লবণ সেতুর ভূমিকা হলো: *এটি অর্ধকোষের উভয় দ্রবনে সংযোগ স্থাপন করে কোষবর্তনী পূর্ন করে। *এটি উভয় অর্ধকোষের দ্রবনের তড়িৎ নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে কাজ করে। *লবণ সেতু র মধ্যস্থ তড়িৎবিশ্লেষ্য KNO3 উভয় অর্ধকোষের দ্রবনের সাথে কোন রাসায়নিক বিক্রিয়া করেনা বরং উভয় তরলের মধ্যে প্রয়োজন মত ধন ও ঋন আয়ন বিনিময়ে ব্যাপন প্রক্রিয়ার মাধ্যমরুপে কাজ করে। **এগুলোই লবণসেতুর ভুমিকা
ভিন্ন ভিন্ন পাত্রে ভিন্ন তড়িৎ বিশ্লেষ্য ও তড়িৎ দ্বার থাকে। এক একটি পাত্রে অর্ধকোষ বিক্রিয়া করে, এনোডে তড়িৎ দ্বার থেকে পরমানু ইলেকট্রন ছেড়ে দিয়া দ্রবন থেকে ঋনাত্নক আয়ন গ্রহন করে ফলে ধনাত্নক আয়ন মুক্ত হয়ে যায়। এবং ক্যাথোডে ঋনাত্নক আয়ন ছেড়ে দিয়া ধাতব পরমানুটি এনোড কতৃক ছেড়ে দেয়া ইলেক্ট্রন গ্রহন করে ধাতুতে পরিনত হয়ে ক্যাথোডে লেগে থাকে। ফলে দুই পাত্রে ধনাত্নক ও ঋনাত্নক আয়ন আলাদা ভাবে মুক্ত হয়। লবন সেতু এই দুই আয়নের পরিবাহক হিসাবে কাজ করে। ফলে একটি আয়ন লবন সেতু দিয়া পার হয়ে অপর পাশে যেয়ে বিপরীত মুক্ত আয়নের সাথে যুক্ত হয়ে(প্রকৃত পক্ষে পরিবেষ্ঠিত থাকে) নিরপেক্ষ হয়। এভাবে লবন সেতু দুই তড়িৎ দ্বারের রাসায়নিক বিক্রিয়ার সমতা রক্ষা করে।