তাঁদের জন্য এমন আশাবাদীর কথা বলে পাপ নির্বিচল থাকা অবশ্যই বৈধ নয়। যেহেতু তাঁদের জানা দরকার যে, মহান আল্লাহর যেমন মহা ক্ষমাশীল, তেমন তিনি কঠোর শাস্তিদাতা। তিনি বলেন, “আমরা বান্দাদেরকে বলে দাও, ‘নিশ্চয় আমিই চরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু এবং আমার শাস্তিই হল অতি মর্মম্ভেদ শাস্তি।’ ( হিজরঃ ৪৯-৫০) “ তোমরা জেনে রাখ, নিশ্চয় আল্লাহ শাস্তিদানে কঠোর এবং নিশ্চয়ই আল্লাহ চরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।” (মায়িদাহঃ ৯৮) সুতরাং তার একটা গুণবাচক দিকে ধরে থেকে অন্য দিকটা ভুলে যাওয়া আদৌ উচিত নয়। আশার সাথে ভয়ও থাকা উচিত। (ইবনে উসাইমিন)
আল্লাহ থেকে নিরাশ হওয়াও পাপ।অতি আশাবাদী হওয়াও
পাপ।অর্থাত এমন নিরাশ হবেন না যেন আমল করতে মন
চায়না,আর আশাবাদী হবেননা যেন নেক আমল করতে
মন চায় না।যেহেতু উভয়টি গোনাহের প্রতি আহবানকারী,
তাই উভয়টি হারাম।
তবে উভয়টা থাকা জরুরী, এর উদাহরণ হলো হযরত উমর
বলেন,কিয়ামত দিবসে যদি ঘোষণা হয় সব জাহান্নামী একজন
ব্যতীত আমি আশা করব সেই ব্যক্তি হয়তো আমি।
আবার যদি ঘোষণা হয় সব জান্নাতি একজন ব্যতীত
আমি ভয় করবো হয়তো সেই ব্যক্তি আমি।এরই নাম
الايمان بين الخوف والرضا
আল্লাহর যেমন নাম গাফ্ফার সেভাবে আল্লাহর নাম কাহ্হার
আছে।
আপনি এ দুটি কথা তাদেরে বুঝান।যদি বুঝে তবে তো ভালো,আর
যদি না বুঝে আলেমের কাছে নিয়ে যান।
হেদায়াত আল্লাহর হাতে..........