পুরো ওয়াই-ভাই কাঠামোকে একটি ভিন্ন আঙ্গিকে সাজিয়েছি।”
এই যন্ত্রটি বহনযোগ্য। তাই কেউ যদি ঝোপে-ঝাঁরে লুকিয়ে থাকা কোন চোর বা ডাকাতের ভয়ে ভীতও থাকে সমস্যা নেই। যন্ত্রটি স্ক্যানের মাধ্যমে তিনি খুব সহজেই পরীক্ষা করে নিতে পারবেন আসলে কেউ আছে কিনা।
ওয়াই-ভাই হাই-টেক বেবি রক্ষনাবেক্ষন বা কল্পকাহিনীর সেই সুপার ম্যানের কাজেও ব্যবহার করা যাবে। তাছাড়া পুলিশ বা র্যাবের অপরাধী ধরার মিশনের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা যাবে সফলতার সাথে।
তো আর কি! দেখাই যাক না কবে মানুষ কবে পেতে যাচ্ছে এই নব-প্রযুক্তির নব-সুবিধা।