বাংলা সাহিত্যের কবিদের মাঝে কারো কি এমন কবিতা আছে,যেটাতে একটি লাইন বার বার রিপিট হয়েছে৷ যেমন বিশ লাইনের কবিতা হলে  দশটি লাইন এক রকম আর দশটি লাইন নতুন নতুন৷ কেউ জানালে উপকার হতো৷
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call



 নজরুল তার 'সঞ্চিতা' কাব্যগ্রন্থটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কে উৎসর্গ করেন। ... নজরুলের 'অশ্রু-পুষ্পাঞ্জলী' ও 'কৈশোর রবি' কবিতা টি

 পুনরাবৃত্তি মূলক কবিতা

রবীন্দ্রনাথের সার্ধশতজন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসা। রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল এর মধ্যে সম্পর্ক ছিল শ্রদ্ধা ও ভালবাসার তা নিয়ে এই লেখা। নজরুলের “তীর্থ পথিক” কবিতা থেকে অংশ বিশেষ। যা রবীন্দ্রনাথকে পাঠিয়েছিলেন নজরুল।

কবিতাটির অংশ বিশেষ:
“তুমি স্রষ্টার শ্রেষ্ট সৃষ্টি বিশ্বের বিস্ময়,-
তব গুণ-গানে ভাষা-সুর যেন সব হয়ে যায় লয়।
তুমি স্মরিয়াছ ভক্তের তব, এই গৌরবখানি
রাখিব কোথায় ভেবে নাহি পাই, আনন্দে মূক বাণী।
কাব্যলোকের বাণী-বিতানের আমি কেহ নহি আর,
বিদায়ের পথে তুমি দিলে তবু কেন এ আশিস-হার?
প্রার্থনা মোর, যদি আরবার জন্মি এ ধরণীতে-
আসি যেন গাহন করিতে তোমার কাব্য-গীতে!!”

১৯২২ সালের ১১ আগষ্ট কলকাতা থেকে নজরুলের পরিচালনায় প্রকাশিত হয় অর্ধ-সাপ্তাহিক ‘ধুমকেতু’। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ধুমকেতর আর্শীবাণীতে লিখেন:

“কাজী নজরুল ইসলাম কল্যাণীয়েষু ,
আয় চলে আয়, রে ধুমকেত
আঁধারে বাঁধ অগ্নিসেতু
দুর্দিনের এই দুর্গশিরে
উড়িয়ে দে তোর বিজয় কেতন!
অলক্ষণের তিলক রেখা
রাতের ভালে হোক না লেখা,
জাগিয়ে দেরে চমক মেরে’
আছে য়ারা অর্ধ চেতন!
২৪ শে শ্রাবণ ১৩২৯
শ্রী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর”

এই আর্শীবাণী থেকে বুঝা যায়, নজরুল-প্রতিভার স্বরূপ ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের উপলব্ধি।

১৯২২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ‘ধুমকেত’ প্রএিকায় ১২শ সংখ্যায় প্রকাশিত হয় নজরুলের প্রতীকধর্মী রাজনৈতিক কবিতা। ‘আনন্দময়ীর আগমনে’। এই কবিতার জন্য বাজেয়াপ্ত হয় ‘ধুমকেত’র সেই সংখ্যা এবং কলকাতার চীফ প্রেসিডেন্সি ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে রাজদ্রোহিতার অভিযোগে নজরুলের বিরূদ্ধে মামলা দায়ের এবং তাকে গ্রেফতার করা হয়।

বিচারাধীন বন্দি হিসাবে নজরুল ছিলেন প্রেসিডেন্সি জেলে, বিচার শেষে ১৭ জানুয়ারি নজরুলকে স্হানান্তর করা হয় আলীপুর সেন্ট্রাল জেলে। পরাধীন জাতির সাম্রাজ্যবাদীদের শোষণের চিএ তুলে ধরে বন্দী নজরুল সমগ্র দেশবাসীর শ্রদ্ধা অর্জন করেছিলেন।

১৯২৩ সালের ২২শে ফেব্রুয়ারি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার ‘বসন্ত’ গীতিনাট্য নজরুলকে উৎসর্গ করে দেশবাসীর সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেন।

রবীন্দ্রনাথের ‘বসন্ত’ উৎসর্গের পর, নজরুল আলীপুর সেন্ট্রাল জেলে বসে রচনা করেন -‘আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে’ অর্থাৎ ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতা।

নজরুল তার ‘সঞ্চিতা’ কাব্যগ্রন্থটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কে উৎসর্গ করেন। নজরুলের অগ্নি-বীণা, দোলন-চাঁপা, ছায়ানট, সর্বহারা, ফণি-মনসা, সিন্ধু-হিন্দোল, চিত্তনামা প্রভৃতি কাব্যগ্রন্থের বাছাই করা কবিতা নিয়ে ১৯২৮ সালে ‘সঞ্চিতা’ প্রকাশ হয়। নজরুল ‘সঞ্চিতা’ উৎসর্গ পএে লিখেছেন:

“বিশ্বকবি সম্রাট শ্রী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শ্রী শ্রী চরণারবিন্দেষু”

১৯২৩ সালে ১৪ এপ্রিল নজরুলকে হুগলী জেলে স্হানান্তর করা হয়। হুগলী জেলের সুপার মি. আর্সটান রাজবন্দীদের সাথে অত্যন্ত দূর্ব্যবহার ও অত্যাচার করতেন, রাজবন্দীদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে নজরুল জেলে ৪০ দিন অনশন করেছিলেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ