শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

  সর্বোত্তম উত্তর সম্ভবত পৃথিবীর ৯৯% মানুষ মনে করে লোহা পৃথিবীর ভিতরে তৈরি হয়েছে, ৯৫% এর উপরে মনে করে লাভা থেকে এবং আমাদের দেশের ৯০% মানুষ জানেই না আসলে আমরা লোহা কোথা থেকে পাই কারন আমাদের দেশে কোন লোহার খনি নাই। কিন্তু উপরের সবাই আসলে ভুল। কারণ লোহা মোটেই পৃথিবীতে তৈরি হয়নি।  তাহলে প্রশ্ন, লোহা কোত্থেকে আসলো??  এর উত্তরে প্রথমেই জানতে হবে লোহা তৈরিতে কি প্রয়োজন। আমরা জানি আমাদের মহাবিশ্ব সৃষ্টির পরে আস্তে আস্তে নক্ষত্র গুলো সৃষ্টি হয়েছে এবং তার পরে সেই নক্ষত্র গুলোর মধ্যে কিছু কিছু ধ্বংস হয়ে গিয়ে তার ধংস্বাবশেষ থেকেই সৃষ্টি হয়েছে গ্রহ গুলোর। এখন লোহা উৎপন্ন হওয়ার জন্য একটা নক্ষত্রের মধ্যে কমবেশি ১০০ মিলিয়ন(১০ কোটি) ডিগ্রিসেলসিয়াস তাপমাত্রার প্রয়োজন। কিন্তু আমাদের সুর্যের আভ্যন্তরিন তাপমাত্রা আছে ১৫ মিলিয়ন(১৫০ লক্ষ) ডিগ্রিসেলসিয়াস এর মতন। তার মানে পৃথিবী যখন একটা নতুন গ্রহ হিসাবে সোলার সিষ্টেমে গঠিত হচ্ছিল তখন লোহার গঠন হয়নি। তার মানে লোহা আসলে পৃথিবীর কোন ম্যাটেরিয়ালস না। এখন আমরা জানি যখন কোন সুবিশাল (massive) নক্ষত্রের নিউক্লিয়ার ফিউশন এতটাই বেড়ে যায় অথবা নক্ষত্রের যখন গ্রাভিটিশনাল কলাপ্স ঘটে তখন নক্ষত্রটি মারাত্মক অবস্থায় বিস্ফোরিত হয় যাকে আমরা সুপারনোভা বলে জানি। এই নক্ষত্রের আভ্যন্তরিন অংশগুলো আগেই প্রচন্ড তাপ এবং চাপে গ্যাসিয় পদার্থ থেকে লোহ জাতীয় ধাতব পদার্থে রুপান্তরিত হয়। এই সুপার নোভার ফলে নক্ষত্রের আভ্যন্তরিন বিস্ফোরিত অংশগুলোই উল্কা আকারে আমাদের নবগঠিত পৃথিবীতে এসে আঘাত হানে এবং আস্তে আস্তে পৃথিবীর উপরিস্তর মানে মাটি গঠিত হলে তার নিচে জমে যায়। এটা আজকে থেকে আরো ৩৭০০ মিলিয়ন(৩৭০ কোটি) বছর আগের ঘটনা। এদের পরিমান এতটাই বেশি ছিল যে বর্তমান পৃথিবীর সমগ্র ভুত্বকের ৫% ই লোহা। এছারাও পুরো পৃথিবীর সমগ্র আয়তনের ৩৫% ই এই লোহ জাতীয় ধাতব পদার্থ। অর্থাৎ লোহা অত্যন্ত উত্তপ্ত নক্ষত্র থেকে তৈরি।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

লোহার উপাদান: ম্যাংগ্যানিজ,ক্রোমিয়াম,ভ্যানডিয়াম এবং কার্বন সবচেয়ে সাশ্রয়ী লোহার সাথে এই ধাতুগুলো যুক্ত হয়ে লোহা দৃঢ়তা বৃদ্ধি করে। তথ্যসুত্র: http://bn.m.wikipedia.org/wiki/ইস্পাত

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ