উক্ত ব্যক্তির কর্মকাণ্ড শরীয়তসম্মত নয়। তিনি হয়ত সওয়াবের আশায় সামনের কাতারে যায়।
কিন্তু, একবার আল্লাহর রাসুল (সা.) জুমার খুতবা দিচ্ছিলেন। এক লোক সবার ঘাড় ডিঙিয়ে সামনে আসছিল। আল্লাহর রাসুল (সা.) বললেন, বসো! তুমি মানুষকে কষ্ট দিলে। (আবু দাউদ, হাদিস : ১১১৮)।
এ কারণেই রাসুল (সা.) এমনটি করতে নিষেধ করেছেন। এর পরেও জেনে শুনে কেউ এটা করলে গুনাহগার হবেন।
মসজিদে আগে যাওয়া এবং প্রথম কাতারে নামাজ আদায়ের প্রতি আগ্রহী থাকা সওয়াবের কাজ। এ কাজের জন্য হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) উম্মতকে উদ্বুদ্ধ করে বলেছেন, যদি মানুষ জানতে পারত, আজান এবং প্রথম কাতারে নামাজ আদায়ের মধ্যে কি ফজিলত, আর তা লটারি ব্যতীত অর্জন করা সম্ভব না হত, তবে তার জন্য লোকেরা অবশ্যই লটারি করত। আর যদি জানতে পারত, মসজিদে আগে আসার মধ্যে কি ফজিলত, তাহলে তার জন্য প্রতিযোগিতা করে আসত। (সহিহ বোখারি: ৬১৫)।
প্রথম কাতারে সালাত আদায় করা ফজিলতপূর্ণ ইবাদত। প্রথম কাতারে সালাত আদায়ের জন্য সাহাবিরা প্রতিযোগিতা করতেন। প্রথম কাতার ফেরেশতাদের কাতারের মতো। প্রথম কাতারে সালাত আদায়কারীর ওপর মহান আল্লাহ রহমত বর্ষণ করেন ও তার জন্য ফেরেশতারা ক্ষমা প্রার্থনা করেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যদি লোকেরা জানত যে আজান ও প্রথম কাতারে সালাত আদায়ে কী নেকি আছে, তাহলে তারা পরস্পর প্রতিযোগিতা করত। অনুরূপভাবে যদি তারা জানত এশা ও ফজরের সালাতে কী নেকি রয়েছে, তবে তারা হামাগুঁড়ি দিয়ে হলেও ওই দুই সালাতে আসত।’ (বুখারি, হাদিস : ৬১৫)।
আবু উমামা (রা.) বলেন, একবার রাসুল (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ রহমত বর্ষণ করেন ও তাঁর ফেরেশতারা ক্ষমা প্রার্থনা করে থাকেন প্রথম কাতারের মুসল্লিদের জন্য। সাহাবিরা বলেন, হে আল্লাহর রাসুল, দ্বিতীয় কাতারের ওপর? তিনি বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা রহমত বর্ষণ করেন এবং তাঁর ফেরেশতারা ক্ষমা প্রার্থনা করেন প্রথম কাতারে সালাত আদায়কারীদের জন্য...।’ (মুসনাদ আহমাদ, হাদিস : ২২৩১৭)।