দেহত্বক এর জন্য আদর্শ pH এর মান 5.5 । ত্বকের pH এর মান 5.5 থেকে 6.5 এর মাঝে থাকলে ত্বক বিভিন্ন এলার্জেন, ব্যাকটেরিয়া এবং পরিবেশ দূষকের আক্রমন প্রতিরোথ করতে পারে । pH এর মান 4 থেকে 6 এর মাঝে হলে চুলের কিউটিকলগুলো মসৃণ থাকে । ফলে চুলগুলো সমভাবে আলো বিকিরণ করে এবং উজ্জল দেখায়।। আমাদের ত্বকের জন্য যেমন অতি এসিড ক্ষতিকর তেমনি অতি ক্ষারও ক্ষতিকর। এই pH এর তারতম্য হলে তা আমাদের জন্য ক্ষতির কারন এমন কি মৃত্যুও হতে পারে ।
রসায়নে পিএইচ (ইংরেজি pH) হচ্ছে দ্রবীভূত হাইড্রোজেন আয়নের সক্রিয়তার পরিমাপ। pH দ্বারা মূলত হাইড্রজেন আয়নের ঘনত্ব বোঝায়। pH স্কেল দিয়ে সাধারণত কোনো কিছুর অম্লত্ব ও ক্ষারত্বের নির্ধারণ করা হয়। pH স্কেল অনুসারে কোন কিছুর pH যদি ৭ হয় তবে তা অম্ল/এসিড ও ক্ষার নিরপেক্ষ আর pH স্কেলে তার মান যদি হয় ৭ এর নিচে তাহলে তা অম্ল/এসিড এবং ৭ এর বেশি হলে তা ক্ষার। আমাদের ত্বক সাধারণত এসিডিও হয়। আমাদের ত্বকের জন্য যেমন অতি এসিড ক্ষতিকর তেমনি অতি ক্ষারও ক্ষতিকর। এই pH এর তারতম্য হলে তা আমাদের জন্য ক্ষতির কারন এমন কি মৃত্যুও হতে পারে । আমাদের ত্বকের জন্য সহনীয় pH হলো ৪-৬ এর মধ্যে। অর্থাৎ ত্বকের pH বালেন্স বলতে মূলত ত্বকের pH -কে সহনীয় মাত্রাতে রাখাকেই বোঝায়। . ত্বকের pH ঠিক রাখতে যা করবেনঃ ক্লিনজিং, টোনিং ও ময়শ্চারাইজিং নিয়মিত করলে ত্বক ভালো থাকে। ত্বককে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল রাখতে প্রতিদিন এই স্টেপগুলি আমাদের অনুসরণ করতে হবে। টোনিংয়ের পাশাপাশি ময়শ্চারাইজিং করে ত্বকের পিএইচ ব্যালান্স ঠিক রাখা যায়। বাজার চলতি নানা কোম্পানির টোনার ব্যবহার করলে ত্বক অতিরিক্ত মাত্রায় শুকনো হয়ে যায়। তাই ঘরোয়া উপায়ে তৈরি উপাদানে ভরসা করাই শ্রেয়। তৈলাক্ত ত্বকে টোনিং করতেই হবে। তাই এই ঘরোয়া উপাদানগুলি ব্যবহার করলেই সবচেয়ে ভালো ফল পাবেন। > পুদিনা পাতাঃ পুদিনা পাতায় থাকা অ্যাস্ট্রিনজেন্ট ত্বকের মৃত কোষকে তুলে ফেলতে বিশেষ সাহায্য করে। গরম জলে পুদিনা পাতা দিয়ে সেটা ত্বকে লাগান। ঠান্ডা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপরে ত্বককে হালকা ম্যাসাজ করে মুখ ধুয়ে নিন। > অ্যালোভেরাঃ ময়শ্চারাইজার হিসাবে অ্যালোভেরা দারুণ কাজ করে। ত্বককে নানা জ্বালাময়ী অনুভূতির হাত থেকেও এটি রক্ষা করে। অ্যালো ভেরার রস বের করে সেটা সরাসরি ত্বকে লাগান। সানবার্ন ও নানা ধরনের ফুসকুড়ির সমস্যা থেকে এতে মুক্তি পাওয়া যাবেন। > টম্যাটোর রসঃ টম্যাটোর রস ত্বকের স্বাভাবিক জেল্লা ফিরিয়ে আনে। টম্যোটোর রসে খানিকটা মধু মিশিয়ে মিশ্রণটি মুখে লাগান। সেটা কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন। > ভিনেগারঃ ভিনেগারও টোনার হিসাবে কাজ করে। এতে থাকা অ্যাসিড ত্বকের pH ব্যালান্সকে ধরে রাখে। জলে খানিকটা ভিনেগার মিশিয়ে তুলো দিয়ে সেই মিশ্রণ ত্বকে লাগান। > গোলাপপানিঃ ত্বকের পি এইচ ব্যালেন্স করতে সাহায্য করে গোলাপপানি। মুখ ধোয়ার পর তুলোয় ভিজিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন। .