ভগবান শব্দের অর্থ কি?


ভগবানের একটি সরল সংজ্ঞা হচ্ছে, 'জন্মদাস্য  
যতঃ' 

অর্থাৎ "যাঁর থেকে সমস্ত প্রকাশিত হয়"(ভাঃ ১/১/  
১)। 

'ভগবান' শব্দটি সংস্কৃত ভাষার শব্দ এবং এর অর্থ বিশ্লেষণ  

করেছেন ব্যাসদেবের পিতা পরাশর মুনি-

 "(১) সমগ্র ঐশ্বর্য(ধনসম্পদ), (২) সমগ্র বীর্য(শক্তিমত্তা), (৩)  
সমগ্র যশ, (৪) সমগ্র শ্রী(সৌন্দর্য, রূপবত্তা), (৫)  
সমগ্র জ্ঞান ও (৬)সমগ্র বৈরাগ্য যাঁর মধ্যে পূর্ণ-  
রূপে বর্তমান, সেই পরম পুরুষ হচ্ছেন ভগবান।

 'ভগ'  

শব্দের অর্থ:: ছয়টি ঐশ্বর্য বা ষড়ৈশ্বর্য।

 'বান'  
শব্দের অর্থ যুক্ত বা সমন্বিত। 

যেমন জ্ঞানবান  
অর্থ জ্ঞান-সমন্বিত, ধনবান শব্দের অর্থ ধন-  
সমন্বিত, তেমনি ভগবান(পরমশ্বের ভগবান)।  


কিন্তু মহা পাপের বা ঘোর পাপের ব্যাপার ::::: কিছু মানুষ ভগবান কে যোনির সঙ্গে সঙ্গায়িত করে .....

পৃথিবীকে মনে রাখা উচিত! যুগে-যুগে , কালে-কালে।

সনাতনের আঁধার শ্রী ঈশ্বর :- তাঁর প্রদত্ত আদি ধর্মকে/ধর্মিককে  অবশ্যই রক্ষা করেছেন এবং অধর্ম কে তিনি ধবংস করেছেন ।

শত শত বার। 

হে মানুষ তুমি যতজ্ঞানবান-ই হও না কেন?

সনাতন জ্ঞান সাগর এতই বৃহৎ যে সমগ্র জীব জগৎ তাঁর এক বিন্দু ও আলোড়িত করতে পারে না । 

তাই সঠিক পথে আসুন সঠিক সনাতন কে জানি । আর সবাই বলি বলি  ঈশ্বর এক এবং  অদ্বিতীয় ।


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
RushaIslam

Call

“ভগবান” শব্দটি খুব প্রচলিত একটি শব্দ বিশেষ করে হিন্দু আর বৌদ্ধ সমাজে। “ভগবান” শব্দটির সুনির্দিষ্ট ও সর্বসম্মত বা সর্বজন গ্রাহ্য অর্থ নেই। একেকজন লেখক, গবেষক, তাত্ত্বিক, ধর্মগুরু কিংবা ভাষাবিধ এই শব্দটির একেকভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। আসুন দেখি এই “ভগবান” শব্দের অর্থ কে কিভাবে ব্যাখ্যা করে থাকেন সাধারণত- ১। প্রখ্যাত লৌকিক দার্শনিক আরজ আলী মাতুব্বর তার ‘সত্যের সন্ধানে’(আরজ আলী মাতুব্বর রচনা সমগ্র-০১) নামক বইতে “ভগবান” শব্দের ব্যাখ্যা করেছেন এভাবে- ভগবান শব্দটি সংস্কৃত শব্দ। এটি গঠিত হয়েছে ‘ভগ’+‘বান’। ‘ভগ’ অর্থ স্ত্রীর যৌনি আর ’বান’ অর্থ চিহ্ন। সুতরাং ‘ভগবান’ শব্দের আক্ষরিক অর্থ হল ‘যৌনিচিহ্ন’। এর পিছনে একটা হিন্দু ধর্মের উপাখ্যান আছে। উপাখ্যানটি এরকম- দেবরাজ ইন্দ্রর গুরু হলেন মহামুনি গৌতম ‍ঋষি। একদা গৌতম ঋষির অনুপস্থিতিতে দেবরাজ ইন্দ্র তার গুরুপত্নী অহল্যাকে স্নান শেষে ভেজা কাপড়ে দেখে মনে কাম বাসনার উদ্রেক হয় এবং তা চরিতার্থ করার জন্য তিনি গুরু মহামুনি গৌতমের রূপ ধারণ করে তার স্বীয় গুরুপত্মী অহল্যার সাথে মিলিত হন। সতী নারী অহল্যার সতীত্ব হরণ করার পাপে পুনরায় ইন্দ্রের আসল রূপ প্রকাশিত হয় এবং এটা গুরু গৌতম ঋষি জানতে পারেন। ফলে গৌতম ঋষি ক্ষিপ্ত হয়ে ইন্দ্রকে অভিশাপ দেন সমস্ত শরীরে যেন স্ত্রী জননাঙ্গ বা যৌনি দেখা দেয়। এতে ইন্দ্রের সমস্ত শরীর জুরে যৌনাঙ্গ দেখা দেয়ায় দেবরাজ ইন্দ্রের জন্য সেটা ভীষণ লজ্জার কারণ হলে তিনি তার গুরু গৌতমের পদতলে প্রণামপূর্বক ক্ষমাপ্রার্থনা করেন। কিন্তু ঋষির মুখের বাণী অব্যর্থ। দেয়া অভিশাপ ফিরানো যায় না। তবু নিজের দোষ স্বীকারপূর্বক সকাতরে ক্ষমা চান বিধায় গৌতম ঋষি অভিশাপটা হালকা করনপূর্বক বলেন ইন্দ্রের শরীরে পরিপূর্ণ স্ত্রী জননাঙ্গ থাকবে না, কেবল চিহ্ন আকারে থাকবে। একারণে ইন্দ্রের নাম হয়ে যায় ‘‘ভগবান”। দূর থেকে চিহ্নগুলো দেখতে চোখের মতও লাগত বলে সহস্রলোচন(লোচন অর্থ চোখ) নামে ইন্দ্রের আরেকটি নাম হয়। [এখানে উল্লেখ্য আরজ আলী মাতুব্বর মহোদয় কেবল এটুকু অর্থ(নেগেটিভ) নিয়েই ক্ষান্ত হলেন। অনেকটা ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রবীর ঘোষ তার “অলৌকিক নয় লৌকিক-০৫” গ্রন্থে “উং মনি পদ্মে হুম”(পরে এটা নিয়ে লেখার ইচ্ছে আছে) এই শ্লোকটির ব্যাখ্যা দেয়ার মতই। দু‘জন লেখকই কেবল নেগেটিভ অর্থ ব্যাখ্যা দিয়েই ক্ষান্ত হয়েছেন। তাদের লেখাগুলো পড়ে অনেকেই এটাই ‘‘শেষ কথা’’ হিসেবে ধরে নিয়ে থেমে থাকেন।(সংগ্রহীত) 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ