শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

মৃগী একটি মনোদৈহিক সমস্যা এর ইংরেজি নাম হচ্ছে Epilepsy. এই রোগের একটি ঐতিহাসিক ভিত্তি আছে। বিশ্ব ব্যাপকভাবে প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের সময় এই রোগের সাথে পরিচিত হয়। তখন অনেক সৈনিক যুদ্ধে রওয়ানা হওয়ার সময় বা কিছু আগে হঠাৎ করে গণহারে অজ্ঞাত একটি রোগে অসুস্থ হয়ে পড়ত। প্রচলিত সব চিকিৎসা ব্যর্থ হলে তৎকালীন মনবিজ্ঞানীগন এগিয়ে আসেন। তারা নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে নিশ্চিত হন এটি একটি মানসিক ব্যাধি কিন্তু রোগের উৎস মন নয়। আবার পরীক্ষা এবার তারা খুঁজে পেলেন আসল কারন। যে সকল সৈনিকরা যুদ্ধে যেতে ইচ্ছুক ছিল না কিন্তু কড়া নিয়মের বেড়াজালে তারা তা পষ্ট করে প্রকাশ করতে পারছিল না। এই পারা না পারা এবং মানসিক কষ্টের শাররিক প্রকাশ ছিল মৃগী রোগ। Epilepsy একটি গ্রীক শব্দ যার অর্থ ইচ্ছে অসুস্থতা না ভনিতা। এই রোগ জিনগত কারনেও ছড়ায় অর্থাৎ উত্তরাধিকার সুত্রে অনেকই এই রোগের শিকার হয়। জিনগত কারনে এই রোগ ছড়ানোর হার খুবই কম। এবার আসুন আমরা কিছু সাধারন কারন দেখি এই রোগের। অতিরিক্ত মানসিক চাপ, শিল্প কারখানায় বৈরী পরিবেশ, যৌনতা সংক্রান্ত আঘাত বা জোর পূর্বক অবদমন, অপুষ্টি খাদ্যাভাস এবং আরও অনেক মনো-সামাজিক সমস্যা। আমরা বিভিন্ন সময় অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা কলকারখানায় এই রোগের গন প্রাদুর্ভাব দেখতে পায়। সঠিক এবং নিয়মিত চিকিৎসা গ্রহন করলে এই রোগ নির্মূল না করা গেলেও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রন সম্ভব। বাংলাদেশের প্রায় সব হাসপাতালে এই রোগের চিকিৎসার সুবিধা রয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই রোগের সঠিক কারন উৎস নিশ্চিত হয়নি। তবে আশার কথা হচ্ছে অনেক উন্নত ওষুধ উদ্ভাবন হয়েছে এবং চিকিৎসার সফলতার হারও বেড়েছে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ