শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

কাসা এমন একটি সংকর ধাতু যাতে ৯০℅ কপার(তামা) ও ১০% টিন থাকে। এটি থালা, গ্লাস,যন্ত্রাংশ তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
RushaIslam

Call

কাঁসা হল তামা এবং টিনের মিশ্রণে তৈরী একটি মিশ্র ধাতু। সাধারণত বাংলাদেশ এবং ভারতে বিভিন্ন ধরনের অলংকারাদি এবং গৃহস্থালির উপকরণ তৈরীতে কাঁসা ব্যবহার করা হয়ে থাকে । এর  ধাতুর তৈরী ব্যবহার্য জিনিস-পত্র দ্বারা পারিবারিক ঐতিহ্য প্রকাশ পেয়ে থাকে । বর্তমান যুগে যেমন কোনো পরিবারে স্টেইনলেস স্টীলের জিনিস দ্বারা পরিবারের স্বচ্ছলতাকে নির্দেশ করে, তেমনি আগেরকার যুগে ধনী পরিবারগুলোর কাঁসা এবং পিতলের ব্যবহার দ্বারা ঐ সকল পরিবারগুলোর আভিজাত্য প্রকাশ পেয়ে থাকত ।বাংলাদেশে কিংবা অবিভক্ত বাংলায় কাঁসার প্রচলন কখন, কিভাবে শুরু হয়েছিল তা নির্দিষ্ট করে জানা যায়নি। প্রত্নতাত্তিকদের মতে, এটি প্রাচীন সভ্যতার আমলে শুরু, যখন ব্রোঞ্জশিল্প ছিল। আবার অনেকেই এই শিল্পকে মহাস্থানগড়কেন্দ্রিক সভ্যতার সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে মনে করেন। আনুমানিক ১৫৭৬-১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দে মোঘল আমলে উপমহাদেশে ব্যাপকভাবে কাঁসার ব্যবহার শুরু হয়। তখন এমন ধাতু দিয়ে ঢাল, তলোয়ার, তীর-ধনুক ইত্যাদি যুদ্ধ সরঞ্জাম তৈরি করা হতো। ব্রিটিশ শাসন আমলেও এ শিল্পের প্রসার ঘটে এবং বাংলার ঘরে ঘরে এর ব্যবহার জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। সে সময় ঢাকার ধামরাই, শিমুলিয়া ছাড়াও টাঙ্গাইলের কাগমারী, জামালপুরের ইসলামপুর, বগুড়ার শিববাড়ী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে কারখানা গড়ে উঠতে শুরু করে।এ সময় এই এলাকাগুলো কাঁসা, তামা ও পিতল শিল্পের জন্য প্রসিদ্ধি লাভ করে। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ