শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

অবাধ্য স্ত্রীকে ইসলামে অবাধ্য স্ত্রীর যে শাস্তি আছে তা জানাতে হবে।এবং তাকে তার আচরণ জনসম্মুখে প্রকাশের ভয় দেখাতে হবে।আল্লাহর কাছে দোয়া করবেন।আর যদি দম্পতির কোনো সন্তান না থাকে তবে দ্রুত সন্তান জন্মদান করা উচিত।কারণ মেয়ে লোকের সন্তান থাকলে তারা এমনিতেই স্বামীর বাধ্য হয়ে যায়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

অবাধ্য স্ত্রীকে বাধ্য করতে কুরআনের নির্দেশনা পালন করুন। ইনশাআল্লাহ বাধ্য হবে। কুরআনে এসেছে,সূরা আন নিসা:34 - পুরুষেরা নারীদের উপর কৃর্তত্বশীল এ জন্য যে, আল্লাহ একের উপর অন্যের বৈশিষ্ট্য দান করেছেন এবং এ জন্য যে, তারা তাদের অর্থ ব্যয় করে। সে মতে নেককার স্ত্রীলোকগণ হয় অনুগতা এবং আল্লাহ যা হেফাযতযোগ্য করে দিয়েছেন লোক চক্ষুর অন্তরালেও তার হেফাযত করে। আর যাদের মধ্যে অবাধ্যতার আশঙ্কা কর তাদের সদুপদেশ দাও, তাদের শয্যা ত্যাগ কর এবং প্রহার কর। যদি তাতে তারা বাধ্য হয়ে যায়, তবে আর তাদের জন্য অন্য কোন পথ অনুসন্ধান করো না। নিশ্চয় আল্লাহ সবার উপর শ্রেষ্ঠ।

আয়াতে তিনটি পদ্ধতি অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।এগুলো ধারাবাহিক ভাবে করতে হবে। প্রথমে ভালোভাবে বুঝাতে হবে,যদি বুঝানো কাজে না আসে তাহলে বিছানা পৃথক করতে হবে।এতেও যদি কাজ না হয় তাহলে হালকা প্রহার করতে হবে।


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

ইব্‌নু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করিম (সঃ) বলেছেনঃ আমাকে জাহান্নাম দেখানো হয়। (আমি দেখি), তার অধিবাসীদের বেশির ভাগই নারীজাতি, (কারণ) তারা কুফরী করে। জিজ্ঞেস করা হল, ‘তারা কি আল্লাহর সঙ্গে কুফরী করে?’ তিনি বললেনঃ ‘তারা স্বামীর অবাধ্য হয় এবং অকৃতজ্ঞ হয়।’ তুমি যদি দীর্ঘদিন তাদের কারো প্রতি ইহসান করতে থাক, অতঃপর সে তোমার সামান্য অবহেলা দেখতে পেলেই বলে ফেলে, ‘আমি কক্ষণো তোমার নিকট হতে ভালো ব্যবহার পাইনি।’ (৪৩১,৭৪৮,১০৫২,৩২০২,৫১৯৭; মুসলিম ৮/১ হাঃ ৮৮৪, আহমাদ ৩০৬৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৮,ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৮) (সহীহ বুখারী, হাদিস নং ২৯)। আপনি আপনার স্ত্রীকে উক্ত হাদীস মোতাবেক উপদেশ দান করুন। আর যদি উভয়ের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়, তাহলে আপনি নিজের পক্ষ থেকে/পরিবার হতে একজন এবং এর (স্ত্রীর) পরিবার হতে একজন সালিস নিযুক্ত করুন। যদি তারা উভয়ে নিষ্পত্তির ইচ্ছা রাখে, তাহলে আল্লাহ আপনাদের মধ্যে মীমাংসার অনুকূল অবস্থা সৃষ্টি করে দেবেন। কেননা, এ সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, "আর যদি তোমরা তাদের (স্বামী-স্ত্রী) উভয়ের মধ্যে বিরোধের আশঙ্কা কর তাহলে স্বামীর পরিবার থেকে একজন বিচারক এবং স্ত্রীর পরিবার থেকে একজন বিচারক পাঠাও। যদি তারা মীমাংসা চায় তাহলে আল্লাহ উভয়ের মধ্যে মিল করে দেবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজ্ঞানী, সম্যক অবগত।" (সুরা নিসা, আয়াত নং ৩৫)। এরপরেও স্ত্রী অবাধ্য হলে সর্বপ্রথম তাকে সদুপদেশ ও নসীহতের মাধ্যমে বুঝাতে হবে। দ্বিতীয়তঃ সাময়িকভাবে তার সংসর্গ থেকে পৃথক হতে হবে। বুদ্ধিমতী মহিলার জন্য এটা বড় সতর্কতার বিষয়। কিন্তু এতেও যদি সে না বুঝে, তাহলে হাল্কাভাবে প্রহার করার অনুমতি আছে। তবে এই প্রহার যেন হিংস্রতা ও অত্যাচারের পর্যায়ে না পৌঁছে; যেমন অনেক মূর্খ লোকের স্বভাব। মহান আল্লাহ এবং তাঁর রসূল (সাঃ) এই যুলমের অনুমতি কাউকে দেননি। 'অতঃপর যদি তারা তোমাদের অনুগতা হয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে অন্য কোন পথ অন্বেষণ করো না' অর্থাৎ, তাহলে আর মারধর করো না, তাদের উপর সংকীর্ণতা সৃষ্টি করো না অথবা তাদেরকে তালাক দিও না। অর্থাৎ, তালাক হল একেবারে শেষ ধাপ; যখন আর কোন উপায় থাকবে না, তখন তার প্রয়োগ হবে। কিন্তু বহু স্বামী তাদের এই অধিকারকে বড় অন্যায়ভাবে ব্যবহার করে থাকে। ফলে সামান্য ও তুচ্ছ কারণে তালাক দিয়ে নিজের, স্ত্রীর এবং সন্তানদের জীবন নষ্ট করে থাকে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ