Mijanur123

Call

এজমা রোগ-বৈশিষ্টঃ Clinical Features 
এজমায় বায়ুবাহী শ্বাসনালীর bronchi ও bronchioles এর বৈশিষ্টপূর্ণ সংকোচন জনিত বিভিন্ন সময়ের বিরতিতে বা অনবরত বায়ুপ্রবাহে প্রতিবন্ধকতায় সৃষ্ট লক্ষণসমুহ- শ্বাসকষ্ট, শ্বাস টান, হাঁপানি, wheeze, বুকে চাপ ও দম বন্ধ অনুভুতি, কাশি (কফ ও কফহীন) প্রকাশ পায়। 
এজমা রোগের ৩ টি মৌলিক বিশেষত্ব১,৩ : 
১। বিভিন্ন সময়ের বিরতিতে (বিক্ষিপ্ত) লক্ষণের আবির্ভাব (episodic) এবং রোগ বারবার (recurrent) হওয়া। 
২। শ্বাসনালীর বিপরীতমুখী (reversible) সংকোচন Û প্রসারণ। প্রসারণ স্বাভাবিকভাবে বা প্রসারক-ঔষধ প্রভাবে। 
৩। শ্বাসনালীর অতি-সক্রিয়তা (Hyper-responsiveness) বা অতি-সংবেদনশীলতা এবং শ্বাসনালীর দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ, যে কোন কারণে। 
Clinical Features রোগ বৈশিষ্ট্য১ 
এজমা উপসর্গ ও লক্ষণ২ 
সাধারণ লক্ষণ সমুহ নিম্নরূপঃ শ্বাসকষ্ট, শ্বাসটান, হাঁপানি, wheeze, বুকে চাপ ও দম বন্ধ অনুভুতি, কাশি (কফ ও কফহীন)। 
এজমার কারণে জীবনধারা বিপর্যস্ত, দৈনন্দিন কাজকর্মে ব্যাঘাত, কর্মস্থলে অনুপস্থিতি, recreational, শারীরিক ও মানসিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। 
লক্ষণ সমুহ নিম্নরূপ২ 
• সাধারণত শ্বাসকষ্ট, wheeze, বুকে চাপ ও দম বন্ধ অনুভুতি, কাশি, কফ তৈরি খুবই common লক্ষণ । কাশি প্রায়শ শেষ রাতে ও ভোর-সকালে হয়। 
• হঠাৎ করে ক্ষণস্থায়ী শ্বাসকষ্ট, কোন trigger উপাদান উত্তেজক হিসাবে কাজ করতে পারে। ভিন্ন সময়ের বিরতিতে (episodic) বারবার আক্রান্ত (recurrent) হওয়া। 
• আপাত সহনীয় মাত্রায় সার্বক্ষণিক লক্ষণ ও উপসর্গ । 
• চলিত সহনীয় এজমা আকস্মিকভাবে প্রকট ও ভয়াবহ রূপে দেখা দিতে পারে। 
• এজমা লক্ষণ প্রায়ই রাত্রে বাড়ে, ভোর ৩/৪ টায় (দৈনিক চক্রাবর্তে এসময় নার্ভ ও শ্বাসনালীর সক্রিয়তা tone and reactivity সবচেয়ে বেশী থাকে)। 
শারীরিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত চিহ্ন২ (Sign) 
• নাকের অতি-নিঃসরণ, সর্দি; নাকের মিউকাস ঝিল্লি লাল, ফুলে থাকা; নাকের ‘পলিপ’। সম্ভাব্য এলার্জি নির্দেশ করে। 
• ত্বকীয় রোগঃ একজিমা, এটোপিক চর্মরোগ, ত্বকের এলার্জি। 
• স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাসে অথবা প্রলম্বিত শ্বাস-ফেলার (expiration) সময় wheeze.(শুধুমাত্র জোরে শ্বাস-ফেলার সময় wheeze হলে বলা যাবেনা যে এজমার কারণে হচ্ছে)। 
• মৃদু এজমায় বুক-পরীক্ষায় স্বাভাবিকতা (normal) থাকে অনেক ক্ষেত্রে। 
• অতিশয় প্রকট এজমা (severe asthma) বৃদ্ধিতে (exacerbation) বায়ুপ্রবাহ খুবই সীমিত থাকায় শ্বাসনালীতে wheeze হয় না। Wheeze এর অনুপস্থিতে তখন এজমা নির্ণয়ক হিসাবে শ্বসন-শব্দ (respiratory sound) খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তখন- 
 ফুসফুসে স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে কম শ্বসন-শব্দ (respiratory sound) শোনা যায়। 
 এমনকি প্রলম্বিত শ্বাস-ফেলার (expiration) সময়,এবং 
 সক্রিয় Accessory muscle and shoulder ব্যবহার- কষ্টকর শ্বাসক্রিয়া নির্দেশ করে। 
লক্ষণ পরিচিতি 
শ্বাসকষ্ট (breathlessness): স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস আমাদের বোধ বা অনুভবে আসে না। শ্বাস টানা ও শ্বাসফেলা যখন অনুভবে আসে এবং এর জন্য effort (শ্রম) প্রয়োজন হয়, তখন শ্বাসকষ্ট (dyspnoea) বলে। শ্বাসকষ্ট মাত্রা জীবনাচরণে জানা যায়- কি পরিমান কাজে, কতটুকু পরিশ্রমে, বা সিঁড়ির কত ধাপ অতিক্রমে, কতটুকু হাঁটার পর শ্বাসকষ্ট হয়। শুয়ে থাকা অবস্থায় শ্বাসকষ্টকে orthopnea বলে। 
শ্বাসকষ্ট ২ভাবে এবং বিভিন্ন রোগের লক্ষণ হিসাবে দেখা দিতে পারে৩। 
১) তাৎক্ষনিক (acute)ভাবে –এজমা, তীব্র-প্রকট সার্বক্ষণিক এজমা, ARDS, acute pulmonary edema, laryngeal edema. এছাড়া মানসিক, metabolic acidosis, রক্ত-শুন্যতা প্রভৃতি কারণে হতে পারে। 
২) সার্বক্ষণিক (chronic)- সার্বক্ষণিক এজমা, COPD, allergic alveolitis, interstitial fibrosis, pneumonitis. 
• ছেলেবেলায় wheeze সহ শ্বাসকষ্ট এজমা সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে। 
• রাতে ও বিশ্রামে কোন শ্বাসকষ্ট উপশম হয়, কিন্তু এজমাতে শ্বাসকষ্ট রাতে অবনতি হয়। 
• শুকনো কাশি নিয়ে শ্বাসকষ্ট interstitial fibrosis এর লক্ষণ। 
• COPD তে মাসের পর মাস, বরসরের পর বৎসর ক্রমান্বয়ে উত্তরোত্তর শ্বাসকষ্ট অবনতি এবং ক্রমাগত স্বাস্থ্যহানি ঘটে।
• শ্বাসকষ্ট মানসিক যদি কেউ ‘আমি ঠিকমত শ্বাস নিতে অক্ষম’ উক্তি সম্বলিত ও দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে, এবং আঙ্গুল ও ঠোট- মুখে অসাড়তা প্রকাশ করে। কদাচিৎ বিশ্রাম ও ঘুমের ভিতর হয়। 
বুকে আওয়াজ (wheeze): শ্বাস-প্রশ্বাসকালীন বুকে ঘড়ঘড় আওয়াজ, শোঁ শোঁ বা বাঁশির শব্দ, যা stethoscope অথবা আশেপাশের লোক বাহির থেকে শুনতে পায়। শ্বাসফেলার সময় alveoli থেকে বায়ু বহির্গমনজনিত বন্ধ (collapsed) প্রান্তিক-শ্বাসনল খোলার সময় এই ধরনের আওয়াজ (expiratory wheeze) তৈরি হয়। শ্বাসফেলার শেষাংশে একক আওয়াজকে squack বলে, যা COPD ও Obliterative bronchiolitis শোনা যায়। শ্বাসনেয়ার সময় ক্ষণস্থায়ী ভাঙ্গা ভাঙ্গা বুদবুদের মত শব্দ crackles নামে পরিচিত। শ্বাসগ্রহণের সাথে এর সম্প্রিক্ততা তাৎপর্যপূর্ণ। শ্বাসগ্রহণের প্রথমাংশে- বায়ুপ্রবাহের সীমাবদ্ধতা প্রকাশ করে। শ্বাসগ্রহণের শেষাংশে pulmonary edema, fibrosis, bronciectasis কারণে হয়। 
এজমার প্রাথমিক পর্যায়ে wheeze হয় না। তীব্র-প্রকট এজমাতেও (স্বল্প বায়ুপ্রবাহের কারণে) wheeze পাওয়া যায় না। 
বুকে চাপ (oppression) অনুভবঃ মনে হবে বুক ভার হয়ে আছে বা বুকের উপর কিছু বসে আছে। 
দম বন্ধ অনুভব (shortness of breath): মনে হবে ঘরে বাতাস নাই, শ্বাস নিতে পারছে না অর্থাৎ দম বন্ধ হয়ে আসছে। 
কাশি (cough): সবচেয়ে common উপসর্গ। শ্বাস তন্ত্রের বিভিন্ন অংশ থেকে ভিন্ন ধরণের কাশি হয়। এজমাতে হঠাৎ রাতে খুসখুসে হয়। স্বল্প পরিশ্রম ও জোরে শ্বাস নিতে কাশি হতে পারে। খুসখুসে কাশ বা কফ সহ কাশ। এজমাজনিত কাশি সচরাচর শেষরাত্রে বা ভোর-সকালে বৃদ্ধি পায়। ফলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে এবং ঘুম ভেঙ্গে যায়। 
বিভিন্নভাবে প্রকাশিত এজমা২ (manifestations) 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ