শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
RafiaBegum

Call

নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হিজরত করে মদীনা আগমণ করে দেখেন ইহুদীরা মুহার্‌রামের দশ তারিখে রোযা পালন করছে। নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ فَأَنَا أَحَقُّ بِمُوسَى مِنْكُمْ فَصَامَهُ وَأَمَرَ بِصِيَامِهِ “আমরা মূসার অনুসরণ করার ব্যাপারে তোমাদের চাইতে অধিক হকদার। তিনি নিজে সে দিনের রোযা রাখলেন এবং ছাহাবীদেরকেও নির্দেশ দিলেন।” বুখারী ও মুসলিমে বর্ণিত ইবনু আব্বাসের হাদীছে বলা হয়েছে, নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আশুরা দিবসে রোযা রেখেছেন এবং ছাহাবীদেরকে রোযা রাখার ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছেন। এ রোযার ফযীলত সম্পর্কে তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলে, নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, أَحْتَسِبُ عَلَى اللَّهِ أَنْ يُكَفِّرَ السَّنَةَ الَّتِي قَبْلَهُ “আল্লাহ্‌র কাছে আশা করি তিনি বিগত এক বছরের গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন।” কিন্তু ইহুদীদের বিরোধীতা করার জন্য তিনি এর একদিন পূর্বে ৯ তারিখ অথবা এক দিন পরে ১১ তারিখ রোযা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। সুতরাং আশুরার রোযার ক্ষেত্রে উত্তম হচ্ছে, মুহার্‌রমের দশ তারিখের সাথে ৯ তারিখ অথবা ১১ তারিখের রোযা রাখা। অবশ্য ১১ তারিখের চেয়ে ৯ তারিখ রোযা রাখা অধিক উত্তম। বিষয়/প্রশ্নঃ (৪৪২) গ্রন্থের নামঃ ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম বিভাগের নামঃ ছিয়াম (রোযা) লেখকের নামঃ শাইখ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমীন (রহঃ) অনুবাদ করেছেনঃ আবদুল্লাহ শাহেদ আল মাদানি - আবদুল্লাহ আল কাফী

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ