Call

কালো আর ধলো বাহিরে কেবল, ভিতরে সবারই সমান রাঙা

 ,

শ্রেণি বিন্যাসের উদ্ভব হয়েছে কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষের প্রচেষ্টায়। অন্যকে অধিকার থেকে বঞ্চিত করে নিজেরা কিছু অধিক সুযোগ সুবিধা পাওয়ার একটি মোক্ষম উপায় হলো শ্রেণিবিন্যাস। বহু বছর ধরে আমরা পশ্চিমা বিশ্বে দেখছি, কৃষ্ণাঙ্গ এবং শ্বেতাঙ্গদের মধ্যকার বৈরী সম্পর্ক। কালোরা, সাদাদের দ্বারা নির্যাতিত, নিপীড়িত হয়ে আসছে দিনের পর দিন। সাদা চামড়ার মানুষেরা নিজেদের উৎকৃষ্ট মনে করে, আর কালো চামড়ার মানুষদের শোষণ করে আসছে। সাদা চামড়ার মানুষেরা ভিত্তিহীনভাবে সমাজে এই বৈষম্যের সৃষ্টি করেছে। সৃষ্টিকর্তা মানুষকে পরিমাপের কোনো পরিমাপক আমাদের দেননি। তিনি সকলকে একইভাবে সৃষ্টি করেছেন। উপরে যে যেমনই দেখতে হোক না কেন সকলের রক্তের রঙই লাল। রক্তের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। পার্থক্য আমাদের মনের ভিতর। এই বিভেদ আমাদের বা আমাদের সমাজের দ্বারাই সৃষ্ট। আশরাফ, আতরাফ আমরাই সৃষ্টি করেছি, আল্লাহ সৃষ্টি করেননি। ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র আমরাই সৃষ্টি করেছি, ভগবান সৃষ্টি করেননি। বিধাতার কাছে সবাই সমান। ছোট-বড়, সাদা-কালো, সব আমাদেরই তৈরি। এটা শুধুমাত্র, ছোটকে ছোট করে রাখা, গরীবের রক্ত চুষে ধনীর আরো ধনী হওয়া। দুর্বলকে কব্জা করে, সবলের আরো সবল হওয়ার একটা কৌশল মাত্র। এই কৌশলকে পুঁজি করে স্বার্থপর মানুষেরা অপরকে ঠকিয়ে নিজের স্বার্থ উদ্ধার করে চলেছে বহুকাল ধরে। আর এই অবিচারের স্বীকার হচ্ছে সমাজের তথাকথিত নিকৃষ্ট শ্রেণির অসহায় মানুষ। এই শ্রেণি বিভাগের অন্তরালে চলছে শোষণ আর অবিচারের খেলা।

শিক্ষা: ঈশ্বর সকলকে সমানভাবে সৃষ্টি করেছেন। সমাজের পার্থক্য আমাদেরই উদ্ভব। কতিপয় লোক এই সূত্র ধরে সুযোগের সদ্ব্যবহার করছে মাত্র। শারীরিক গঠন বা বর্ণের মাধ্যমে মানুষকে মূল্যায়ন করা উচিত নয়, মানবিক গুণাবলি দিয়ে মানুষকে বিচার করা উচিত।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Jobedali

Call

কালো আর ধালো বাহিরে কেবল

ভিতরে সবার সমান রাঙ্গা

মূলভাব : পৃথিবীর শুরু থেকে মানুষের মধ্যে জাতি-ধর্ম এবং বর্ণ-গোত্রের পার্থক্য বিদ্যমান। এ পার্থক্যকে কেন্দ্র করেই বিরাজ করছে মানুষে মানুষে দ্বন্দ্ব-বিদ্বেষ। কিন্তু এটা ঠিক নয়। কারণ, বাইরে বর্ণের পার্থক্য থাকলেও সবার শরীরেই একই লাল রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে।

সম্প্রসারিত-ভাব : সমগ্র পৃথিবীর মানুষ এক মানব জাতির সদস্য। তাদের প্রত্যেকের ধমনিতেই বইছে একই লাল রক্ত। কিন্তু মানুষ এ সত্যটি উপেক্ষা করে হিংসা-বিদ্বেষে লিপ্ত। সারা পৃথিবী জুড়ে আজ চলছে অস্থিরতা। জাতিতে-জাতিতে বিদ্বেষ, ধর্মে-ধর্মে সংঘাত। বর্ণ-গোত্রের বাছ-বিচার এখনো পরস্পরকে দূরে সরিয়ে রাখছে। সৃষ্টির শেষ্ঠ জীব মানুষ নিজের অস্তিত্ব ভুলে লিপ্ত হচ্ছে দ্বন্দ্ব-সংঘাত আর যুদ্ধ-বিগ্রহে। আমরা সবাই এক আদমের সন্তান। অথচ আমাদের মাঝে আজ কতইনা বিভক্তি। সাদা চামড়াওয়ালারা ঘৃণা করছে কালো আদমীদের। ধনী এবং অভিজাত শ্রেণীর মানুষেরা ঘৃণা বর্ষণ করছে বিত্তহীন মানুষদের প্রতি। ধর্মীয় উন্মাদনায় আক্রান্ত হয়ে এক মানুষ অবলীলায় কেড়ে নিচ্ছে আরেক মানুষের প্রাণ। সাম্রাজ্যবাদী রাজশক্তি নিজের ক্ষমতা বাড়াতে ব্যবহার করছে আধুনিক মারণাস্ত্র। শোষিত, বঞ্চিত মানুষের রোনাজারিতে ভারি হচ্ছে পৃথিবীর আকাশ-বাতাস। একদিকে দারিদ্রপীড়িত মানুষ ভাগ্যকে সম্বল করে অনাহারে অর্ধহারে বেঁচে আছে। অন্যদিকে ঐশ্বর্যশালীরা তাদের বিত্ত ও বৈভবের মাত্রা বাড়িয়ে চলেছে দিনকে দিন। মানবতা আজ ধূলায় লুণ্ঠিত। বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে। সম্পদের সুষম বণ্টনের অভাবে পৃথিবীর এক অংশের মানুষ ক্ষুধা, দারিদ্র আর অপুষ্টির শিকার হচ্ছে। আরেক অংশের মানুষ সম্পদের মালিক একবারও ভাবছে না এসব নিগ্রহীত মানুষেরা তাদের মতোই রক্তমাংসের মানুষ। ধনী-দরিদ্র, জাতি-ধর্ম, বর্ণ-গোত্র এবং উচ্চ-নিচ -এর ভেদাভেদ ভুলে পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ যদি একে অপরকে আপন ভাবতো তাহলে এ পৃথিবীই স্বর্গ হয়ে উঠত। সুষম বণ্টন এবং সম অধিকার যদি পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত হয় তাহলে আমাদের এ পৃথিবী ফুলের মেলা হয়ে উঠবে।

সমস্ত পৃথিবী জুড়ে মানুষে মানুষে যে ভেদাভেদ তা দূর হওয়া উচিত। সকল ধরনের ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে একে অপরকে কাছে টেনে নিতে হবে। এ পৃথিবীতে প্রতিটি মানুষ চায় তার বেঁচে থাকার অধিকার এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ