শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
ZahidulSkb

Call

ফায়ার ডিটেক্টর সাধারনত ১৮ প্রকারের হয়ে থাকে। যথাঃ


  • আবর্জনা ও অন্যান্য দাহ্য বস্তু ঃ আবর্জনা ও অন্যান্য দাহ্য বস্তু অপসারণ করে ধাতব পাত্রে ভরে ওয়ার্ক ষ্টেশনের বাইরে রাখা নিশ্চিত করতে হবে।
  • বিদ্যূৎ ঃ বৈদ্যূতিক সার্কিটসমূহ পরিবেষ্ঠিত, অপরিবাহী বস্তুদ্বারা বিচ্ছিন্ন এবং ফিউজ লাগানো থাকবে। বৈদ্যূতিক সার্কিটের চাপ সর্বদা পরীক্ষা করতে হবে। মেশিনের বৈদ্যূতিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রতি বছর পরীক্ষা করতে হবে। মেশিনের ইনসুলেশন ঠিকমত আছে কিনা, তা পরীক্ষা করতে হবে। কাটিং মেশিনের ন্যায় বহনযোগ্য সরঞ্জামের ডাবল-ইনসুলেশন ও আর্থিং করাতে হবে। জরুরী সময়ে বিদ্যূৎ সরবরাহ যেন বন্ধ করা যায় তা নিশ্চিত করতে হবে। মেইন পাওয়ার সুইচ সহজে নাগাল পাওয়া যায় এমন স্থান ও স্পষ্ট চিহ্ন দিয়ে রাখতে হবে। অন্য সব সুইচের কোনটা কি নিয়ন্ত্রন করে তার লেবেল লাগাতে হবে।
  • বহির্গমন সিড়ি ঃ অগ্নিকান্ডের সময় প্রত্যেক তলায় সকলেই যেন নিরাপদে নামতে পারে সেজন্য সকল সিড়ি ব্যবহার করতে হবে। এক্ষেত্রে ফ্লোরে এবং দেয়ালে অঙ্কিত তীর চিহ্ন অনুসরণ করতে হবে।
  • বর্হিগমন দরজা ঃ জরুরী প্রয়োজনে ব্যবহার করার জন্য বর্হিগমন দরজা প্রস্থ্যে কমপক্ষে ৮৪” এবং উচ্চতায় ৮৪” হবে। প্রতিটি দরজা এমনভাবে তৈরী যে বাইরে ও ভিতর থেকে খোলা যায়। প্রতিটি দরজায় লাল এবং স্থানীয় ভাষায় লাল অক্ষরে “বহির্গমন” কথাটি লেখা আছে। ফ্যাক্টরী চলা কলে কাজ করার সময় কারখানার সকল ফ্লোরের দরজা/বর্হিগমন পথ খোলা থাকবে। লাল ও হলুদ রং দ্বারা প্রত্যেকটি দরজা/বর্হিগমন পথ জেব্রা ক্রসিং দেয়া থাকবে।
  • জরুরী নির্গমন বাতি ঃ সকল দরজা/বহির্গমন পথে, ফ্লোর ও সিঁড়িতে ব্যাটারী চালিত জরুরী বাতি থাকবে, যাতে বহির্গমন নির্দেশিত লাল রং এর তীর চিহ্ন দেয়া থাকবে। চলাচলের সকল পথ সর্বদা পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকবে। ও কোন বাধা থাকবেনা । প্রতিটি সিঁড়ির সাথে হ্যান্ডরেইল থাকবে, যাতে কেউ পড়ে না যায়।
  • স্বয়ংক্রিয় অগ্নি-নির্বাপন পদ্ধতী ঃ স্বয়ংক্রিয় এলার্ম কর্তৃক সতর্ক হওয়ার পর ওয়েট রাইজার পদ্ধতীতে যান্ত্রিক ভাবে ফ্যাক্টরীর অগ্নি-নির্বাপন করতে হবে। ভুমিস্থ জলাধরের উপর বসানো পাম্প হাউজ থেকে এই ব্যবস্থা কাজ করবে। ফ্যাক্টরীতে অবস্থানরত (৩০ মিটার দৈর্ঘ ও ২র্ .৫র্ র্ ব্যাস) পাইপ দ্বারা সংযুক্ত আছে। একটি গভীর নলকুপের মাধ্যমে পানি সরবরাহের করে এই ব্যবস্থা সচল রাখা হয়েছে। নিুলিখিত যন্ত্রসমূহ ব্যবহরের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয় অগ্নি-নির্বাপন পদ্ধতী কাজ করবে। আগুন লাগলে শ্রমিকদের সতর্ক করার জন্য ফ্লোরে ব্যাটারী চালিত হুশিয়ারী সংকেত ও হস্তচালিত গং বেল থাকবে। হুশিয়ারী সংকেত ও গং বেল কথাটি শ্রমিকদের বোধগম্য ভাষায় লাল কালিতে লেখা থাকবে। জরুরী প্রয়োজনের মূহুর্তে সকলকে নির্দেশ দেয়ার জন্য প্রত্যেক ফ্লোরে ব্যাটারী চালিত পি,এ সিস্টেম থাকবে। প্রতি ৫৫০ বর্গফুট মেঝে এলাকার জন্য লাল রং করা পানি ভর্তি ২টি করে বালতি থাকবে।
  • অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র ঃ প্রতি ৫৫০ বর্গফুটের জন্য ১টি করে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র থাকবে। অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রসমূহ প্রতিটি ৫-৬ কেজি ওজন সম্পন্ন কার্বন-ডাই-অক্সাইড এবং এ,বি,সি পাউডারের হতে হবে।
  • নির্গমন নক্সা ঃ প্রত্যেক ফ্লোরে স্থানীয় ভাষায় লিখিত প্রতিটা আইটেম নির্দেশ করে নির্গমন নক্সা থাকবে, যাতে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র, ফায়ার হোস, প্রাথমিক চিকিৎসা বাক্স, পানির ট্যাংক, বাকেট থাকবে এবং ‘ আমি এখানে’ শব্দসমূহ দ্বারা নিজের অবস্থান নির্দেশ করা থাকবে।
  • অগ্নি মহড়াঃ অগ্নি দুর্ঘটনার সময় নিরাপদ নির্গমনের ব্যাপারে শ্রমিকদের প্রশিক্ষিত করে তুলতে প্রতিমাসে কমপক্ষে একবার অগ্নি মহড়া দিতে হবে। অগ্নিমহড়া ইউনিট ভিত্তিক ও যৌথ উভয়ভাবেই দিতে হবে। মহড়া, মহড়ার সময় এবং যদি কোন দূর্ঘটনা ঘটে তার রেকর্ড রাখতে হবে। মহড়াটি এমন হবে যাতে এটা দ্বারা প্রকৃত অবস্থা বুঝা যায়।
  • ফায়ার এসেম্বলী পয়েন্ট ঃ অগ্নি দূর্ঘটনা বা অগ্নি মহড়ার সময় নির্দিষ্ট ফায়ার এসেম্বলী পয়েন্টে সকলেই সমবেত হবে।
  • ফায়ার হোজ ঃ প্রত্যেক ফ্লোরে সংরক্ষিত জলাধারের সাথে ফায়ার হোজ থাকবে এবং পাইপটির দৈর্ঘ্য ফ্লোরের ১০০% এলাকা জুড়ে থাকবে। মাসে কমপক্ষে একবার হোজ পাইপের কার্যকারীতা পরীক্ষা করতে হবে।
  • অগ্নি নিরোধক যন্ত্রপাতিঃ কারখানার প্রত্যেক ফ্লোরে নিম্ন লিখিত সরঞ্জামাদি থাকবে।
  • বহিস্থ হাইড্রেন্ট ২.৫র্ র্ ডায়া ঃ আভ্যন্তরীন এর অনুরুপ বহিস্থ ভাবে হাইড্রেন্টের ব্যবস্থা আছে। তবে তার ব্যাস ২.৫র্ র্ এবং ব্যবহার পদ্ধতি একই।
  • ফায়ার বেল শুনে অগ্নি-নির্বাপন সম্পর্কিত বিভিন্ন দল তাদের নিজ নিজ দ্বায়িত্ব পালনের জন্য ঘটনা স্থলে যাবে ও পুর্বের মহড়া এবং নির্দেশানুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবে।
  • হুক ( ধাতব) খ) বিটার (ধাতব) গ) ষ্ট্রেচার ঘ) ব্লাংকেট ঙ) গ্যাস মাস্ক চ) লক কাটার।
  • প্রশিক্ষণ/পরিচিতিঃ ৬০% কর্মকর্তা/কর্মচারীদের নিয়ে কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিবে। সকল শ্রমিকদের জন্য সাধারণভাবে প্রশিক্ষনের উপাদান হিসেবে দেয়ালে লিফলেট/পোষ্টার রাগাতে হবে। অগ্নি নিরাপত্তার প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত সকল রেকর্ড সংরক্ষন করতে হবে।
  • ফায়ার সেফটি কমিটি ঃঅগ্নি-কান্ডের সুত্রপাত কারো চোখে ধরা পরার বা কন্ট্রোল প্যানেলে ধরা পরার সাথে সাথে তা জেনারেল ম্যানেজার (প্রশাসন) কে জানাতে হবে। অনুপস্থিত থাকলে বিষয়টি অন্য যে কোন সদস্য কে জানাতে হবে, যিনি তাৎক্ষনাৎ বিষয়টি মেইন্টেনেন্স বিভাগকে জানিয়ে তড়িৎ আগুন নেভানোর ব্যবস্থা করবেন। অগ্নি দুঘটনার সংবাদ প্রাপ্তির পর একই সাথে উক্ত কমিটির যে কোন সদস্য ফায়ার বেল বাজাবেন ও দ্রুত দূর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে তড়িৎ আগুন নেভানোর ব্যবস্থা করবেন। অগ্নি প্রতিরোধ, প্রতিকার ও উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সকল বিভাগ থেকে সদস্য নিয়ে একটি ফায়ার সেফটি কমিটি গঠন করতে হবে। কমিটির সকল সদস্যদের দায়িত্ব ও কর্তব্য নির্দেশ করতে হবে। অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রপাতি চালানোর জন্য দায়িত্বশীল ব্যাক্তিদের সনাক্ত করতে ‘ইউনিফর্ম ’ দিতে হবে। প্রতিমাসে অগ্নি মহড়ার পর সাব-কমিটির সদস্যরা একবার মিলিত হবে এবং রেকর্ড সংরক্ষন রবে।
  • ফায়ার চীফ:জনবল নির্ধারিত জায়গায় স্থানান্তর হওয়ার পর প্রত্যেক শাখা প্রধান তাদের জনবল গণনা করে পার্সোনেল বিভাগকে জানাবেন এবং পার্সোনেল বিভাগ দিনের হাজিরা রিপোর্টের সাথে মিলিয়ে জনবল নিশ্চিৎ করবেন। এতে কোন ব্যক্তি আগুনে আট্কা পড়েছে কিনা সে ব্যপারে নিশ্চিত হতে সুবিধা হবে। প্রতি মাস অন্তর অন্তর অগ্নি মহড়ার কার্যক্রম চালিয়ে যাবেন এবং কারখানার অগ্নি প্রতিরোধ কমিটির যথাযথ প্রশিক্ষন নিশ্চিত করবেন। সাধারন শ্রমিকদের বেসিক প্রশিক্ষন দিবেন এবং অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রপাতির কার্যকারিতা পরিক্ষা করবেন। জরুরী বর্হিগমন পরিকল্পনাও ফ্লোরের বর্তমান ফ্লোর সেটআপের সাথে সঠিকভাবে আছে কিনা? উল্লেখিত বিষয়াদী নিশ্চিত করবেন এবং কারখানায় কর্মরত সকল শ্রমিক/কর্মচারীর অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করনের লক্ষে অগ্নি প্রতিরোধক দলকে সার্বিক নির্দেশনা প্রদান করে নিরাপদ কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করনে আন্তরিক থাকবেন।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ