বর্তমানে দেশে পাবলিক পরীক্ষায় সিজিপিএ ৫-এর মধ্যে ফল প্রকাশ করা হয়। কিন্তু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সিজিপিএ ৪-এর মধ্যে ফল প্রকাশ করা হয়। আর বিশ্বের অন্যান্য দেশে সব ধরনের ফলই প্রকাশ করা হয় সিজিপিএ ৪-এর মধ্যে। ফলে এসএসসি আর এইচএসসির ফলের সঙ্গে উচ্চতর শিক্ষার ফলের সমন্বয় করতে গিয়ে দেশের চাকরিদাতারাই মহাসমস্যায় পড়েন।
আর বিদেশে পড়ালেখা ও চাকরির ক্ষেত্রে পড়তে হয় আরো বড় সমস্যায়। কারণ প্রতিনিয়তই বাংলাদেশ থেকে শিক্ষার্থীরা বিদেশে পড়তে যাচ্ছে। তাদের এসএসসি ও এইচএসসি সার্টিফিকেটের সমতা করে তারপর বিদেশে যেতে হয়। এতে অনেক বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আর আন্তর্জাতিকভাবেও দেশের ফলাফলের সমতা থাকছে না।
এ ছাড়া ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এ জন্য সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-এসডিজি ৪-এর লক্ষ্য অর্জনে সব পর্যায়ে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। আর এই মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে তুলনা করতে একই ধরনের গ্রেডে ফল প্রকাশ করা দরকার। সব মিলিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এই গ্রেড পরিবর্তন করছে বলে জানা যায়।
সূত্র: https://www.kalerkantho.com/online/national/2019/06/13/779172