Mamun Ali ভাই; ১. বাচ্চাদের মনোযোগী করার অভিজ্ঞতা আমার আছে, আলহামদুলিল্লাহ। বাচ্চাকে মনোযোগী করতে হলে আগে বাচ্চাকে ভালো করে বুঝার চেষ্টা করতে হবে। তারপর বাচ্চার সমস্যা অনুযায়ী চিকিৎসা দিয়ে তাকে পড়াশোনার প্রতি মনোযোগী করা সম্ভব হবে। এইক্ষেত্রে বাচ্চার বিভিন্ন প্রকার হতে পারে, যেমন মোবাইল আসক্ত অথবা খেলাধূলার প্রতি আগ্রহ ইত্যাদি ইত্যাদি। বাচ্চার সমস্যা অনুযায়ী সমাধান ও ভিন্য হবে। ২. বাচ্চা অমনোযোগী হওয়ার পিছনে আপনার এবং পরিবারের অসতর্কতাই দায়ী। বাচ্চা বেড়ে উঠার সময় সতর্কতা অবলম্বন করার দরকার ছিল। তবে এখন বাচ্চার মনোযোগ ফিরাতে আপনাকে বাচ্চার সাথে সবচেয়ে বেশি সময় দিতে হবে। এর বিকল্প যাই খুঁজবেন ফলাফল তেমন উল্লেখযোগ্য কিছু মিলবে না। জাজাকাল্লাহ।
বাচ্চাকে পড়ার মনোযোগী করানো খুবই কঠিন কাজ। কত বছর বয়স তা বলেননি তাই কিছু বিষয় বলা সম্ভব হবেনা।
পড়াশোনায় মনোযোগী করতে সর্বপ্রথম দরকার সুন্দর পরিবেশ এবং তারপর পরই বাবা মাকে পড়াশোনা করার মত কাজ করতে হবে। বাচ্চারা অনুকরণ প্রিয়। বাড়ির অন্যরা, তার সাথে যারা খেলে তারা, মা যদি বাচ্চার সামনে বই পড়েন তবে বাচ্চারাও আগ্রহী হবে। বাচ্চাকে বাইরের পরিবেশে, দোকানে বা দোকানের খাবার থেকে দূরে রাখতে হবে। বাচ্চাদের দিনে অনেক বার নতুন পরিবেশে ঘোরানো বেড়ানো ঠিক হবেনা, কোন কারনে বাচ্চা কান্নাকাটি করলেও থামাতে দোকানে বা রাস্তায় বেড়াতে নিয়ে যাওয়া ঠিক নয়। এতে বাচ্চারা ওটাই অভ্যাস্ত হয়ে পড়বে ফলে কিছু হলে, ভালো না লাগলে বাইরে যাওয়ার জন্য কান্না শুরু করবে। বাচ্চাকে একটানা পড়ানোও ঠিক না, বাচ্চার খেলার ধূলার মাঝে পড়ানোর কৌশল নিতে হবে। খাবার খাওয়ার সময় যেমন অনেকে এই কাজ করেন "ঐ কাক আসছে তাড়াতাড়ি খেয়ে নাও" এসব মিথ্যা উপমা না দিয়া বরং "অ" তে অনেক মিষ্টি খাবো উপমায় পড়ানো উচিত। এভাবে নানা কৌশল নেওয়া যেতে পারে। পরিবারে অন্যদেরও পড়তে হবে যাতে বাচ্চা দেখে বোঝে এবং অনুকরণ করে পড়তে আগ্রহী হয়।