ছাত্রসমাজ দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ। শিক্ষাঙ্গন হলো রাষ্ট্র পরিচালনার বিভিন্ন পর্যায় কর্মী ও নেতৃত্বের কারখানা। শিক্ষাকে বলা হয়- education is the harmonious development of body,soul and mind.আর তাই সঙ্গত কারণে ছাত্রজীবনেই নেতৃত্বের গুণাবলি চর্চায় অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী মনোভাব গড়ে তোলা দরকার। আর এ কারণেই রাজনীতির আবশ্যকতা অনস্বীকার্য। কিন্তু স্বাধীনতা পরবর্তীকালে বাংলাদেশের ছাত্ররাজনীতি হয়ে কলুষিত, সন্ত্রাসনির্ভর ও মেধাশূণ্য। একথা অতীব সত্য যে,স্বাধীনতা-পূর্ববর্তী সকল আন্দোলনে ছাত্রসমাজের অংশ গ্রহণ ছিল অবিভক্ত। সকলের উদ্দেশ্য ছিল একটাই। কিন্তু স্বাধীনতার পর দেশে বহুদলীয় রাজনীতি চালু হওয়ায় ছাত্রসমাজ হয়ে পড়ে লেজুড়বৃত্তিক অঙ্গ সংগঠন। ছাত্রদের মধ্যে দেখা দেয় মতানৈক্য আর শুরু হয় প্রতিহিংসার রাজনীতি। অসৎ রাজনৈতিক নেতৃত্বের ছাত্রছায়ায় ছাত্ররা অধ্যয়ন ও ক্যারিয়ার গঠনের পরিবর্তে দেশে সন্ত্রাস,চাঁদাবাজী,ছিনতাই,রাজাহানি,টেন্ডারবাজি,ব্যাক ডাকাতি,অপহরণ ইত্যাকার হীন কর্মকাণ্ড জড়িয়ে পড়ে। ফলে দেশের সামগ্রিক শিক্ষাব্যবস্থায় এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।