শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Unknown

Call

অনিয়মিত মাসিক এর কারণ

  • শরীরে ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন হরমোনের তারতম্যের কারণে এই সমস্যা হয়।
  • বিবাহিত নারীরা হঠাৎ জন্মনিয়ন্ত্রক ওষুধ বন্ধ করে দিলে হতে পারে।
  • বিভিন্ন ধরনের মানসিক চাপের ফলে হতে পারে।
  • শরীরের রক্ত কমে গেলে অর্থাৎ এনিমিয়া হলে অনিয়মিত মাসিক হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
  • অনেকের ক্ষেত্রে ওজন বেড়ে গেলে এই সমস্যা হয়।
  • জরায়ুর বিভিন্ন জটিলতার কারণে হতে পারে।
  • সহবাসের সময় পুরুষের শরীর থেকে আসা অসুখের কারণে হতে পারে। যেমন : গনোরিয়া, সিফিলিস ইত্যাদি।
  • শরীরে টিউমার ও ক্যানসার ইত্যাদি অসুখে হতে পারে।
  • প্রি মেনোপজের সময় হয়ে থাকে।
  • যেসব নারী শিশুদের বুকের দুধ খাওয়ান সেসব নারীর অনিয়মিত ঋতুস্রাব হতে পারে।

সমস্যা

  • প্রতিমাসে নিয়মিত ঋতুস্রাব হয় না। এক মাসে রক্তপাত হলে হয়তো আরেক মাসে হয় না। অনেকের ক্ষেত্রে দুই-তিন মাস পরপর হয়ে থাকে।
  • ঋতুস্রাব বেশি সময় ধরে হয়। কখনো  অল্প রক্তপাত হয় আবার কখনোও বেশি হয়।
  • সন্তান ধারণ ক্ষমতা হ্রাস পায়।
  • অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ হতে পারে।
  • এ ছাড়া মেজাজ খিটখিটে থাকা এবং অস্বস্তিবোধ তৈরি হয়।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Jobedali

Call

অনিয়মিত মাসিক এর কারণ সমূহ  

  • ১) বয়ঃসন্ধিকাল  বয়ঃসন্ধির শুরুতে সাধারণত ১২-২০ বছর বয়সে অনেকের শরীরে ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্ট্রেরন হরমোনের অভাব থাকে তবে পিরিয়ড অনিয়মিত হতে পারে। এছারাও জন্মগত ত্রুটির কারণেও পিরিয়ড অনিয়মিত হতে পারে।    
  • ২) জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল  বিবাহিত নারীরা হঠাৎ জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল বন্ধ করে দিলে বা বার বার ওষুধ পরিবর্তন করলে পিরিয়ড অনিয়মিত হতে পারে।  
  • ৩) পিসিওএস বা পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম  এটি একটি পরিচিত হরমোনের সমস্যা যা শতকরা ৮-১০ জন নারীরই আছে। এর ফলে প্রতি মাসে ওভারি থেকে ডিম্বাণু নির্গমন হয় না। এই ডিম্বাণুগুলো ওভারিতে সিস্ট তৈরি করে ওভারির চারপাশে জমা হয় এবং শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে মাসিক সময় মত হয় না। কখনো কখনো বন্ধ হয়ে যেতে পারে।   
  •  ৩) মানসিক চাপ বা স্ট্রেস  মস্তিস্কে রয়েছে হাইপোথ্যালামাস নামের একটি বিশেষ অংশ, যেখান থেকে প্রতিনিয়ত নিঃসরিত হয় নানা ধরনের হরমোন। এর মধ্যে কিছু হরমোন রয়েছে, যা নারীদেহে মাসিকের জন্য প্রভাবকের কাজ করে। কিন্তু অতিরিক্ত মানসিক চাপে ভুগলে অনেক সময় হাইপোথ্যালামাস ঠিকমতো কাজ করে না। যার ফলে মাসিক শুরু হতে দেরি হয়।    
  • ৪) ওজন কম বা বেশি  ওজেন অতিরিক্ত তারতম্য হলে পিরিয়ডের উপর প্রভাব পড়ে। অতিমাত্রায় স্থুল নারীদের ওভারির চারপাশে ফ্যাট জমে ওভুলেশন-এ সমস্যা হয়। যার ফলে পিরিয়ড নিয়মিত হয় না। একি সাথে আবার অতিমাত্রায় ক্ষীণ স্বাস্থ্যও পিরিয়ড অনিয়মিত করতে পারে।    
  • ৫) থাইরয়েড-এর সমস্যা  থাইরয়েড গ্ল্যান্ড যা আমাদের গলার নিচে অবস্থিত। এটি শরীরে মেটাবলিজম নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি দেহের অভ্যন্তরীণ কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে। থাইরয়েড গ্রন্থির যে কোন সমস্যার কারণে আপনার মাসিক অনিয়মিত হতে পারে।    
  • ৬) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা  অনিয়মিত মাসিক-এর আরেকটি প্রধান কারণ হলো অসুস্থতা। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে শরীর দূর্বল হয়ে পড়ে, যার কারণে পিরিয়ড অনিয়মিত হয়ে যায়।    
  • ৭) প্রি-মেনোপজ  সাধারণত ৫০ বছর থেকে মেনোপজ বা একবারে পিরিয়ড বন্ধ হয়। অনেক সময় ৪০ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যেই মেনোপজ শুরু হয়ে যেতে পারে। একে প্রি-মেনোপজ বলে। এই প্রি-মেনোপজ-এর সময় পিরিয়ড অনিয়মিত হয়।    
  • ৮) ব্রেস্ট ফিডিং  ব্রেস্ট ফিডিং-কে বলা হয় ন্যাচারাল কন্ট্রাসেপ্টিভ বা প্রাকৃতিক জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যাবস্থা। যেসব মায়েরা বাচ্চাদের বুকের দুধ খাওয়ান তাদের পিরিয়ড সাধারণত বন্ধ থাকে বা অনিয়মিতভাবে হয়।    
  • ৯) অতিরিক্ত ভারি ব্যায়াম  অতিরিক্ত ব্যায়াম করলে পিরিয়ড ইরেগ্যুলার হতে পারে বা দেরি করে হতে পারে। যারা রেসার, হেভি ওয়েট লিফটিং করেন বা অন্যান্য কারণে নিয়মিতভাবে কঠিন পরিশ্রম করেন, তারা এই সমস্যায় ভুগতে পারেন। কারণ অতিরিক্ত এক্সারসাইজ ইস্ট্রোজেন লেভেল কমায়। যার ফলে পিরিয়ড বন্ধ হতে পারে।    

নিয়মিত পিরিয়ড না হলে অনেক ধরনের সমস্যা হয়। এক মাসে হলে দেখা যায় আরেক মাসে হয় না। অনেকের ক্ষেত্রে হয়তো দুই-তিন মাস পরপর পিরিয়ড হয়। কখনো অল্প রক্তপাত হয়, কখনো বেশি। সন্তান ধারণ ক্ষমতা হ্রাস প্রায়। অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণও হতে পারে। এছাড়াও অনেক সময় মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকে এবং অস্বস্তি বোধ তৈরি হয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ