ইসলাম কি বলে?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

ইসলামে সহবাস করার নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। তা হলো দিবারাত্রে স্বামী স্ত্রীর যখন সুযোগ হয়, তখনই সহবাস বৈধ। তবে শরীয়ত কর্তৃক নির্ধারিত কয়েকটি নিষিদ্ধ সময় আছে, যাতে স্ত্রী সম্ভোগ বৈধ নয়। ১। স্ত্রীর মাসিক অথবা প্রসবোত্তর খুন থাকা অবস্থায়। মহান আল্লাহ বলেছেন, লোকেরা তোমাকে ঋতু সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করছে। বলো, ‘তা অশুচি বা কষ্টদায়ক অবস্থা’। কাজেই ঋতুকালে স্ত্রী-সহবাস থেকে বিরত থাকো এবং যে পর্যন্ত পবিত্র না হয়, তাদের নিকটবর্তী হয়ো না। তারপর যখন পবিত্র হবে, তখন তাদের সাথে সহবাস করো, যেভাবে মহান আল্লাহ্‌ অনুমতি দিয়েছেন। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ্‌ তওবাহ্কারীকে ভালোবাসেন আর পবিত্রতা অবলম্বীদেরও ভালোবাসেন। (সূরা বাকারাহঃ ২২২) ২। রমযানের দিনের বেলায় রোযা অবস্থায়। মহান আল্লাহ বলেছেন, রোযার রাতে তোমাদের জন্য স্ত্রী-সম্ভোগ বৈধ করা হয়েছে। তারা তোমাদের পোশাক এবং তোমরা তাদের পোশাক। আল্লাহ জানতেন যে, তোমরা আত্মপ্রতারণা করছ। তাই তো তিনি তোমাদের প্রতি সদয় হয়েছেন এবং তোমাদের অপরাধ ক্ষমা করেছেন। অতএব এখন তোমরা তোমাদের পত্নীদের সঙ্গে সহবাস করতে পার। (সূরা বাকারাহঃ ১৮৭) ৩। হজ্জ বা উমরার ইহরাম অবস্থায়। মহান আল্লাহ বলেন, হাজ্জ হয় কয়েকটি নির্দিষ্ট মাসে। তারপর এ মাসগুলোতে যে কেউ হাজ্জ করার মনস্থ করবে, তার জন্য হাজ্জের মধ্যে স্ত্রী সম্ভোগ, অন্যায় আচরণ ও ঝগড়া-বিবাদ বৈধ নয় এবং তোমরা যে কোন সৎ কাজই করো, মহান আল্লাহ্‌ তা জানেন এবং তোমরা পাথেয়র ব্যবস্থা করবে। আর তাক্বওয়াই শ্রেষ্ঠ পাথেয়। হে জ্ঞানী সমাজ! আমাকেই ভয় করতে থাকো। (সূরা বাকারাহঃ ১৯৭) ৪। সমমৈথুনঃ পুরুষ সঙ্গম বা পুরুষ-পুরুষে পায়ুপথে কুকর্ম করাকে বলে। আর এরই অনুরূপ স্ত্রীর মলদ্বারে সঙ্গম করাও। এটা সেই কুকর্ম, যা লুত (আঃ) এর সম্প্রদায় করেছিল। যেমন মহান আলাহ বলেন, মানুষের মধ্যে তোমরা তো কেবল পুরুষদের সাথেই উপগত হও। (সূরা শূআরা ১৬৫ আয়াত) ইসলামে সহবাস করার আরো কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম আছে জানতে চাইলে নির্দিষ্ট করে মন্তব্য করুন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ