যে হাফেজ প্রতিদিন তেলওয়াত করে,,,মৃত্যুর আগ পর্যন্ত! তার ফজিলত কি?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
HMMOBAROKBD

Call

কুরআনের শিক্ষাদান ও গ্রহণকারী উভয়কেও (মানব জাতির মধ্যে) সর্বশ্রেষ্ঠ মর্যাদাবান বলে ঘোষণা দিয়েছেন স্বয়ং বিশ্বনবী হযরত মুহম্মদ (সাঃ)। তিনি ইরশাদ করেন, “তোমাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ওই ব্যক্তি যে কুরআন মজীদ শিক্ষা করে এবং শিক্ষা দেয়।”-(বোখারী)। অপর বর্ণনায় রাসূল (সাঃ) কুরআন মজীদের তিলাওয়াতকে সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত হিসেবে অভিহিত করেছেন। কুরআন তিলাওয়াতের ফযীলত বর্ণনায় তিনি আরও ইরশাদ করেন- “যে ব্যক্তি কুরআন শরীফের একটি হরফ পড়বে তার জন্য একটি ছওয়াব এবং একটি ছওয়াব দশটি ছওয়াবের সমতুল্য। সুতরাং প্রতি হরফে দশটি ছওয়াব মিলবে।”-(তিরমিযী)।আর রমযান মাসে তো প্রতিটি ছওয়াবে সত্তর গুণ বৃদ্ধি করে দেওয়া হয়।

পবিত্র কুরআনের হাফেজ সাহেবদের মান-মর্যাদার শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিভাত হয় সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হযরত মুহম্মদ (সাঃ) এর হাদীস থেকে। যেটি শুরুতে উল্লেখ হয়েছে। রাসূল (সাঃ) ইরশাদ করেন, “তোমাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ওই ব্যক্তি যে কুরআন মজিদ শিক্ষা করে এবং শিক্ষা দেয়।” (বুখারী)। তিনি আরও ইরশাদ করেন, “সাহেবে কুরআন তথা যিনি কুরআন শিখল এবং তার ওপর আমল করল (কিয়ামতের দিন) তাঁকে বলা হবে পড় এবং মর্যাদার স্তরে উন্নীত হও, আর ধীরস্থিরভাবে পড় যেভাবে তুমি দুনিয়াতে পড়তে। কেননা তোমার মর্যাদার স্তর ওই আয়াতের সমাপ্তির ওপরই যে আয়াত পর্যন্ত তুমি পড়বে।” (আহমদ, তিরমিযী, আবু দাউদ)। বিশ্বনবী হযরত মুহম্মদ (সাঃ) আরও ইরশাদ করেন, “যে ব্যক্তি কুরআন শরীফ পড়ল এবং তার ওপর আমল করল, আর হালালকে হালাল এবং হারামকে হারাম জেনেছে তাঁকে আল্লাহ্ তা’আলা জান্নাতে প্রবেশ করাবেন ” (আহমদ, তিরমিযী, ইব্নে মাজাহ)

হাফেজে কুরআনগণের মর্যাদার সাথে সাথে তাঁদের পিতা-মাতাকেও কিয়ামতের ময়দানে নূরের তাজ পরিধান করানো হবে বলে হাদীস শরীফে এসেছে। কারণ হাফেজরা আল্লাহ্পাকের বিশেষ রহমতপ্রাপ্ত এবং আল্লাহ্ প্রদত্ত বিরল প্রতিভার অধিকারী। তাইতো তাঁরা আল্লাহ্পাকের ৩০ পারা কুরআনের আমানত বক্ষে ধারণ করার তাওফিক লাভ করেছেন। তাঁদের অন্তর কুরআনের আলোয় আলোকিত আর চেহারা ঈমানের জ্যোতিতে দীপ্তিমান। তাই হাফেজে কুরআনদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা সকলেরই উচিত। যাদের শ্রেষ্ঠ মর্যাদার ঘোষণা স্বয়ং রাসূল (সাঃ) দিয়েছেন, যাদেরকে কিয়ামতের ময়দানে খোদ মহান আল্লাহ্ তা’আলা সম্মাননায় ভূষিত করবেন।

তাই সেই হাফেজে কুরআনগণের প্রতি শ্রদ্ধা-সম্মান প্রদর্শন করা কুরআনের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের শামিল। আর তাঁদের অবমাননা পবিত্র কুরআনেরই অবমাননার শামিল। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ