Call

নবজাতক বাচ্চাদের যতগুলো ইমার্জেন্সি সার্জিক্যাল সমস্যা আছে তাদের মধ্যে অন্যতম জটিল এই সমস্যা টি। এখানে বাচ্চার খাদ্যনালী মুখ থেকে শুরু হয়ে বুকের ভিতর দিয়ে পেটে নামার সময় বন্ধ হয়ে যায়। এবং খাদ্যনালীর নিচের অংশ টা শ্বাসনালীর সাথে যুক্ত থাকে।

কি কারনে হয়?

এর সুনির্দিষ্ট কারন এখনো জানা যায়নি।

কি সমস্যা হয়?

বাচ্চা জন্মের পর দুধ ক্ষেতে পারেনা। দুধ ও লালা খাদ্যনালীর বন্ধ অংশে আটকে আবার মুখ দিয়ে বের হয়ে আসে। এর কিছু অংশ আবার শ্বাসনালীতে ঢুকে যায়, তখন বাচ্চার দম বন্ধ হয়ে আসে, বাচ্চা নীল হয়ে যায়। আবার খাদ্যনালীর নিচের অংশ যেহেতু শ্বাসনালীর সাথে যুক্ত থাকে তাই পাকস্থলীর রস শ্বাসনালীতে ঢুকে যেতে পারে, তখন বাচ্চার নিউমোনিয়া হয়।

কিভাবে বোঝা যাবে?/লক্ষন গুলো কি কি?

বাচ্চা জন্মের পর ক্ষেতে পারবেনা, খাওয়ানোর চেষ্টা করলে বাচ্চা নীল হয়ে যাবে, কাশি হবে, শ্বাস কষ্ট হবে। বাচ্চার মুখ দিয়ে অতিরিক্ত লালা আসবে।

কিভাবে রোগ নির্নয় করা হয়?

বাচ্চার লক্ষন দেখে ডাক্তার একটি নল নাক দিয়ে পেটে ঢুকানোর চেষ্টা করেন, সেটি যদি পেটে না যেয়ে মাঝপথে আটকে যায় তাহলে বোঝা যায় বাচ্চার এই সমস্যা আছে। তারপর ও সন্দেহ থাকলে কন্ট্রাস্ট এক্স রে করে বোঝা যায়।

চিকিৎসা কি?

এটি একটি সার্জিক্যাল ইমার্জেন্সি। বাচ্চাকে দ্রুতসম্ভব অপারেশন করে তার খাদ্যনালীর সাথে শ্বাসনালীর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হবে এবং খাদ্যনালীর উপরের ও নিচের অংশ জোড়া দিতে হবে। অপারেশন করতে যত বিলম্ব হবে তার নিউমোনিয়া তত তীব্র হবে এবং অপারেশন তত ঝুকিপুর্ন হবে।

কি অপারেশন করা হয়?

আমরা বাচ্চার বুক কেটে তার খাদ্যনালীর দুই অংশ কে খুজে বের করি, এরপর খাদ্যনালীর নিচের অংশকে শ্বাসনালী থেকে আলাদা করে খাদ্যনালীর দুই অংশ কে একসাথে জোড়া দিয়ে দেই (ভিডিও লিংক)।

সফলতার হার কেমন?

অপারেশনের সফলতা নির্ভর করে রোগীর অবস্থা এবং সার্জন ও এনেস্থেটিস্ট এর দক্ষতার উপর। এই সমস্যা যেসব বাচ্চাদের থাকে তাদের বেশির ভাগেরই আবার জন্মগত ভাবে হার্টের সমস্যা থাকে, কিছু বাচ্চার ওজন কম থাকে। তাদের ক্ষেত্রে অপারেশনের সফলতার হার ৫০ ভাগের নিচে। তবে বাচ্চার ওজন যদি ২.৫ কেজি র বেশি হয়, হার্ট এর সমস্যা না থাকে এবং নিউমোনিয়া কম থাকে তাহলে সফলতার হার ৫০ ভাগের বেশি।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ