শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Jobedali

Call

অন্-প্রত্যয় : ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য গঠনে ‘অন’ প্রত্যয়ের ব্যবহার হয়। যেমন : 

 

কাঁদ্+অন=কাঁদন (কান্নার ভাব)।

এরূপ : নাচন, বাড়ন, ঝুলন, দোলন।

বিশেষ নিয়ম

ক) আ-কারান্ত ধাতুর সঙ্গে অন্ স্থলে ‘ওন’ হয়। যেমন : 

 

খা+অন=খাওন   

 

ছা+অন=ছাওন   

 

দে+অন=দেওন

খ) আ-কারান্ত প্রযোজক (নিজন্ত) ধাতুর পরে ‘আন’ প্রত্যয় যুক্ত হলে ‘আনো’ হয়। যেমন :  

 

জানা+আন=জানানো।

এরূপ : শোনানো, ভাসানো।

৪. অনা-প্রত্যয়: 

 

দুল্+অনা=দুলনা>দোলনা      

 

খেল+অনা= খেলনা

৫. অনি, (বিকল্পে) উনি-প্রত্যয় :   

 

র্চি+অনি= চিরনি> চিরুনি     

 

বাঁধ্+অনি = বাঁধনি>বাঁধুনি     

 

আঁট+ অনি= আঁটনি >আঁটুনি

৬. অন্ত-প্রত্যয় : বিশেষণ গঠনে ‘অন্ত’ প্রত্যয় হয়। যেমন: 

 

উড়+অন্ত=উড়ন্ত    

 

ডুব্+অন্ত=ডুবন্ত

৭. অক-প্রত্যয় : 

 

মুড়+অক=মোড়ক   

 

ঝল্+অক=ঝলক

৮. আ-প্রত্যয় : বিশেষ্য ও বিশেষণ গঠনে ‘আ’ প্রত্যয় হয়। যেমন : 

 

পড়+আ=পড়া (পড়া বই)

এরূপ : রাঁধ (বিশেষ্য), রাঁধা (বিশেষণ), কেনা, বেচা, ফোটা

৯. আও-প্রত্যয় : ভাববাচক বিশেষ্য গঠনে ‘আও’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন :    

 

পাকড়+আও=পাকড়াও      

 

চড়+আও=চড়াও

১১. আন (আনো) প্রত্যয় : বিশেষ্য গঠনে প্রযোজক ধাতু ও কর্মবাচ্যের ধাতুর পরে ‘আন/আনো’ প্রত্যয় হয়। যেমন : 

 

চাল্=আন=চালান/চালানো   

 

মান্+আন=মানান/মানানো

১২. আনি-প্রত্যয় : বিশেষ্য গঠনে প্রযুক্ত হয়। যেমন :

 

জান্+আনি=জানানি           

 

শুন্+আনি=শুনানি        

 

উড়+আনি= উড়ানি        

 

উড়+উনি=উড়িন

১৩. আরি বা বিকল্পে রি/উরি- প্রত্যয় : 

 

ডুব্+উরি=ডুবুরী          এরূপ : ধুনারী, পুজারী ইত্যাদি।

১৪. আল-প্রত্যয় : 

 

ম্+আল=মাতাল         

 

মিশ্+আল =মিশাল

১৫. ই-প্রত্যয় : বিশেষ্য গঠনে ‘ই’ প্রত্যয় প্রযুক্ত হয়। যেমন: 

 

ভাজ্+ই= ভাজি   

 

বেড়+ই=বেড়ি

১৬. ইয়া>ইয়ে-প্রত্যয় : বিশেষণ গঠনে ইয়া/ ইয়ে প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন :

 

র্ম+ইয়া=মরিয়া (মরতে প্রস্তুত)     

 

বল্+ইয়ে=বলিয়ে (বাকপটু)।

এরূপ : নাচিয়ে, পাইয়ে, লিখিয়ে, বাজিয়ে, কইয়ে ইত্যাদি।

১৭. উ-প্রত্যয় : বিশেষ্য ও বিশেষণ গঠনে ‘উ’ প্রত্যয়ের প্রয়োগ হয়। যেমন :

 

ডাক্+উ=ডাকু      

 

ঝাড়+উ=ঝাড়–     

 

উড়+উ=উড়– (দ্বিত্ব উড়–উড়–)

১৮. ‘উয়া’ বিকল্পে ‘ও’- প্রত্যয় : বিশেষ্য বিশেষণ গঠনে ‘উয়া’ এবং ‘ও’ প্রত্যয় হয়। যেমন :

 

পড়+উয়া=পড়–য়া>পড়ো      

 

উড়+উয়া=উড়–য়া>উড়ো     

 

উড়+ও=উড়ো (চিঠি)

১৯. তা-প্রত্যয় : বিশেষণ গঠনে ‘তা’ প্রত্যয় হয়। যেমন :  

 

র্ফি+তা=ফিরতা>ফেরতা   

 

পড়+তা=পড়তা   

 

বহ্+তা= বহতা

২০. তি-প্রত্যয় : বিশেষ্য ও বিশেষণ গঠনে ‘তি’ প্রত্যয় হয়। যেমন : 

 

ঘাট্+তি=ঘাটতি    

 

বাড়+তি=বাড়তি

এরূপ : কাটতি, উঠতি ইত্যাদি।

২১. না-প্রত্যয় : বিশেষ্য গঠনে ‘না’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন: 

 

কাঁদ্+না=কাঁদনা> কান্না, 

 

রাঁধ্+না=রাঁধনা>রান্না। এরূপ: ঝরনা

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ