শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
shohanrand1

Call

‘আল-ক্বাদার’ (اَلْقَدَرُ) বা তাক্বদীরের আভিধানিক অর্থঃ ‘আল-ক্বাদার’ (اَلْقَدَرُ) শব্দটির ‘দাল’ বর্ণে যবর দিয়ে অথবা সাকিন করে দু’ভাবেই পড়া যায়। ‘মুজমালুল্লুগাহ’ (مجمل اللغة) অভিধান প্রণেতা বলেন, ‘আল-ক্বাদ্‌র’ (اَلْقَدْرُ) অর্থঃ কোন কিছুর পরিধি, সীমা বা পরিমাণ। অনুরূপভাবে ‘আল-ক্বাদার’ (اَلْقَدَرُ)-এরও একই অর্থ।[8] ‘মু‘জামু মাক্বায়ীসিল্লুগাহ’ (معجم مقاييس اللغة) প্রণেতা বলেন, ‘আল-ক্বাদার’ (اَلْقَدَرُ) শব্দটি কোন কিছুর পরিধি বা শেষ সীমানা নির্দেশ করে। তিনি বলেন, আল্লাহ কর্তৃক তাঁর ইচ্ছা অনুযায়ী সবকিছুর পরিমাণ, শেষ সীমা ইত্যাদি নির্ধারণ করার নাম ‘আল-ক্বাদ্‌র’ (اَلْقَدْرُ)। ‘আল-ক্বাদার’ (اَلْقَدَرُ)ও একই অর্থে ব্যবহৃত হয়।[9] ইবনে মানযূর (রহেমাহুল্লাহ) লেহ্‌ইয়ানী (রহেমাহুল্লাহ) থেকে উল্লেখ করেন, যবর যোগে শব্দটি বিশেষ্য (اسم) এবং সাকিন যোগে ক্রিয়ামূল (مصدر) হিসাবে ব্যবহৃত হয়।[10] তাক্বদীরের পারিভাষিক অর্থঃ সবকিছু ঘটার আগেই সে সম্পর্কে আল্লাহ্‌র সম্যক জ্ঞান, সেগুলি লাউহে মাহফূযে লিপিবদ্ধ করণ, তদ্বিষয়ে তাঁর পূর্ণ ইচ্ছার সমন্বয় এবং অবশেষে সেগুলিকে সৃষ্টি করাকে তাক্বদীর বলে।[11] [8]. ইবনে ফারেস, মুজমালুল্লাগাহ, (কুয়েত: আল-মুনায্‌যামাহ আল-আরাবিইয়াহ লিত-তারবিইয়াহ, প্রথম প্রকাশ: ১৯৮৫ইং), ৪/১৪৭। [9]. ইবনে ফারেস, মু‘জামু মাক্বায়ীসিল্লুগাহ, (বৈরূত: দারুল ফিকর, প্রকাশকাল: ১৯৭৯ইং), ৫/৬২। [10]. ইবনে মানযূর, লিসানুল আরাব, (কায়রো: দারুল মা‘আরেফ, তা. বি.), ৫/৩৫৪৫। [11]. ছালেহ ইবনে আব্দুল আযীয ইবনে মুহাম্মাদ আলুশ্‌-শায়খ, জামে‘উ শুরূহিল আক্বীদাতিত্‌-ত্বহাবিইয়াহ, (কায়রো: দারু ইবনিল জাউযী, প্রথম প্রকাশ: ২০০৬ ইং), ১/৫৩৩।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ