প্রিন্টিং এর ক্ষেত্রে সিএমওয়াইকে কালার মোড ব্যবহার করা হয়। কারণ প্রিন্টিং এর জন্যে আরজিবি কালার মোড ব্যবহার করা সম্ভব না। আরজিবি কালার মোডে করা গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজগুলো কম্পিউটার স্ক্রিণেই সঠিকভাবে দেখা সম্ভব। তা প্রিন্ট আউট করে বের করলে কম্পিউটারের মতো করে দেখা সম্ভব না। অর্থাৎ কম্পিউটারে যে রঙ যেভাবে দেখা যেতো সে রঙ ঠিক সেভাবে দেখা যাবেনা। যদিও ভালো মানের আরজিবি প্রিন্টার বাজারে পাওয়া যায়, তবে সেটা বিশাল বিশাল ছাপানোর কাজে ব্যবহার সম্ভব না। সেকারণেই সিএমওয়াইকে কালার মোড প্রিন্টিং এ ব্যবহার করা হয়। যখন আরজিবি কালার মোডের দু’টো রঙ একসাথে মেশানো হয় তখন সিএমওয়াইকে কালার মোডের একটি রঙ তৈরী হয়। যেমন সবুজ এবং নীল মিলিয়ে হয় সায়ান রঙ, লাল এবং নীল মিলিয়ে হয় ম্যাজেন্টা রঙ, লাল এবং সবুজ মিলিয়ে হয় হলুদ রঙ। এই প্রস্তুতকৃত সায়ান, ম্যাজেন্টা আর হলুদ প্রত্যেকেই সিএমওয়াইকে কালার মোডের মৌলিক রঙ এবং সেই সাথে কালো রঙ জুড়ে দেয়া হয়। অর্থাৎ কালো, সায়ান, ম্যাজেন্টা আর হলুদ এই চারটি রঙ মিলে সিএমওয়াইকে কালার মোড তৈরী হয়। সায়ান (Cyan) এর C, ম্যাজেন্টা (Magenta) এর M, হলুদ (Yellow) এর Y , এবং K ব্যবহার করা হয়েছে কালো রঙকে বোঝাতে। এর প্রত্যেকটির প্রথম অক্ষর নিয়ে এবং কালো এর প্রতিক হিসেবে K নিয়ে এর নামকরণ করা হয় CMYK (সিএমওয়াইকে)