বিষ বলতে আমরা সাধারণত এমন সব পদার্থ (কঠিন, তরল বা গ্যাসীয়) বুঝাই যেগুলো দেহে প্রবেশ করলে বা দেহের সংস্পর্শে আসলে অসুস্থ কিংবা মৃত্যু হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
এরকম পদার্থের তালিকাটা বিশাল। একেক বিষ একেকভাবে মানুষের ক্ষতি করে।
কিছু বিষ দেহে অক্সিজেন সরবরাহে বাধা সৃষ্টি করে, কিছু দেহের শক্তি উৎপাদন পক্রিয়া ব্যাহত করে, আবার কিছু আমাদের চেতনা ও নার্ভাস সিস্টেম বিকল করে দেয়। দেহাভ্যন্তরে ক্ষত বা ক্যান্সার সৃষ্টির পিছনেও কিছু বিষাক্ত পদার্থ দায়ী। সব মিলিয়ে হাজারো উপায়ে আমরা বিষাক্ততার শিকার হতে পারি।
সাধারণ পরিবেশ থেকে যে বিষাক্ত পদার্থ আমাদের দেহে প্রবেশ করে, সেগুলো দেহের ইমিউন সিস্টেমের মাধ্যমে ডাইজেস্ট হয়ে দেহ থেকে বাইরে নিষ্কাশিত হয়। তবে অতিরিক্ত বিষাক্ততা গুরুতর অসুস্থতা কিংবা মৃত্যু পর্যন্ত ঘটাতে পারে।
মানুষের দেহে যা বিষক্রিয়ার সৃষ্টি করে তাহাকেই বিষ বলা চলে ।
কিছু কিছু পদার্থ আছে যা দেহের সংবহনতন্ত্রের ক্ষতি করে , অক্সিজেন বহনে বাধা দেয়,কোনো অর্গানের ক্ষতি করে, কিংবা আভ্যন্তরিন সিস্টেমের ক্ষতি করে প্রাণহানী করে তাহাই বিষ । যেমন-- পটাশিয়াম সায়ানাইড,সায়ানাইড,ম্যালাথিয়ন,মার্কারি ইত্যাদি ।
বিভিন্ন ফসলে বিভিন্ন পোকা মারতে আলাদা আলাদা পদার্থ লাগে তা ওই পোকার ক্ষেত্রে বিষ । এই বিষ তরল,বাষ্প,কঠিন প্রকৃতির হয় । তা মানুষের দেহেরও ক্ষতি করতে পারে ।
বাতাসে অনেক জীবাণু ঘুরে বেড়ায়, বিষের কণা,বাষ্পও ঘুরে বেরাতে পারে তাই ভালো করে হাত ধুয়ে খাওয়া উচিত । যে বিষের যেমন পাওয়ার তেমন অনুযায়ী ক্ষতি করে । যাদের পাওয়ার কম তাদের ঐ একটু আধটু তে মৃত্যু হবে না তবে হালকা ক্ষতি হতে পারে ।।