গ্লুকোজ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কার্বোহাইড্রেট যা শর্করার রাসায়নিক শ্রেণিবিভাগে একশর্করা বা মনোস্যাকারাইডের অন্তর্ভুক্ত। জীবন্ত কোষ গ্লুকোজকে শক্তি ও বিপাকীয় প্রক্রিয়ার একটি উৎস হিসেবে ব্যবহার করে। সালোকসংশ্লেষণ বা ফটোসিনথেসিস প্রক্রিয়ার অন্যতম প্রধান উৎপাদ হলো গ্লুকোজ ।সাধারণত এই গ্লুকোজ প্রাণী ও উদ্ভিদ কোষের শ্বাসক্রিয়ায় অন্যতম অপরিহার্য উপাদান হিসাবে ব্যবহৃত হয়। পাকা, মধু ও আধিকাংশ মিষ্ট ফলে গ্লুকোজ থাকে ।
গ্লুকোজ ওজন বাড়ানোর ক্ষেত্রে কোন ভুমিকা পালন করে না। অতিরিক্ত গ্লুকোজ , শরীরে মুলত লিভারে গ্লাইকোজেন হিসেবে জমা হয়ে থাকে।কিন্তু এটি ওজন বারায় না।
IBS এর সমস্যা থাকলে এত খাওয়া যাবে, কিন্তু যদি ডায়েবেটিস থাকে, তাহলে এটা খাওয়ার ব্যপারে সতর্ক থাকতে হবে।
গ্লুকোজ খাওয়ার উপকারিতাঃ
নিম্নে কয়েকটি উপকারিতা দেয়া হল,
১. সালোকসংশ্লেষণ বা ফটোসিনথেসিস প্রক্রিয়ার অন্যতম প্রধান উপাদান হলো গ্লুকোজ ।
২. গ্লুকোজ প্রাণী ও উদ্ভিদ কোষের শ্বাসক্রিয়ায় অন্যতম অপরিহার্য উপাদান হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
৩. সহজ শর্করা হিসেবে এটি তাৎক্ষণিকভাবে রক্তে গ্লুকোজের চাহিদা পূরণ করে।
৪.উদ্ভিদের সাপোর্টিং টিস্যুর গাঠনিক উপাদান হিসেবে কাজ করে।
গ্লুকোজ বায়োলজিতে একটি সর্বব্যাপী জ্বালানী। ব্যাকটেরিয়া থেকে মানুষ, প্রায় সব জীবে শক্তির একটি উৎস হিসেবে গ্লুকোজ ব্যবহৃত হয়। শ্বসন ক্রিয়া বা গাঁজন প্রক্রিয়ায় গ্লুকোজ ব্যবহৃত হতে পারে। শর্করা হল মানব শরীরের শক্তির প্রধান উৎস, যার প্রতি গ্রাম শ্বাসক্রিয়ার মাধ্যমে প্রায় ৩.৭৫ কিলোক্যালরি খাদ্য শক্তি সরবরাহ করে। শর্করার বিশ্লিষ্ট হয়ে মনো ও ডাইস্যাকারাইড তৈরি করে যার অধিকাংশই হল গ্লুকোজ। গ্লাইকোলাইসিস বিক্রিয়ার মাধ্যমে গ্লুকোজ অক্সিজেনের সাথে যুক্ত হয়ে কার্বন ডাই অক্সাইড ও জল তৈরি করে। এক্ষেত্রে তাপ নির্গত হয়। ইনসুলিন বিক্রিয়া এবং অন্যান্য বিক্রিয়া রক্তে গ্লুকোজের ঘনত্ব নির্ধারণ করে থাকে। মস্তিষ্কের শক্তির প্রধান উৎস গ্লুকোজ এবং একারণে গ্লুকোজের উপস্থিতি শারীরিক ক্রিয়া প্রভাবিত করে। রক্তে গ্লুকোজের স্বল্পতা বা হাইপোগ্লাইসেমিয়া যেসকল শারীরিক কর্মকাণ্ডে মানসিক সক্রিয়তা প্রয়োজন, তাদের ব্যাহত করে।