ঈমান ভঙ্গের ২৫টি কারণঃ
১. আল্লাহর ইবাদতে কাউকে শরীক করা বা অংশীদার স্থাপন করা।
২. তাওহীদের কথা শুনে মনে বিতৃষ্ণা আসে এবং বিপদে আপদে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া থেকে দূরে থাকে।
৩. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অথবা কোন ওলির নাম নিয়ে পশু যবাই করা।
৪. কোন সৃষ্টির উদ্দেশ্যে মান্নত করা, যেমন কবরে মাজারে মান্নত করা (শিরনী দেয়া) অত্যন্ত গর্হিত কাজ ও ঈমান বিনষ্টকারী শির্ক ও কবীরা গুনাহ। কারণ, মান্নত একমাত্র আল্লাহর জন্যই হতে হবে।
৫. নৈকট্য লাভ ও ইবাদতের নিয়তে কোন কবরের চতুষ্পার্শে প্রদক্ষিণ বা তাওয়াফ করা।
৬. আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো উপর তাওয়াক্কুল বা ভরসা করা।
৭. জেনে বুঝে কোন রাজা, বাদশা বা সম্মানিত কোন পীর বুজুর্গ জীবিত বা মৃত ব্যক্তিকে ইবাদতের নিয়তে রুকু বা সিজদা করা।
৮. ইসলামের রুকনসমূহ হতে কোন একটি রুকন বা ভিত্তিকে অস্বীকার করা।
৯. ইসলামী জীবন বিধান বা এর অংশ বিশেষকে ঘৃণা করা। এর কোন কোন বিধান পুরাতন ও অকেজো হয়ে গেছে মনে করা।
১০. কুরআন কারীম বা সহীহ হাদীসের কোন বিষয় নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রূপ করা। কিংবা ইসলামের কোন হুকুম আহকাম নিয়ে তামাশা করা।
১১. জেনে শুনে ইচ্ছাকৃতভাবে কুরআন কারীমের কিংবা বিশুদ্ধ হাদীসের কোন অংশ বা কথা অস্বীকার করলে ইসলাম থেকে একেবারেই বহিস্কার হয়ে যায়।
১২. মহান রবকে গালি দেয়া, দ্বীন ইসলামকে অভিশাপ দেয়া, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে গালি দেয়া বা তাঁর কোন অবস্থা নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রূপ করা, তার প্রদর্শিত জীবন বিধানের সমালোচনা করা।
১৩. আল্লাহর সুন্দর নামসমূহ অথবা তাঁর গুণাবলীর কোন একটিকেও অস্বীকার করা অথবা কুরআন হাদীস দ্বারা প্রমাণিত আল্লাহর কোন কার্যাবলী অস্বীকার করা বা এগুলোর অপব্যাখ্যা করা।
১৪. রাসূলগণের প্রতি বিশ্বাস না করা, বা সবাইকে বিশ্বাস করলেও কোন একজন নবীকে অবিশ্বাস করা।
১৫. আল্লাহ প্রদত্ত বিধান বাদ দিয়ে বিচার ফায়সালা করা। অথবা আল্লাহ প্রদত্ত আইনের বিপরীতে মানব রচিত আইনকে জায়েয মনে করা এবং আল্লাহর আইনের উপর মানুষের তৈরী আইনকে প্রাধান্য দেয়া।
১৬. ইসলামী বিচারে সন্তুষ্ট না হওয়া। ইসলামী বিচারে অন্তরে সংকোচ বোধ করা ও কষ্ট পাওয়া। বরং ইসলাম বহির্ভুত আইনের কাছে বিচারপ্রার্থী হতে স্বস্তি বোধ করা।
১৭. আল্লাহর আইনের সাথে সাংঘর্ষিক এমন ধরনের আইন প্রণয়নের জন্য কোন মানুষকে ক্ষমতা প্রদান করা বা তা সমর্থন করা। অথবা ইসলামী আইনের সাথে সাংঘর্ষিক এমন ধরনের কোন আইনকে সঠিক বলে মেনে নেয়া।
১৮. আল্লাহ কর্তৃক বৈধকৃত কাজকে অবৈধ করে নেয়া এবং অবৈধ কাজকে বৈধ করে ফেলা। যেমন সুদকে বৈধ বা হালাল কাজ বলা কিংবা হালাল মনে করা ইত্যাদি।
১৯. আকীদা ধ্বংসাত্মক মতবাদের উপর ঈমান আনা।
২০. দ্বীনের বিধি বিধান পরিবর্তন করা, এবং ইসলাম ছেড়ে অন্য কোন ধর্মে দীক্ষা গ্রহণ করা অর্থাৎ মুরতাদ হয়ে যাওয়া।
২১. মুসলমানদের বিরুদ্ধে মুশরিকদের পক্ষ নেয়া ও তাদের সহযোগিতা করা।
২২. অমুসলিমদেরকে অমুসলিম না বলা। কেননা আল্লাহ তা‘আলা কুরআনে তাদেরকে কাফির বলে আখ্যা দিয়েছেন।
২৩. এ আকীদা পোষণ করা যে, সবকিছুর মধ্যেই আল্লাহ রয়েছে। গীর্জার পাদ্রীর মধ্যেও আল্লাহ রয়েছেন। আল্লাহই পাদ্রী। আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান এ আকীদাকে অহদাতুল উজূদ বলা হয়। এটা শির্কী চিন্তাধারা। এতে ঈমান ভঙ্গ হয়ে চিরস্থায়ী জাহান্নামী হয়ে যায়।
২৪. দ্বীনকে রাষ্ট্রীয় বিষয় হতে পৃথক করা। আর একথা বলা যে, ইসলামে রাজনীতি নেই। এরূপ ধারণা ও মন্তব্যও রাসূলের সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জীবনাদর্শকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে।
২৫. কিছু কিছু বিভ্রান্ত সুফীরা বলে যে, আল্লাহ তা‘আলা দুনিয়া পরিচালনার চাবি কুতব নামধারী কয়েকজন আওলিয়ার হাতে অর্পণ করেছেন। তাদের এ ধারণা আল্লাহর কার্যাবলীর সাথে শিরক বলে পরিগণিত হয়। এ আকীদা আল্লাহর বাণীর বিপক্ষে চলে যায়।