রুট করার অসুবিধা ওয়ারেন্টি হারানোঃ ডিভাইস রুট করার মাধ্যমে আপনার ওয়ারেন্টি বাতিল হয়ে যাবে। তাই রুট করার আগে সাবধান। অবশ্য অনেক সেট আবার আনরুট করা যায়। আর সেট আনরুট করা হলে তা সার্ভিস সেন্টারে থাকা টেকনিশিয়ানরা অনেক সময়ই ধরতে পারেন না যে সেটটি রুট করা হয়েছিল। তবে কাস্টম রম থাকলে ধরা খাওয়া এড়ানোর উপায় নেই। ফোন ব্রিক করাঃ ব্রিক অর্থ ইট। আর ফোন ব্রিক মানে আপনার ডিভাইসকে ইটে রূপান্তরিত করা। অর্থাৎ, এর কাজ করার ক্ষমতা হারানো। রুট করা ও এর পরবর্তী বিভিন্ন কাজের সময় একটু এদিক-সেদিক হলেই ফোনে স্থায়ী বা অস্থায়ী সমস্যা হতে পারে। আপনার ফোনের প্রস্তুতকারক কোম্পানি ফোনটি আনরুট অবস্থায় দেন যেন এর ক্ষতি না হয়। রুট করার মাধ্যমে আপনি সেই নিশ্চয়তা ভেঙ্গে ফেলছেন।
রুট করার অসুবিধা সমূহঃ
ব্রিকিং/ ব্রিক ডিভাইসঃ
যদি ভুল রম ইন্সটল করেন যেটা আপনার ফোনের সাথে কম্প্যাটিবল না বা রুট প্রসেসের কোন ধাপ অসাবধানতাবশত ভুল করে ফেললে বা বাংলাদেশে যেটা হতে পারে- মাঝখান দিয়ে কারেন্ট চলে গেলে( যার কারণে আমি আমার Motorola Xoom ট্যাবলেট বহুত ভয়ে ভয়ে রুট করেছি, ইয়ে!! আমি এখন Root User) আপনার ডিভাইসটি ব্রিক হয়ে যেতে পারে। ব্রিক মানে হচ্ছে আক্ষরিক অর্থে যা বোঝায় তাই- ইটা। আপনার সাধের এন্ড্রয়েড ডিভাইসটি একটা দামি ইটের টুকরায় পরিণত হবে। সফট ব্রিক( Soft Brick) হলে তাও আশা আছে, হার্ড ব্রিক(Hard Brick) হলে মুড়ি ভাজেন!
ওয়ারেন্টি নষ্টঃ
কোন কোম্পানিই চায় না তাদের ডিভাইসটাকে কেউ কাস্টমাইজ করুক। যার কারণে ওয়ারেন্টি থাকাকালীন সময়ে রুট করলে আপনি আপনার ওয়ারেন্টি ভয়েড বা নষ্ট করে ফেলবেন।
স্লো স্পিডঃ
যদিও স্পিড বাড়ানোর জন্যই আপনার ফোন আপনি রুট করবেন, কিন্তু ঠিক ভাবে কনফিগার করতে না পারলে আপনার ডিভাইস ফাস্ট না হয়ে উল্টো স্লো হয়ে যাবে।
রিস্ক বলতে গেলে এটুকুই। এছাড়া ভাইরাসের কিছু ভয় আছে।
ধন্যবাদ।