রোজকার জীবনে সেই একই রুটিন। সকালে ঘুম থেকে উঠেই চলে নানা কাজের প্রস্তুতি। কর্মব্যস্ত দিন শেষে রাত নেমে এলে বিশ্রাম নিয়ে পরদিন আবার একই জীবনযাত্রা। এই যাপিত জীবন থেকে বেরিয়ে নিজেকে রিফ্রেশ আর চাঙ্গা করে তুলতে তাইতো চলে ভ্রমণের পরিকল্পনা। ব্যাগ গুছিয়ে শুধু ছুট দিলেই কিন্তু চলবে না। খেয়াল রাখতে হবে নিজেরও।

শরীর চাঙ্গা করতে: পছন্দের জায়গায় প্রিয় মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ভ্রমণের মজাই আলাদা। এতে মন হয় প্রফুল্ল। রোজকার একঘেয়ে জীবন থেকে মেলে মুক্তি। কিন্তু বেশিরভাগ সময় ভ্রমণের পর শরীরে দেখা দেয় নানা ধরনের সমস্যা; যার অন্যতম পানিশূন্যতা। এর একমাত্র কারণ, ঘুরতে গিয়ে অনেকে নাওয়া-খাওয়া ভুলে যায়। কিন্তু শুধু ঘুরে বেড়ালেই তো চলবে না, শরীরের দিকে দিতে হবে নজর। তাই যেখানেই ঘুরতে যান না কেন, মনে করে পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। সঙ্গে রাখতে পারেন স্যালাইন। এ ছাড়া পান করুন ডাবের পানি। আর যে খাবারই খান না কেন, তা স্বাস্থ্যসম্মত কি না খেয়াল করবেন। অতিরিক্ত ঝাল কিংবা মসলাযুক্ত খাবার এড়ানোর চেষ্টা করুন। যে খাবারে অভ্যস্ত, সেই খাবার অল্প খাওয়াই ভালো। এ ছাড়া সঙ্গে রাখতে পারেন প্রাথমিক চিকিৎসার টুকিটাকি।

ত্বকের যত্ন নিন: ভ্রমণে পরিবেশের পরিবর্তন হয়। শুধু খাবারের দিকে খেয়াল রাখলেই চলবে না, ত্বকের দিকেও নজর দিতে হবে। ত্বক রাখতে হবে হাইড্রেট। এজন্য পর্যাপ্ত পানি পানের নেই বিকল্প। এ ছাড়া ভ্রমণ থেকে ফিরে আসার পর দেখা যায়, ত্বক দু-তিন শেড ডার্ক হয়ে গেছে। তাই ভ্রমণে যেখানেই যান না কেন, সানস্কিন ক্রিম ব্যবহার করতে ভুলবেন না। ত্বকের ধরন অনুযায়ী বেছে নিন ভালো ব্র্যান্ডের এসপিএফযুক্ত সানস্কিন ক্রিম। এ ছাড়া মুখে, হাতে, গলায় ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে। এতে স্কিন থাকবে সতেজ, প্রাণবন্ত। সঙ্গে রাখুন রোদচশমা।

ভ্রমণের পোশাক: শীতকালে ভ্রমণের জন্য বেছে নিতে হবে মোটা কাপড়ে তৈরি তাপনিরোধক পোশাক। খেয়াল রাখতে হবে যাতে ঠান্ডা না লাগে। যতটা সম্ভব কম ওজনের শীতের কাপড় নিতে হবে। না হলে বেশি ওজনের কাপড়ে ব্যাগ ভারী হবে। সঙ্গে রাখতে হবে মাফলার, মোজা, গ্লাভস, হুডিসহ প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্র। এ ছাড়া রোদ থেকে বাঁচতে ব্যবহার করুন টুপি বা ক্যাপ। সহজে শুকিয়ে যায় এমন পোশাক নিতে হবে। রং হিসেবে বেছে নিতে পারেন যেকোনো উজ্জ্বল রং। এতে আকর্ষণীয় লাগবে। এড়িয়ে চলুন হিল জুতা। হিল পরে বেশি হাঁটাহাঁটি করলে হতে পারে পায়ে ব্যথা, কোমরে ব্যথা। তাই বেছে নিতে পারেন আরামদায়ক জুতা; যাতে ভ্রমণে গিয়ে স্বচ্ছন্দে ঘুরে বেড়ানো যায়। ঘুরতে গিয়ে অনিয়ম করলে তা শরীর ও মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলতে পারে। তাই মানসিক প্রশান্তির সঙ্গে ভ্রমণে গিয়ে যাতে শরীর সুস্থ থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।


তথ্যসূত্রঃ প্রতিদিনের বাংলাদেশ


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে