Call

আমরা যদি ভয় পাই তাহলে যেমন হরমোন নি:সরণ হয় তেমনি কারো প্রতি ভালোলাগা তৈরি হলেও হরমোন নি:সরণ হয়। মানুষের শরীরে ‘ডপামিন’ নামক একটা জায়গা আছে। যেটা সকল আনন্দের মূল জায়গা। ক্ষুধা লাগার পর ভাত খেলে যেমনি আনন্দ লাগে। প্রিয় মানুষকে চুমু খেলে যেমন আনন্দ লাগে তেমনি প্রিয় মানুষের কাছে গেলেও আনন্দ লাগে। এই ডপামিন-ই ভালোবাসার ভালোলাগা পেতে শুরু করে। ফলে সে আরো চায়। কারণ ডপামিন সকল আনন্দের জায়গা, ঘুম, সেক্স, রিল্যাক্স মানে যত ধরনের আনন্দের জিনিস আছে তার প্রত্যেকটির মধ্যেই ডপামিন জড়িত থাকে। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন মানুষের নার্ভস-এ দুটি সিস্টেম রয়েছে। একটি হচ্ছে সোমাটিক ও অন্যটি অটোমেটিক। সোমাটিক হচ্ছে- ইচ্ছে করে করার বিষয়গুলো। যেমন হাঁটা-চলা ইত্যাদি। আর অটোমেটিক হচ্ছে ইমারজেন্সি কাজ। তবে এরমধ্যেও ভাগ আছে। একটি হলো সিমোপেটিক ও অন্যটি প্যারাসিমোপেটিক। এর দুটোই অটো কাজ করে। তবে ভালোবাসা কিংবা আনন্দের সব ঘটনাই ঘটে প্যারাসিমোপেটিক থেকে। ঘুম, সেক্স, খেলাধুলা -মানে যাবতীয় আনন্দের ঘটনা এর মাধ্যমেই হয়। কাউকে দেখলাম ভালো লাগলো, সেও তাকাল বুকে ধড়ফড় শুরু হলো এবং আবার তাকে দেখার জন্য অপেক্ষা - এমন ঘটনার জন্য সেই ডপামিন দায়ী। যা এই প্যারাসিমোপেটিকে অবস্থিত। এখন এখানে একটা বিষয়ে বলা প্রয়োজন- প্রেমের যে ফিলিংস তা দেখা যায় একজন মানুষের প্রতিই হয়ে থাকে। তাকে নিয়েই সব কল্পনা এবং ভালো লাগা। কথা হচ্ছে এক জেন্ডার আরেক জেন্ডার-এর প্রতি আকর্ষণ হবে এবং যে কেউ যে কারো প্রতি ভালোবাসার সম্পর্ক হয় না কেন? এটা এখন পর্যন্ত কেউ আবিষ্কার করতে পারেনি। কোনো বিজ্ঞান এই প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম হয়নি।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ