প্রতিটি সবল মুসলমানের জন্য রমজান মাসের প্রতিদিন রোজা রাখা ফরজ। আর এই ফরজ কার্য পালন করার ক্ষেত্রে শারীরিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য ইফতারের খাবার দাবারে সচেনতা জরুরি। স্বাস্থ্যসম্মত ইফতারের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় খেয়াল রাখুন। তাহলে আমরা ইফতারে কী খাব? ভেরি সিম্পল। রোজা রাখার কারণে ১২/১৪/১৬ ঘণ্টা আপনার স্টোমাক রেস্টে থাকে। খুবই সফট, খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার খেয়ে আমাদের প্রিয় নবী (সা.) রোজা ভাঙতেন। সেটি হলো খেজুর। দুই থেকে তিনটা খেজুর নিন এবং এক থেকে দুই গ্লাস পানি নিন। পান করুন। ব্যস, ফাইন। ফার্স্ট ক্লাস একটা ইফতার হয়ে গেল। এটিই হচ্ছে ইফতার। খেজুর আপনাকে পূর্ণ এনার্জি সাপ্লাই দেবে। কীভাবে? খেজুরের মূল উপাদান হচ্ছে সুক্রোজ। এই খেজুর ভালো করে চিবাবেন, সময় নিয়ে চিবাবেন। চিবিয়ে গিলে নেবেন। স্টোমাকে গিয়ে এই খেজুর থেকে সুক্রোজ ভেঙে তৈরি হবে গ্লুকোজ এবং ফ্রুকটোজ। ক্ষুদ্রান্ত্র থেকে এই গ্লুকোজ এবং ফ্রুকটোজ রক্তে প্রবেশ করবে। এর ফলে আপনার যে ব্লাড সুগার কমে গিয়েছিল, আপনার সেই ব্লাড সুগারকে রিপেয়ার করে ফেলবে; মুহূর্তের মধ্যে আপনি চাঙা হয়ে যাবেন; যে চাঙা হওয়ার জন্য আপনারা গুড়ের শরবত, চিনির শরবত, এই শরবত, ওই শরবত খেতেন। কোনো শরবত খাওয়ার প্রয়োজন নাই। দুই থেকে তিনটি খেজুর। সাথে পর্যাপ্ত পানি পান করুন। নামাজে চলে যান। পরবর্তীতে সহজপাচ্য খাবার হিসেবে মুড়ি, চিড়া, দই, খই অথবা সবজি দিয়ে বানানো নুডলস ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া মৌসুমি ফল ও সালাদ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, যা ভিটামিন ও মিনারেলের চাহিদা পূরণ করে। এরপর নামাজ থেকে ফিরে এসে রাতের খাবার খেয়ে ফেলুন।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে