অ-প্রত্যয় কাকে বলে?

যে বিশেষ অঙ্গের দ্বারা প্রাণীদেহে শ্বাসকার্যের সময় পরিবেশ ও দেহরস বা রক্তের সাথে শ্বাসবায়ুর আদানপ্রদান বা গ্যাসীয় বিনিময় ঘটে তাকে শ্বাসঅঙ্গ বা শ্বাসযন্ত্র বলে।

স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বক্ষগহ্বর ও উদরগহ্বরের মাঝখানে অবস্থিত অংশত পেশি ও অংশত টেনডন দ্বারা গঠিত যে ব্যবধায়ক পর্দা বক্ষগহ্বরের আয়তন কমিয়ে ও বাড়িয়ে শ্বাসকার্যে সাহায্য করে তাকে মধ্যচ্ছদা বলে।

যে সমস্ত প্রোটিনযুক্ত রঞ্জক পদার্থগুলি শিথিল রাসায়নিক যৌগরূপে শ্বাসবায়ু (O2 ও CO2) পরিবহন করে তাদের শ্বাসরঞ্জক বলে।

যে প্রত্যয় নির্দিষ্টতা বুঝায়, তাকে পদাশ্রিত নির্দেশক বলে।

রাইবোজোম প্রোটিনের কারখানা কাকে বলা হয়।

(০) শূন্য-প্রত্যয় : কোনো প্রকার প্রত্যয়-চিহ্ন ব্যতিরেকেই কিছু ক্রিয়া-প্রকৃতি বিশেষ্য ও বিশেষণ পদ রূপে বাক্যে ব্যবহৃত হয়।এরূপ স্থলে (০) শূন্য প্রত্যয় ধরা হয়। যেমন : এ মোকদ্দমায় তোমার জিত্ হবে...

অন্-প্রত্যয় : ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য গঠনে ‘অন’ প্রত্যয়ের ব্যবহার হয়। যেমন : কাঁদ্+অন=কাঁদন (কান্নার ভাব)।এরূপ : নাচন, বাড়ন, ঝুলন, দোলন।বিশেষ নিয়মক) আ-কারান্ত ধাতুর সঙ্গে অন্ স্থলে ‘ওন’ হয়। যেমন :...

সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয় : যে তদ্ধিত প্রত্যয় সংস্কৃত বা তৎসম শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে তাকে সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয় বলে। যেমন : মনু+ষ্ণ=মানব; লোক+ষ্ণিক=লৌকিক ইত্যাদি।

বাংলা তদ্ধিত প্রত্যয় : বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত সংস্কৃত ও বিদেশি প্রত্যয় ছাড়া বাকি সব প্রত্যয়কে বাংলা তদ্ধিত প্রত্যয় বলে। যেমন : বাঘ+আ=বাঘা; ঘর+আমি=ঘরামি ইত্যাদি।

বিদেশি তদ্ধিত প্রত্যয় : শব্দের শেষে যেসব বিদেশি প্রত্যয় যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে তাদের বিদেশি তদ্ধিত প্রত্যয় বলে। যেমন : ডাক্তার+খানা=ডাক্তারখানা, ধড়ি+বাজ= ধড়িবাজ ইত্যাদি।