শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

সালাতের বাইরে যেমন আজান,একামত,ইমামতি ইত্যাদি ক্ষেত্রে পুরুষ ও মহিলার মধ্যে কিছু পার্থক্য সহিহ হাদিস থেকে জানা যায় কিন্তু সালাতের ভেতর পুরুষ ও মহিলার সালাত আদায়ের পধতির মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে কোন সহিহ হাদিস পাওয়া যায় না। বরং মুহাম্মাদ (সঃ) বলেন-"তোমরা সে ভাবে সালাত আদায় করো,যেভাবে আমাকে আদায় করতে দেখ।" (বুখারি)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

:বিভিন্ন হাদীসের আলোকে বুঝা যায় যে, পুরুষ ও মহিলাদের নামায আদায় পদ্ধতি এক নয়; বরং কয়েক জায়গায় ব্যবধান রয়েছে। যথা: ১। তাকবীরে তাহরীমার সময় পুরুষ হাত উঠাবে কান পর্যন্ত আর মহিলারা হাত উঠাবে বক্ষ বা সীনা পর্যন্ত। দলীল: হাদীসের কিতাব তবারানীতে রয়েছে: ﻋَﻦْ ﻭَﺍﺋِﻞِ ﺑْﻦِ ﺣُﺠْﺮٍ ﻗَﺎﻝَ : ﺟِﺌْﺖُ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲَّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻓَﻘَﺎﻝَ : ‏« ﻫَﺬَﺍ ﻭَﺍﺋِﻞُ ﺑْﻦُ ﺣُﺠْﺮٍ ﺟَﺎﺀَﻛُﻢْ، ﻟَﻢْ ﻳَﺠِﺌْﻜُﻢْ ﺭَﻏْﺒَﺔً ﻭَﻟَﺎ ﺭَﻫْﺒَﺔً، ﺟَﺎﺀَ ﺣُﺒًّﺎ ﻟِﻠَّﻪِ ﻭَﻟِﺮَﺳُﻮﻟِﻪِ ‏» .…. ﻓَﻘَﺎﻝَ ﻟِﻲ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : ‏« ﻳَﺎ ﻭَﺍﺋِﻞُ ﺑْﻦَ ﺣُﺠْﺮٍ، ﺇِﺫَﺍ ﺻَﻠَّﻴْﺖَ ﻓَﺎﺟْﻌَﻞْ ﻳَﺪَﻳْﻚَ ﺣِﺬَﺍﺀَ ﺃُﺫُﻧَﻴْﻚَ، ﻭَﺍﻟْﻤَﺮْﺃَﺓُ ﺗَﺠْﻌَﻞُ ﻳَﺪَﻳْﻬَﺎ ﺣِﺬَﺍﺀَ ﺛَﺪْﻳَﻴْﻬَﺎ » তরজমা: হযরত ওয়ায়িল ইবনে হুজর রা. থেকে বণিত, তিনি বলেন আমি প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দরবারে উপস্থিত হলাম। এরপর নিজের পরিচয় দিতে গিয়ে বললাম, এই হলো ওয়ায়িল ইবনে ‍হুজর। আপনার দরবারে এসেছে, ভয়ে বা আশায় আসেনি বরং আল্লাহ ও তদীয় রাসূলের ভালোবাসায় এসেছে। তিনি বলেন, (এক প্রসঙ্গে) প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে বললেন, হে ওয়ায়িল ইবনে হুজর! তুমি যখন নামায পড়বে তখন তোমার হাতদ্বয় কান বরাবর উঠাবে আর মহিলারা তাদের হাত সীনা বরাবর উঠাবে। (তাবারানী, আল মু‘জামুল কাবীর, হাদীস নং-২৮, মাকতাবা শামিলা) ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﻫُﺸَﻴْﻢٌ، ﻗَﺎﻝَ : ﺃﻧﺎ ﺷَﻴْﺦٌ ﻟَﻨَﺎ ﻗَﺎﻝَ : ﺳَﻤِﻌْﺖُ ﻋَﻄَﺎﺀً، ﺳُﺌِﻞَ ﻋَﻦِ ﺍﻟْﻤَﺮْﺃَﺓِ : ﻛَﻴْﻒَ ﺗَﺮْﻓَﻊُ ﻳَﺪَﻳْﻬَﺎ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼَّﻠَﺎﺓِ؟ ﻗَﺎﻝَ : ‏« ﺣَﺬْﻭَ ﺛَﺪْﻳَﻴْﻬَﺎ » তরজমা: হযরত আতা ইবনে আবী রাবাহ রহ.কে জিজ্ঞসা করা হয়েছে যে, নামাযে মহিলা কতটুকু হাত উঠাবে? তিনি বললেন, সীনা বরাবর। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদীস নং-২৪৭১) ২। পুরুষ যদি চাদর বা কোনো কাপড় দ্বারা আবৃত থাকে তাহলে তারা তাকবীরে তাহরীমার সময় হাতদ্বয়কে চাদরের ভিতর থেকে বের করে কান পর্যন্ত হাত উঠাবে। পক্ষান্তরে মহিলারা তাকবীরে তাহরীমার সময় হাতদ্বয়কে চাদর বা উড়নার ভিতর থেকে বের করবেনা বরং উড়না বা চাদরের ভিতরে রেখেই বক্ষ বা সীনা পর্যন্ত হাত উঠাবে। দলীল: তিরমিযী শরীফে রয়েছে: ﻋَﻦْ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﻠَّﻪِ، ﻋَﻦِ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ، ﻗَﺎﻝَ : ‏« ﺍﻟﻤَﺮْﺃَﺓُ ﻋَﻮْﺭَﺓٌ، ﻓَﺈِﺫَﺍ ﺧَﺮَﺟَﺖْ ﺍﺳْﺘَﺸْﺮَﻓَﻬَﺎ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥُ ‏» : ‏« ﻫَﺬَﺍ ﺣَﺪِﻳﺚٌ ﺣَﺴَﻦٌ ﺻَﺤِﻴﺢٌ ﻏَﺮِﻳﺐٌ» তরজমা : “সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রা. রাসূলুল্লাহ সা. থেকে রিওয়ায়াত করেন: মহিলারা হচ্ছে আবৃত থাকার বস্তু।” তিরমিযী শরীফ, হাদীস নং-১১৭৩) এই হাদীসে যেহেতু মহিলাদেরকে আবৃত থাকার বস্তু বলা হয়েছে, কাজেই তারা নামাযের মধ্যে পুরুষের ন্যায় হাতকে চাদরের ভিতর থেকে বের করবেনা। তাছাড়া এই বক্তব্যটি হযরত আতা রহ. এর উক্তি দ্বারাও সমথিত। তিনি বলেন: ﻋَﻦِ ﺍﺑْﻦِ ﺟُﺮَﻳْﺞٍ، ﻋَﻦْ ﻋَﻄَﺎﺀٍ ﻗَﺎﻝَ : ‏« ﺗَﺠْﻤَﻊُ ﺍﻟْﻤَﺮْﺃَﺓُ ﻳَﺪَﻳْﻬَﺎ ﻓِﻲ ﻗِﻴَﺎﻣِﻬَﺎ ﻣَﺎ ﺍﺳْﺘَﻄَﺎﻋَﺖْ » অর্থাৎ, মহিলাগণ দাঁড়ানো অবস্থায় হাতদ্বয়কে সম্ভাব্য জমিয়ে রাখবে। (মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, হাদীস নং-৫০৬৭) ৩। সিজদার সময় মহিলারা নিজের দেহকে জড়োসড়ো করে মাটির সাথে মিলেয়ে রাখবে, পুরুষে ন্যায় পৃথক রাখবেনা। দলীল: মারাসীলে আবু দাঊদে রয়েছে: ﻋَﻦْ ﻳَﺰِﻳﺪَ ﺑْﻦِ ﺃَﺑِﻲ ﺣَﺒِﻴﺐٍ، ﺃَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻣَﺮَّ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻣْﺮَﺃَﺗَﻴْﻦِ ﺗُﺼَﻠِّﻴَﺎﻥِ ﻓَﻘَﺎﻝَ : ‏« ﺇِﺫَﺍ ﺳَﺠَﺪْﺗُﻤَﺎ ﻓَﻀُﻤَّﺎ ﺑَﻌْﺾَ ﺍﻟﻠَّﺤْﻢِ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ ﻓَﺈِﻥَّ ﺍﻟْﻤَﺮْﺃَﺓَ ﻟَﻴْﺴَﺖْ ﻓِﻲ ﺫَﻟِﻚَ ﻛَﺎﻟﺮَّﺟُﻞِ » তরজমা: হযরত ইয়াযীদ ইবনে আবী হাবীব রা. থেকে বণিত। প্রিয়নবী সা. একদা নামাযরত দু‘জন মহিলার পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিলেন। তখন তাদেরকে লক্ষ্য করে বললেন, তোমরা যখন সিজদা করবে তখন দেহের কিছু অংশ জমীনের সাথে মিলিয়ে রাখবে। কেননা এক্ষেত্রে মেয়েরা পুরুষের মত নয়। (মারাসীলে আবু দাঊদ, হাদীস নং-৮৭) মোটকথা মহিলারা সিজদা যথাসম্ভব সঙ্কুচিত হয়ে আদায় করবে। মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক নামক হাদীসের কিতাবে রয়েছে: ﻋَﻦْ ﻋَﻄَﺎﺀٍ ﻗَﺎﻝَ : ﺗَﺠْﺘَﻤِﻊُ ﺍﻟْﻤَﺮْﺃَﺓُ ﺇِﺫَﺍ ﺭَﻛَﻌَﺖْ ﺗَﺮْﻓَﻊُ ﻳَﺪَﻳْﻬَﺎ ﺇِﻟَﻰ ﺑَﻄْﻨِﻬَﺎ، ﻭَﺗَﺠْﺘَﻤِﻊُ ﻣَﺎ ﺍﺳْﺘَﻄَﺎﻋَﺖْ، ﻓَﺈِﺫَﺍ ﺳَﺠَﺪَﺕْ ﻓَﻠْﺘَﻀُﻢَّ ﻳَﺪَﻳْﻬَﺎ ﺇِﻟَﻴْﻬَﺎ، ﻭَﺗَﻀُﻢَّ ﺑَﻄْﻨَﻬَﺎ ﻭَﺻَﺪْﺭَﻫَﺎ ﺇِﻟَﻰ ﻓَﺨِﺬَﻳْﻬَﺎ، ﻭَﺗَﺠْﺘَﻤِﻊُ ﻣَﺎ ﺍﺳْﺘَﻄَﺎﻋَﺖْ “ তরজমা: হযরত আতা রহ. বলেন, মহিলারা যখন রুকূ করবে তখন জড়োসড়ো হয়ে থাকবে। হাতদ্বয়কে পেটের সাথে মিলিয়ে রাখবে এবং যথাসম্ভব সঙ্কুচিত হয়ে থাকবে, আর যখন সিজদা করবে তখন হাতদ্বয়কে দেহের সাথে মিলিয়ে রাখবে। পেট ও সীনাকে উরুর সাথে মিলিয়ে রাখবে এবং সম্ভাব্য সঙ্কুচিত হয়ে থাকবে। (মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, হাদীস নং-৫০৬৯) এ প্রসঙ্গে প্রসিদ্ধ তাবিই হযরত হাসান বসরী ও হযরত কাতাদা বলেন: ﻋَﻦِ ﺍﻟْﺤَﺴَﻦِ، ﻭَﻗَﺘَﺎﺩَﺓَ، ﻗَﺎﻟَﺎ : ‏« ﺇِﺫَﺍ ﺳَﺠَﺪَﺕِ ﺍﻟْﻤَﺮْﺃَﺓُ ﻓَﺈِﻧَّﻬَﺎ ﺗَﻨْﻀَﻢُّ ﻣَﺎ ﺍﺳْﺘَﻄَﺎﻋَﺖْ، ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺘَﺠَﺎﻓَﻰ ﻟِﻜَﻲْ ﻟَﺎ ﺗَﺮْﻓَﻊَ ﻋَﺠِﻴﺰَﺗَﻬَﺎ » তরজমা: মহিলারা যখন সিজদা করবে তখন যথাসম্ভব সঙ্কুচিত হয়ে থাকবে যাতে করে তাদের কোমর উঁচু হয়ে না থাকে। (মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, হাদীস নং-৫০৬৮) ﻋَﻦْ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﻠﻪِ ﺑْﻦِ ﻋُﻤَﺮَ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : ” ﺇِﺫَﺍ ﺟَﻠَﺴَﺖِ ﺍﻟْﻤَﺮْﺃَﺓُ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼَّﻠَﺎﺓِ ﻭَﺿَﻌَﺖْ ﻓَﺨِﺬَﻫَﺎ ﻋَﻠَﻰ ﻓَﺨِﺬِﻫَﺎ ﺍﻟْﺄُﺧْﺮَﻯ، ﻭَﺇِﺫَﺍ ﺳَﺠَﺪَﺕْ ﺃَﻟْﺼَﻘَﺖْ ﺑَﻄْﻨَﻬَﺎ ﻓِﻲ ﻓَﺨِﺬَﻳْﻬَﺎ ﻛَﺄَﺳْﺘَﺮِ ﻣَﺎ ﻳَﻜُﻮﻥُ ﻟَﻬَﺎ، ﻭَﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠﻪَ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻳَﻨْﻈُﺮُ ﺇِﻟَﻴْﻬَﺎ ﻭَﻳَﻘُﻮﻝُ : ﻳَﺎ ﻣَﻠَﺎﺋِﻜَﺘِﻲ ﺃُﺷْﻬِﺪُﻛُﻢْ ﺃَﻧِّﻲ ﻗَﺪْ ﻏَﻔَﺮْﺕُ ﻟَﻬَﺎ “ তরজমা: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, মহিলা যখন নামাযে বসবে, তখন যেন এক উরু অপর উরুর উপর রাখে। আর যখন সিজদা করবে তখন যেন পেট উরুর সাথে মিলিয়ে রাখে। এটি তার সতরের ক্ষেত্রে বেশি উপযোগী। আল্লাহ তা‘আলা তকে দেখে বলেন ওহে আমার ফিরিশতারা! তোমরা স্বাক্ষী থাক, আমি তাকে ক্ষমা করে দিলাম। (সুনানে কুবরা লিল বাইহাকী, হাদীস নং-৩১৯৯, ২/২২৩) হযরত আলী রা. বলেন: ﻋَﻦْ ﻋَﻠِﻲٍّ ﻗَﺎﻝَ : ‏« ﺇِﺫَﺍ ﺳَﺠَﺪَﺕِ ﺍﻟْﻤَﺮْﺃَﺓُ ﻓَﻠْﺘَﺤْﺘَﻔِﺰْ، ﻭَﻟْﺘُﻠْﺼِﻖْ ﻓَﺨِﺬَﻳْﻬَﺎ ﺑِﺒَﻄْﻨِﻬَﺎ » তরজমা: মহিলা যখন সিজদা করবে, তখন সে যেন খুব জড়োসড়ো হয়ে সিজদা করে এবং উরু পেটের সাথে মিলিয়ে রাখে। (মুসান্নাফে আব্দুর রাযযকা, হাদীস নং-৫০৭২) হযর আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাসের ফতওয়া: ﻋَﻦِ ﺍﺑْﻦِ ﻋَﺒَّﺎﺱٍ ﺃَﻧَّﻪُ ﺳُﺌِﻞَ ﻋَﻦْ ﺻَﻠَﺎﺓِ ﺍﻟْﻤَﺮْﺃَﺓِ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : ‏« ﺗَﺠْﺘَﻤِﻊُ ﻭَﺗَﺤْﺘَﻔِﺮُ » তরজমা: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা.কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে যে, মহিলা কিভাবে নামায পড়বে? তিনি জবাবে বললেন, খুব জড়োসড়ো হয়ে এবং অঙ্গের সাথে অঙ্গ মিলিয়ে নামায আদায় করবে। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদীস নং-২৭৭৮) ৪। মহিলারা যখন বসবে তখন তারা উভয় পা কে ডান দিকে বের করে দিয়ে উভয় উরুকে মিলিয়ে নিতম্বের উপর বসবে। পুরুষদের ন্যায় ডান পা খাড়া করে বাম পায়ের উপর বসবেনা। দলীল: বাইহাকী শরীফে রয়েছে: ﻋَﻦْ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﻠﻪِ ﺑْﻦِ ﻋُﻤَﺮَ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : ” ﺇِﺫَﺍ ﺟَﻠَﺴَﺖِ ﺍﻟْﻤَﺮْﺃَﺓُ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼَّﻠَﺎﺓِ ﻭَﺿَﻌَﺖْ ﻓَﺨِﺬَﻫَﺎ ﻋَﻠَﻰ ﻓَﺨِﺬِﻫَﺎ ﺍﻟْﺄُﺧْﺮَﻯ، ﻭَﺇِﺫَﺍ ﺳَﺠَﺪَﺕْ ﺃَﻟْﺼَﻘَﺖْ ﺑَﻄْﻨَﻬَﺎ ﻓِﻲ ﻓَﺨِﺬَﻳْﻬَﺎ ﻛَﺄَﺳْﺘَﺮِ ﻣَﺎ ﻳَﻜُﻮﻥُ ﻟَﻬَﺎ، ﻭَﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠﻪَ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻳَﻨْﻈُﺮُ ﺇِﻟَﻴْﻬَﺎ ﻭَﻳَﻘُﻮﻝُ : ﻳَﺎ ﻣَﻠَﺎﺋِﻜَﺘِﻲ ﺃُﺷْﻬِﺪُﻛُﻢْ ﺃَﻧِّﻲ ﻗَﺪْ ﻏَﻔَﺮْﺕُ ﻟَﻬَﺎ “ তরজমা: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, মহিলা যখন নামাযে বসবে, তখন যেন এক উরু অপর উরুর উপর রাখে। আর যখন সিজদা করবে তখন যেন পেট উরুর সাথে মিলিয়ে রাখে। এটি তার সতরের ক্ষেত্রে বেশি উপযোগী। আল্লাহ তা‘আলা তকে দেখে বলেন ওহে আমার ফিরিশতারা! তোমরা স্বাক্ষী থাক, আমি তাকে ক্ষমা করে দিলাম। (সুনানে কুবরা লিল বাইহাকী, হাদীস নং-৩১৯৯, ২/২২৩) ﻋَﻦْ ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴﻢَ، ﻗَﺎﻝَ : ‏« ﺗَﺠْﻠِﺲُ ﺍﻟْﻤَﺮْﺃَﺓُ ﻣِﻦْ ﺟَﺎﻧِﺐٍ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼَّﻠَﺎﺓِ » তরজমা: হযরত ইবরাহীম নাখঈ রহ. থেকে বণিত। তিনি বলেন, মহিলারা নামাযের মধ্যে তাদের এক পার্শ্বে বসবে। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদীস নং-২৭৯২) ﻋَﻦْ ﻗَﺘَﺎﺩَﺓَ ﻗَﺎﻝَ : ‏« ﺟُﻠُﻮﺱُ ﺍﻟْﻤَﺮْﺃَﺓِ ﺑَﻴْﻦَ ﺍﻟﺴَّﺠْﺪَﺗَﻴْﻦِ ﻣُﺘَﻮَﺭِّﻛَﺔً ﻋَﻠَﻰ ﺷِﻘِّﻬَﺎ ﺍﻟْﺄَﻳْﺴَﺮِ، ﻭَﺟُﻠُﻮﺳُﻬَﺎ ﻟِﻠﺘَّﺸَﻬُّﺪِ ﻣُﺘْﺮَﺑِّﻌَﺔً » তরজমা: হযরত কাতাদাহ রহ. থেকে বণিত। তিনি বলেন, মহিলারা দুই সিজদার মাঝখানে বাম পার্শ্বের উপর বসবে এবং উভয় পা ডান দিকে বের করে দিবে। (মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, হাদীস নং-৫০৭৫) …… ……… ……… ৫। নামাযে যদি কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, তাহলে পুরুষ সুবহানাল্লাহ বলবে আর মহিলারা হাততালি দিবে। যেমন নামাযি ব্যক্তির সামনে দিয়ে কেউ যদি হেঁটে যায়, তাহলে পুরুষ বলবে সুবহানাল্লাহ আর মহিলারা হাততালি দিবে। অথবা ইমাম যদি ভুলবশত দ্বিতীয় রাকাতে না বসে দাঁড়িয়ে যায়, তাহলে পুরুষ বলবে সুবহানাল্লাহ আর মহিলারা হাততালি দিবে। দলীল: বুখারী শরীফে বণিত আছে: ﻗَﺎﻝَ : ” ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻣَﺎ ﻟَﻜُﻢْ ﺣِﻴﻦَ ﻧَﺎﺑَﻜُﻢْ ﺷَﻲْﺀٌ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼَّﻼَﺓِ، ﺃَﺧَﺬْﺗُﻢْ ﻓِﻲ ﺍﻟﺘَّﺼْﻔِﻴﻖِ ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﺍﻟﺘَّﺼْﻔِﻴﻖُ ﻟِﻠﻨِّﺴَﺎﺀِ، ﻣَﻦْ ﻧَﺎﺑَﻪُ ﺷَﻲْﺀٌ ﻓِﻲ ﺻَﻼَﺗِﻪِ ﻓَﻠْﻴَﻘُﻞْ : ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ، তরজমা: একবার নামাযে কোনো এক পেক্ষাপটে সাহাবায়ে কিরাম হাততালি দিয়েছেন। নামায শেষ করে রাসূল সা. সাহাবাদের বললেন, নামাযে কোনো ব্যাপার ঘটলে পুরুষ সুবহানাল্লাহ বলবে আর মেয়েরা হাততালি দিবে। (বুখারী শরীফ, হাদীস নং-১২৩৪) উপরোক্ত হাদীসসমূহ দ্বারা সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে, যেমনিভাবে পুরুষ ও মহিলাদের গঠনে ব্যবধান রয়েছে, তেমনিভাবে তাদের নামায আদায় পদ্ধতিতেও কিছুটা ব্যবধান রয়েছে। কাজেই যারা একথা বলেন যে, উভয়ের নামায আদায় পদ্ধতি এক, কোনো ব্যবধান নেই, তাদের কথা ঠিক নয়; বরং হাদীস পরিপন্থী। তবে যে হাদীসে রাসূল বলেছেন: ﺻَﻠُّﻮﺍ ﻛَﻤَﺎ ﺭَﺃَﻳْﺘُﻤُﻮﻧِﻲ ﺃُﺻَﻠِّﻲ “তোমরা এভাবে নামায পড়, যেভাবে আমাকে নামায পড়তে দেখছ।” এই হাদীসের হুকুমটি শুধুমাত্র পুরুষদের জন্য। কেননা এই হাদীসটি রাসূল সাহাবী মালেক ইবনে হুয়াইরিস রা.কে সম্বোধন করে বলেছেন। তিনি যখন রাসূলের সান্নিধ্যে বিশ দিন কাটিয়ে স্বীয় গোত্রের নিকট ফিরে যাচ্ছিলেন। আর সে কাফেলার সকলেই ছিলেন পুরুষ। সুতরাং বুঝা গেল এই হাদীসের হুকুমটি শুধুমাত্র পুরুষের জন্য প্রযোজ্য। ﻭﺍﻟﻠﻪ ﺍﻋﻠﻢ ﺑﺎﻟﺼﻮﺍﺏ

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ