শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

Call

প্রাণীদেহের দেহ প্রাচীরের সবচেয়ে ভেতরের আবরণী (parietal peritoneum) এবং পৌষ্টিকনালি ও অন্যান্য অঙ্গের (যকৃত, হৃদযন্ত্র, ফুসফুস ইত্যাদি) সবচেয়ে বাহিরের আবরণীর (visceral peritoneum) মধ্যবর্তী তরলে পূর্ণ গহ্বরকে সিলোম (Coelom) বা দেহগহ্বর বলে।

এটি ত্রিস্তরবিশিষ্ট (triploblastic) ও দ্বিপার্শীয় প্রতিসমবিশিষ্ট (bilateral) প্রাণীদের ভ্রূণীয় মেসোডার্ম (mesoderm) থেকে উদ্ভূত হয়।

সিলোম দেহের অভ্যন্তরীণ অঙ্গসমূহ ধারণ করা, অনেক অঙ্গের (হৃদযন্ত্র, ফুসফুস ইত্যাদি) প্রসারণে জায়গা করে দেয়া, দেহ বাকানো ও নড়ন-চলনের সময় এসব অঙ্গকে সুরক্ষা প্রদানে ভূমিকা রাখা ছাড়াও সংবহন, বর্জ্য পদার্থ ধারণ ও নিষ্কাশন ইত্যাদি কাজে সহায়তা করে।

সিলোমের প্রকৃতির উপর ভিত্তি করে প্রাণীদেরকে তিনটি দলে ভাগ করা যায় যথা- সিলোমবিহীন প্রাণিদল (acoelomata), অপ্রকৃত সিলোম বিশিষ্ট প্রাণিদল (pseudocoelomata) এবং প্রকৃত সিলোম বিশিষ্ট বা সিলোম বিশিষ্ট প্রাণিদল (coelomata)।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ