শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে না করলে আমাদের জীবনে বড় ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সত্যিকার অর্থে ভালোবাসা, দুঃখ, কষ্ট, ভয়, দুশ্চিন্তা, রাগ, ঘৃণা ও ভয় এগুলো আবেগের অন্তর্ভুক্ত। আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে মানব জীবনে নানা রকম ছোট-বড় সমস্যা দেখা দেয়। কিছু কিছু সমস্যা এমন হয়েছে ভবিষ্যতে জন্য মারাত্মক বিপজ্জনক। তাই অবশ্যই আমাদের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে শিখতে হবে। যদিও আবেগ এর প্রবণতা কিশোর- কিশোরীদের বয়সন্ধিকালে বেশি দেখা যায়। তবে বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে বিচার-বিবেচনা এবং জ্ঞান বুদ্ধি প্রসারিত হওয়ার সাথে সাথে আবেগ কিছুটা কমতে থাকে। কিন্তু সর্বদা আমাদের আবেগ দিয়ে নয় যুক্তি দিয়ে বিবেচনা করতে হবে। বেশির ভাগ মানুষই তো আবেগ-প্রবণ হওয়ার কারণে জীবনে নানা রকম ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনেক মানুষই বুঝতে পারে যে তারা ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে তবুও তারা আবেগ নিয়ন্ত্রণ না করতে পারার কারণে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হয় । তাই ছোট-বড় যে কোন বিষয়ে আপনি সর্বদা আবেগ দিয়ে নয় যুক্তি দিয়ে বিবেচনা করবেন এবং ভালভাবে চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিবেন। সর্বদা নিজের ব্যাপারে সচেতন হোন। এবং সর্বদা লক্ষ্য করুন আপনি কোন পরিস্থিতি গুলো সঠিক ভাবে সামলাতে পারছেন না। আপনি কোথায় ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নিজের ভুলগুলো অবশ্যই খুঁজে বের করুন এবং নিজেকে কন্ট্রোল করার চেষ্টা করুন। আপনি কি জন্য পরিস্থিতি সামলাতে পারছেন না আপনার মনের অস্থিরতা বা রাগ যা-ই থাকুক সেটা নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন। কারণ এগুলো নিয়ন্ত্রণ করে আপনি মানসিক ভাবে স্বাভাবিক থাকতে না পারলে আপনার ভুল সিদ্ধান্তে পুরো জীবন নরক হয়ে যেতে পারে। অবশ্যই নিজের চিন্তা- ভাবনার পরিবর্তন এবং উন্নতি করুন। কখনোই আবেগ-বশত কখনো কথা বলবেন না এবং কোনো সিদ্ধান্ত হুটহাট করে নিয়ে ফেলবেন না। যেকোনো বিষয়ে চিন্তা করার সময় সর্বদা লক্ষ্য রাখুন আপনার চিন্তা ভাবনার মধ্যে আবেগের উপস্থিতি নেই তো। কোথাও আপনি ভুল সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন না তো আপনার নেয়া সিদ্ধান্তের জন্য ভবিষ্যতে কি প্রভাব পড়তে পারে তা অবশ্যই ভাবুন । আবেগ নিয়ন্ত্রণ এর সময় প্রতিদিন একদম সকালে মেডিটেশন করতে পারেন। আবেগ নিয়ন্ত্রণ এর জন্য যোগ ব্যায়াম আপনার জন্য অত্যন্ত সহযোগী হতে পারে। প্রতিদিন অবশ্যই অল্প কয়েকটি হলেও যোগ ব্যায়ামের আসন অনুশীলন করুন এতে আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের অনেক উন্নতি ঘটবে। পাশাপাশি আপনার আবেগ অনেকটাই আপনার নিয়ন্ত্রনে চলে আসবে। এছাড়া স্বাস্থ্যের যত্ন নিবেন এবং নিজেকে সময় দিবেন। হ্যাঁ অবশ্যই দিনের পুরোটা সময় আপনি অন্যের জন্য কেন দিবেন অবশ্যই নিজের জন্য কিছুটা হলেও সময় রাখবেন। সর্বদা নিজের গুরুত্ব নিজেই দিতে শিখুন, এবং অন্যের উপরে নির্ভরশীল হওয়া যত দ্রুত সম্ভব বন্ধ করুন। নিজের স্বাস্থ্য খেয়াল রাখার পাশাপাশি নিজের স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন থাকা অত্যন্ত জরুরী। কারণ স্বাস্থ্যের যত্ন নিলে এবং সুস্বাস্থ্যবান থাকলে আপনার শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য সুস্থ থাকবে পাশাপাশি আপনিও ভালো থাকবেন। ফলে খুব সহজেই আপনার আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ