আমি দশম শ্রেণির ছাত্র।পড়াশুনার একটু চাপ থাকলেই আর পড়তে ইচ্ছে করে না।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
HMMOBAROKBD

Call

হাসি-কান্না, আনন্দ-ব্যথা, সুখ-দুঃখ, কষ্ট, চিন্তা ও অস্থিরতায় গড়া মানুষের এ জীবন। মানুষের দুঃখ, কষ্ট, পেরেশানি, চিন্তা ও অস্থিরতা কারোরই কাম্য নয়। যার ফলে মানুষ পচণ্ড রকম হতাশায় পড়তে হয়৷দৈনন্দিন জীবন-যাপনে ব্যাঘাত,পড়ালেখায় ব্যাঘাত,এমনকি ঘটে যায় মারাত্মক ব্যধি ও দুর্ঘটনা। এ থেকে বাঁচার উপায় বের করে দিয়েছেন স্বয়ং রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন কোনো দুঃখ-কষ্ট বা চিন্তা ও অস্থিরতা পড়তেন তখন বলতেন-يَا حَيُّ يَا قَيُّوْمُ بِرَحْمَتِكَ أَسْتَغِيْثُ উচ্চারণ : ইয়া- হাইয়ু ইয়া- ক্বাইয়ূ-মু বিরাহমাতিকা আস্তাগিছ। অর্থ : ‘হে চিরঞ্জীব! হে চিরস্থায়ী! আপনার রহমতের মাধ্যমে আপনার নিকটে সাহায্য চাই।’ (তিরমিজি, মুসতাদরেকে হাকেম, মিশকাত)

পরামর্শ:-

সর্বপ্রথম আপনি এই দোয়া বেশি বেশি পড়ুন৷ 

ভোরে বিছানা ত্যাগ: প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খুব ভোরে জেগে ওঠতেন। সূর্য ওঠার আগে ফজর নামাজ আদায়ের মাধ্যমে প্রিয়নবি তার দিন শুরু করতেন।

বিজ্ঞানে প্রমাণিত যে, যারা ভোরে ঘুম থেকে ওঠে তাদের উৎপাদনশীল (কর্মস্পৃহা) ক্ষমতা বেড়ে ওঠে এবং তাদের হতাশ হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই কম।

নিঃশ্বাসে পানি পান: প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, এক নিঃশ্বাসে পানি পান করিও না। পানি পান কর দুই কিংবা তিন নিঃশ্বাসে।

বিজ্ঞানে প্রমাণিত যে, যদি কেউ এক নিঃশ্বাসে পানি পান করে তবে সে মাথাব্যাথা, মাথা ঘোরানো, রক্ত সঞ্চালনে ভারসাম্যহীনতা হতে পারে।

নির্ধারিত সময়ে খাবার গ্রহণ: সুস্থ থাকতে নির্ধারিত সময়ে খাবার গ্রহণের বিকল্প নেই। শারীরিক সুস্থতার জন্য নির্ধারিত সময়ে খাবার গ্রহণের অভ্যাস গঠন করা জরুরি। কেননা খাবার গ্রহণের পর তা প্রক্রিয়াকরণের জন্য সময় দেয়া প্রয়োজন। যাতে মানুষের রক্ত ও শক্তি তৈরি হয়। আর তাতে মানুষের কর্মক্ষমতায় ভারসাম্য থাকে।

বিজ্ঞানে প্রমাণিত যে, সময়মতো খাবার গ্রহণ করলে পরিপাক তন্ত্রের কার্য ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং মানুষের কাজের গতি বেড়ে যায়।

রুটিন তৈরি করে পড়াশোনা করুন।যে বিষয়গুলো জটিল লাগে সে বিষয়গুলোকে যখন মন ভাল থাকে তখন প্রধান্য দিন, আর যে বিষয়গুলো পড়তে ভাল লাগে সে বিষয়গুলো যে কোন সময় পড়ুন৷ জটিল বিষয়গুলোকে সময় বেশি দিন,ভাল না লাগলে রেখে দিন৷

আবসরে খেলাধুলা করুন৷ 

সুতরাং নিয়মিত উপরের অভ্যাসগুলো নিজের মধ্যে পরিচালিত করে এর মাধ্যমেই সুস্থ ও সুন্দর জীবন লাভ করতে পারেন,পারেন মানসিক চাপমুক্ত থাকতে৷ ইনশাআল্লাহ পরবর্তী জীবনও হবে সুন্দর ও সফল।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Saiyankhan

Call

মন খুলে পড়াশুনা করুন মন কে শক্ত করুন এত চাপ নেবেন না মনযোগ দিয়ে পড়াশুনা চালিয়ে যান সব সময় হাসি খুশি থাকুন          

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ