Call

টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণঃ

১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত টানা জ্বর।

ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, পেটে ব্যথা অনুভূত হওয়া, মাথাব্যাথা করা।

গা ম্যাজ ম্যাজ করা, কফ বা কাশি হওয়া, হার্ট রেট বা হৃদস্পন্দন কমে যাওয়া, ক্ষুধামন্দা।


টাইফয়েড জ্বর সনাক্তকরণঃ

কেবল আপনার চিকিৎসকই বলতে পারবেন যে আপনার টাইফয়েড জ্বর হয়েছে কিনা। দ্রুত সনাক্তকরণের জন্য ব্লাড কালচার নামক রক্ত পরীক্ষা করতে হয়। স্যালমোনেলা টাইফি ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়ার জন্য জ্বর হওয়ার ২য় সপ্তাহে উইডাল টেস্ট নামে এক ধলনের ননস্পেসিফিক ব্লাড টেস্ট করতে হয়।

টাইফয়েড জ্বরের চিকিৎসা

এন্টিবায়োটিকের মাধ্যমে টাইফয়েড জ্বরের চিকিৎসা করা হয়ে থাকে। নির্দিষ্ট এন্টিবায়োটিক শুরুর পর জ্বর কমতে পাঁচদিনও লেগে যেতে পারে। টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পরও যারা দ্রুত চিকিৎসা করেন না তাদের সপ্তাহ বা মাসব্যাপী জ্বর থাকতে পারে এবং বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া সহায়ক চিকিৎসা হিসেবে নিম্নোক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারেঃ

 অধিক পরিমাণে তরল খাবার গ্রহণে দীর্ঘস্থায়ী জ্বর এবং ডায়রিয়ার কারণে সৃষ্ট পানি স্বল্পতা দূরীভূত হয়। এছাড়া তীব্র আকারে পানি শূন্যতা দেখা দিলে শিরাপথে ওষুধ প্রদানের মাধ্যমেও তরলজাতীয় খাবার প্রদান করা যেতে পারে।

 স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণে অসুস্থতাকালীন সময়ে হারানো পুষ্টি পুনরুদ্ধারে উচ্চ ক্যালরি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা উচিত।

 

টাইফয়েড জ্বর প্রতিরোধেঃ

টাইফয়েড জ্বরের জন্য নির্ধারিত ভ্যাক্সিন (টিকা) চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহণ করুন। ইনজেকশন এবং মুখে খাওয়ার উভয় ধরনের ভ্যাক্সিন বাজারে খুবই সহজলভ্য। কোন ধরনের ভ্যাক্সিন গ্রহণ করবেন সে বিষয়ে আপনার চিকিৎসককের পরামর্শ নিন। শুধু ভ্যাক্সিনই ১০০% কার্যকর হবে তা নয়, এর সাথে নিম্নলিখিত কার্যকরী পদক্ষেপসমূহ গ্রহণ করতে হবে :

 শাকসবজি, ফলমূল এবং রান্নার বাসনপত্র পরিষ্কার পানিতে ধৌত করতে হবে।

 ভালভাবে রান্নাকৃত বা সিদ্ধকৃত খাবারই কেবলমাত্র পান করুন।

 খাবার গ্রহণ, প্রস্তত বা পরিবেশনের পূর্বে খুব ভালভাবে হাত ধৌত করুন।

 ভালভাবে ফুটানো, পরিশোধিত বা বোতলজাত বিশুদ্ধ পানিই কেবলমাত্র পান করুন। পর্যাপ্ত পরিমাণে ফুটানো পানি বা পরিশোধিত পানি সংরক্ষণ করুন এবং পানি যাতে দূষিত হতে না পারে সে জন্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংরক্ষণকৃত সেই পানি পান করুন।

 বোতলজাত, পরিশোধিত বা ফুটানো পানি হতে বরফ তৈরি করা না হলে সেই বরফ মিশিয়ে পানি বা অন্য কোন পানীয় পান করা হতে বিরত থাকুন।

 যে সমস্ত সবজি বা ফলমূলের খোসা উঠানো যায় না সেগুলো এড়িয়ে চলুন। আর যে সমস্ত ফলমূলের খোসা উঠানো যায় সেগুলোর ক্ষেত্রে আগে ভালভাবে সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করে তারপর খোসা উঠানো উচিত এবং সেই খোসা খাওয়া উচিত নয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ