যখন আপনি যৌন মিলন করতে চান, তখন তার মাধ্যমে গর্ভাবস্থা সৃষ্টি এবং/অথবা যৌন বাহিত সংক্রমণ (এসটিআই), যেমন ক্লাইমিডিয়াতে সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা বা ঝুঁকি থাকে। আপনি যার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতে চান, তার সাথে সহবাসের পূর্বে গর্ভনিরোধ পদ্ধতি ও কনডম সম্পর্কে আলোচনা করা জরুরি। এ বিষয়ে আলোচনা করা উভয়েরই দায়িত্ব।
কনডম ব্যবহার করা
যার সাথেই আপনি যৌনোমিলন করেন না কেন, এসটিআই-এ সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি কমানোর জন্য আপনাকে কনডম ব্যবহার করতে হবে।
যদি আপনারা বিবাহিত না হোন এবং প্রেমিক/প্রেমিকা হয়ে থাকেন, তাহলে অযাচিত গর্ভাবস্থা সৃষ্টি রোধের জন্য গর্ভনিরোধের অতিরিক্ত পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে।
উপযুক্ত গর্ভনিরোধ পদ্ধতি নির্বাচন করা
গর্ভনিরোধ বা জন্মবিরতির ১৫টি পদ্ধতি আছে, যার মধ্যে ইমপ্লান্ট ইনজেকশন, মিশ্রিত পিল বা বড়ি এবং শুধুমাত্র প্রোজেস্টেরন মিশ্রিত পিল অন্তর্ভুক্ত। অধিকাংশ পদ্ধতি মহিলাদের দ্বারাই ব্যবহৃত হয়, তবে কোন পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে তা নির্বাচন করা উভয়েরই দায়িত্ব। গর্ভাবস্থা সৃষ্টি হলে তা উভয়ের উপরই প্রভাব ফেলবে।
সাধারণত যাদের মাসিক চক্র ২৮-৩০ দিনে হয় তাদের ক্ষেত্রে মাসিক হওয়ার ১০তম দিন থেকে ২০ তম দিন গুলো বাদে সহবাস করলে প্রেগন্যান্ট হবে না।
প্রতিমাসেই শারীরিক অবস্থা ও মাসিক চক্র একই থাকে না তাই সাধারণত ধরা হয় মাসিক শুরু হওয়ার দিন থেকে আগের ৭ দিন এবং মাসিক শুরুর ১ম দিন থেকে পরবর্তী ৭ দিন হলো নিরাপদ সময় এই সময়ে কোন প্রকার প্রটেকশন ছাড়াই সহবাস করলে প্রেগন্যান্ট হবে না। তবে এই নিয়ম টি শত ভাগ নিশ্চিত নয় তাই সহবাসে কনডম বা স্বল্পমেয়াদী জন্মবিরতিকরণ পিল গুলো নিয়মিত খেতে পারেন।
বি:দ্র: মাসিক চলাকালিন সহবাস করবেন না,কেনো না মাসিক চলাকালিন সহবাস হারাম। মাসিক চলাকালিন সহবাস করলে যোনিতে ইনফেকশন হয়। এছাড়াও নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।