শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

ভাই আপনি এই লিংক(this HTML class. Value is https://kamalahmedba) এ ক্লিক করুন,,,, এখানে রুট করা সম্পর্কে ছবিসহ বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

সবচেয়ে সহজ শব্দে বলা যায়, রুট হচ্ছে অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বা প্রশাসক। যদিও এর বাংলা অর্থ গাছের শিকড়, লিনাক্সের জগতে রুট বলতে সেই পারমিশন বা অনুমতিকে বোঝায় যা ব্যবহারকারীকে সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী করে তোলে (অবশ্যই কেবল সেই কম্পিউটার, ডিভাইস বা সার্ভারে!)। রুট হচ্ছে একটি পারমিশন বা অনুমতি। এই অনুমতি থাকলে ব্যবহারকারী সেই ডিভাইসে যা ইচ্ছে তাই করতে পারেন। উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে ব্যবহারকারী অ্যাডমিনিস্ট্রেটর প্রিভিলেজ ছাড়া সিস্টেম ফাইলগুলো নিয়ে কাজ করতে পারেন না (যেগুলো সাধারণত সি ড্রাইভে থাকে)। লিনাক্সেও তেমনি রুট পারমিশন প্রাপ্ত ইউজার ছাড়া সিস্টেম অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের কাজগুলো করা যায় না। যিনি লিনাক্স-চালিত কম্পিউটার বা সার্ভারে যা ইচ্ছে তাই করতে পারেন অথবা যার সব কিছু করার অনুমতি রয়েছে, তাকেই রুট ইউজার বলা হয়। অনেক সময় একে সুপারইউজার বলেও সম্বোধন করা হয়ে থাকে।

শব্দটি এতোই প্রচলিত হয়ে গেছে যে, রুট ইউজার বলার বদলে সরাসরি রুট বলেই সেই ব্যবহারকারীকে সম্বোধন করা হয়। অর্থাৎ, আপনার লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের আপনি যদি রুট অ্যাক্সেস প্রাপ্ত ব্যবহারকারী হন, তাহলে আপনি রুট।

ডিভাইস প্রস্তুতকারকরা ইচ্ছে করেই ডিভাইস লক করে দিয়ে থাকেন। রুট ফোল্ডার/পার্টিশনে থাকা ফাইলগুলো অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এর কোনো একটি দুর্ঘটনাবশতঃ মুছে গেলে আপনার পুরো ডিভাইস কাজ করা বন্ধ করে দিতে পারে। এছাড়াও ম্যালিশিয়াস বা ক্ষতিকারক প্রোগ্রামও অনেক সময় রুট করা ডিভাইসের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে পারে। কিন্তু লক থাকা অবস্থায় ব্যবহারকারী নিজেই রুট অ্যাক্সেস পান না, তাই অন্য প্রোগ্রামগুলোর রুট অ্যাক্সেস পাওয়ার সম্ভাবনাও নেই বললেই চলে।

ডিভাইস লক করা থাকার আরেকটি কারণ হচ্ছে সিস্টেম অ্যাপ্লিকেশন ও ফাইল। অনেকেই ইন্টারনাল মেমোরি খালি করার জন্য বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন এসডি কার্ডে ট্রান্সফার করে থাকেন। রুট করা থাকলে সিস্টেম অ্যাপ্লিকেশনগুলোও ট্রান্সফার করে ফেলা যায়। কিন্তু অপারেটিং সিস্টেমের কিছু ফাইল রয়েছে যেগুলো ইন্টারনাল মেমোরির ঠিক যেখানে আছে সেখানেই থাকা আবশ্যক। ব্যবহারকারী যখন ডিভাইস রুট করেন, তখন স্বভাবতঃই অনেক কিছু জেনে তারপর রুট করেন। তখন বলে দেয়াই থাকে যে, কিছু কিছু সিস্টেম অ্যাপস এসডি কার্ডে ট্রান্সফার করলে সমস্যা হতে পারে। কিন্তু যদি স্বাভাবিক অবস্থায়ই সেট রুট করা থাকে, তাহলে ব্যবহারকারী না জেনেই সেটের ক্ষতি করতে পারেন।

পারফরমেন্স বাড়ানোঃবিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে ডিভাইসের অব্যবহৃত ফাইল, টেমপোরারি ফাইল ইত্যাদি নিয়মিত মুছে ফোনের গতি ঠিক রাখা।

ওভারক্লকিং করাঃ সিপিইউ স্পিড স্বাভাবিক অবস্থায় যতটা থাকে তারচেয়ে বেশি দ্রুত কাজ করানো। এর মাধ্যমে কোনো বিশেষ কাজে প্রসেসরের গতি বাড়ানোর প্রয়োজন পড়লে তা করা যায়।

আন্ডারক্লকিং করাঃ যখন ডিভাইস এমনিতেই পড়ে থাকে, তখন সিপিইউ যেন অযথা কাজ না করে যে জন্য এর কাজের ক্ষমতা কমিয়ে আনা। এতে করে ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়ানো সম্ভব।

কাস্টম ইউআই: আপনার ডিভাইসের হোমস্ক্রিন, লক স্ক্রিন, মেনু ইত্যাদি বিভিন্ন ইউজার ইন্টারফেসের ডিজাইন একটা সময় পর আর ভালো নাও লাগতে পারে। তখন আপনি ডিভাইসে নতুনত্ব আনতে পারবেন নতুন সব কাস্টম ইউজার ইন্টারফেসের মাধ্যমে। এগুলোকে অন্যভাবে রমও বলা হয়।

কাস্টম রম: ইন্সটল করার সুবিধা। অনেক ডেভেলপার বিভিন্ন জনপ্রিয় ডিভাইসের জন্য কাস্টম রম তৈরি করে থাকেন। এসব রম ইন্সটল করে আপনি আপনার সেটকে সম্পূর্ণ নতুন একটি সেটের রূপ দিতে পারবেন। বাইরে থেকে অবশ্যই এর ডানা-পাখনা গজাবে না বা ক্যামেরা ৫ মেগাপিক্সেল থেকে ৮ মেগাপিক্সেল হবে না।

ওয়ারেন্টি হারানোঃ ডিভাইস রুট করার মাধ্যমে আপনার ওয়ারেন্টি বাতিল হয়ে যাবে। তাই রুট করার আগে সাবধান। অবশ্য অনেক সেট আবার আনরুট করা যায়। আর সেট আনরুট করা হলে তা সার্ভিস সেন্টারে থাকা টেকনিশিয়ানরা অনেক সময়ই ধরতে পারেন না যে সেটটি রুট করা হয়েছিল। তবে কাস্টম রম থাকলে ধরা খাওয়া এড়ানোর উপায় নেই।

ফোন ব্রিক করাঃ  ব্রিক অর্থ ইট। আর ফোন ব্রিক মানে আপনার ডিভাইসকে ইটে রূপান্তরিত করা। অর্থাৎ, এর কাজ করার ক্ষমতা হারানো। রুট করা ও এর পরবর্তী বিভিন্ন কাজের সময় একটু এদিক-সেদিক হলেই ফোনে স্থায়ী বা অস্থায়ী সমস্যা হতে পারে। আপনার ফোনের প্রস্তুতকারক কোম্পানি ফোনটি আনরুট অবস্থায় দেন যেন এর ক্ষতি না হয়। রুট করার মাধ্যমে আপনি সেই নিশ্চয়তা ভেঙ্গে ফেলছেন।

King root apps দিয়ে রুট করতে পারবেন। 

ইনস্টল করে Root Now ক্লিক করুন 1 মিনিট 

পর রুট হয়ে যাবে

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ