এখানে আমরা বলতে যারা কুসংস্কার বিশ্বাস করে তাদের কে বুঝিয়েছি ।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

এক্ষেত্রে সঠিক জ্ঞান চর্চার কোন বিকল্প নেই। অন্ধ বিশ্বাস ত্যাগ করতে হবে। হয়তো একটা জিনিস যুগ যুগ কিংবা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে চলে আসছে কিন্তু তারমানে এই না যে আমরা সেটা সেভাবেই করে যাব। সামান্য খটকা লাগলেই আমাদের উচিৎ যিনি ভাল জানেন তাকে জিজ্ঞাসা করা। এই জন্যেই ইসলাম ধর্মে জ্ঞান অর্জন কে ফরজ করা হয়েছে। দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত জ্ঞান অর্জনের জন্য আমাদের আদেশ দেয়া হয়েছে। একটা উদাহরণ দেই - আমাদের সমাজে পা ধরে সালাম করাটা একটা নিয়মে পরিণত হয়েছে যেটা সম্পূর্ণ হারাম। বরং বলা যায় হিন্দুদের প্রণাম করা থেকেই এটা মুসলিমদের মাঝে সংক্রমিত হয়েছে। এরকম আরো বহু কুসংস্কার/ প্রথা/ নিয়মনীতি মূলত হিন্দুদের থেকে আমাদের ইসলাম ধর্মে সংক্রমিত হয়েছে শুধুমাত্র সঠিক চর্চার অভাবে। আর কিছু কিছু অসাধু আলেম (মূলত এরা আলেম নামের কলঙ্ক) নিজেদের স্বার্থে ধর্মকে ব্যবহার করে। নিজের সুবিধামত ফতোয়া দিয়ে ফায়দা লুটতে যায়। এরাও এ ধরণের কুসংস্কার ছড়ানোর জন্য দায়ী। এরা মিলাদ মাহফিল, মৃত ব্যক্তির নামে দোয়া ইত্যাদি করার জন্য মানুষের কাছ থেকে টাকা নেয়। আর সমাজের বোকা মানুষগুলো ঐ আলেমদের দেখতে পারেনা যারা এ ধরণের মিলাদ মাহফিল পছ্ন্দ করেনা। কারণ তারা ইতোমধ্যে কুসংস্কারে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। তাই ভাল যেটা সেটাকে খারাপ ভাবে। অতএব কুসংস্কার থেকে বাঁচতে আমাদের করণীয় হল বুঝে শুনে প্রত্যেকটা কাজ করা। বাপ দাদা যেটা করেছে ঠিক সেভাবেই আমাদের সব করা লাগবে ব্যাপারটা এমন না। তারা যদি ভাল কিছু করে থাকে আমরা সেটা অনুসরণ করব। আর ঐ সময়ে জ্ঞানের অভাবে যদি তারা ভুল কিছু করে থাকে আমরা সেটাকে শুধরে নিব। এটাই সভ্যতা। নিজেদের সংশোধন না করতে জানলে সভ্য সমাজে বসবাস না করে জংলী থাকাই ভাল। কি বলেন?

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ